রাজনীতি
আন্দোলন করার নজির না থাকলেও অনেকে উপদেষ্টা হয়েছেন: মেজর হাফিজ
স্টাফ রিপোর্টার
(১ দিন আগে) ১ জুন ২০২৫, রবিবার, ৫:৫৭ অপরাহ্ন
সর্বশেষ আপডেট: ১২:১১ পূর্বাহ্ন

স্বৈরশাসকদের বিরুদ্ধে আন্দোলন করার কোনো নজির না থাকলেও অনেকে এখন উপদেষ্টা হয়ে গেছেন বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মেজর (অব.) হাফিজ উদ্দিন আহমেদ। রোববার জাতীয় প্রেসক্লাবে জাতীয়তাবাদী মুক্তিযোদ্ধা দলের উদ্যোগে প্রয়াত প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের ৪৪তম শাহাদাতবার্ষিকী উপলক্ষে’ এক আলোচনা সভায় তিনি এ মন্তব্য করেন।
হাফিজ উদ্দিন আহমেদ বলেন, গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার জন্য যাদের অতীতে কোনো ত্যাগ-তিতীক্ষা ছিল না, তারা এখন গণতন্ত্রের সবক দিচ্ছেন। ইয়াহিয়া, এরশাদ, হাসিনার মতো স্বৈরশাসকদের বিরুদ্ধে আন্দোলন করার কোনো নজির না থাকলেও অনেকে এখন উপদেষ্টা হয়ে গেছেন। অথচ যারা জীবন বাজিরেখে সংগ্রাম করেছেন, তারা উপদেষ্টা পরিষদে নেই। আর অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা পরিষদ ছাত্রদের ভুল পথে পরিচালিত করেছে। ছাত্রসমাজের এখন বিশ্ববিদ্যালয়ে গিয়ে পড়াশোনা করার বয়স। এরপর তারা চাইলে সনদ নিয়ে এসে রাজনীতি করতে পারেন। কিন্তু এখন তারা বারবার তদবির করে, মবোক্রেসি করে, সচিবালয়ে হাজির হয়ে অটোপাসের দাবি করেন। এটি সম্মানজনক নয়। এই লড়াকু ছাত্রদের ভুল পথে পরিচালিত করেছে বর্তমান উপদেষ্টা পরিষদ।
তিনি বলেন, অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা পরিষদে ছাত্রদের রাখা বিরাট ভুল হয়েছে। সরকারের উপদেষ্টা পরিষদের দুয়েকজনের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ এসেছে। তারা চেয়ারে বসার পর তাদের আত্মীয়-স্বজন সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ে লাইসেন্স করা শুরু করেছেন। এতে দেশের ক্ষতি হলো, তাদেরও ক্ষতি হলো। ছাত্রদের উপদেষ্টা করা বিরাট ভুল হয়েছে।
মেজর হাফিজ বলেন, ছাত্ররা যে রাজনৈতিক দল গড়েছেন, সেটি আগামী দিনে বাংলাদেশের ভবিষ্যৎ হতে পারত। তারা যদি এখনই ক্ষমতায় যাওয়াকে বাদ দিয়ে দল সৃষ্টি করে আগামী নির্বাচনে অংশগ্রহণ করতেন, তাদের উজ্জ্বল ভবিষ্যৎ ছিল। কিন্তু অল্প বয়সে মন্ত্রিপরিষদে ঢুকিয়ে দিয়ে তাদের নষ্ট করে দেয়া হলো।
বিএনপির এই স্থায়ী কমিটির সদস্য বলেন, একটি মহলের স্বাধীন বাংলাদেশ ভালো না লাগায় এখন সেকেন্ড রিপাবলিকের কথা আকাশে বাতাসে ঘুরে বেড়াচ্ছে। বাহাত্তরের সংবিধান ছুড়ে ফেলার কথা বলা হচ্ছে। সংবিধান তো যেকোনো নির্বাচিত সরকার পরিবর্তন করতে পারে। কিন্তু একাত্তরের গন্ধ আছে, মুক্তিযোদ্ধারা এর সঙ্গে জড়িত ছিলেন, সে কারণে একাত্তরের কোনো কিছুই এখন আর ভালো লাগে না।
আয়োজক সংগঠনের সভাপতি ইশতিয়াক আজিজ উলফাতের সভাপতিত্বে সভায় বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, আবদুস সালাম, কবি আবদুল হাই শিকদার প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।