অনলাইন
বগুড়ায় টার্মিনালগুলো বাসশুন্য
প্রতীক ওমর, বগুড়া থেকে প্রতিনিধি
(২ বছর আগে) ৬ আগস্ট ২০২২, শনিবার, ৪:৫৪ অপরাহ্ন
সর্বশেষ আপডেট: ৫:২২ অপরাহ্ন
জ্বালানি তেলের দাম বৃদ্ধির খবর ছড়িয়ে পড়ার সাথে সাথে বাসের চাকা বন্ধ হয়ে যায়। শনিবার সকাল থেকে অনেকটা বাসশুন্য হয়ে যায় বগুড়ার টার্মিনালগুলো। এতে বিপাকে পড়ে শত শত যাত্রী। সিএনজি গ্যাসচালিত কিছু বাস বগুড়া থেকে ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে ছেড়ে গেছে। সেগুলোতে আবার অতিরিক্ত ভাড়া নেয়ার অভিযোগ উঠেছে। বিষয়গুলো নিয়ে বাস, মিনিবাস এবং ট্রাক পরিবহন মালিক সমিতির নেতৃবৃন্দের সাথে যোগযোগ করা হলে কেউ সারা দিন ফোন রিসিভ করেননি।
এদিকে বগুড়ার ঠনঠনিয়া এবং চারমাথা বাসস্ট্যাণ্ডগুলোতে সরেজমিন খোঁজ নিয়ে দেখা গেছে ঢাকার যাত্রীরা বাস সংকটে দিশেহারা হয়ে পড়েছে। জরুরি প্রয়োজনে বের হয়ে তারা বগুড়ায় আটকা পড়েছে। কথা হয় জয়পুরহাটের সোলায়মান শেখ, গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জের সুরুজ মিয়া, ধুনটের জয়নাল, ঢাকার একটি বেসরকারি ইউনিভার্সিটির শিক্ষার্থী সুলতানা রাজিয়ার সাথে। তারা জানায় তেলের দাম বৃদ্ধির খবর তাদের জানা ছিলো। এজন্য বাস চলাচল বন্ধ হয়ে যাবে সেটাও তারা ভাবেননি। জরুরি প্রয়োজনে রাজধানী ঢাকা যাওয়ার উদ্দেশ্যে সকালে বের হয়ে গাড়ির আশায় বিকেল পর্যন্ত অপেক্ষা করেছেন। দুই একটি বাস ছেড়ে গেলেও সেগুলোতে বেশি ভাড়ায় যেতে বাধ্য হয়েছেন।
বেলা বারোটার দিকে বগুড়া ঠনঠনিয়া বাস টার্মিনালে গিয়ে দেখা যায় মাত্র ৬/৭টি বাস দাঁড়িয়ে আছে। সেগুলো গ্যাসচালিত। পেট্রোলচালিত একটি বাসও টার্মিনালে দেখা যায়নি। কাউন্টারগুলোর বেশির ভাগই বন্ধ ছিলো। দুই একটি কাউন্টারে লোকজন থাকলেও তারা মিডিয়ায় কথা বলতে চায়নি। তারা শুধু বলেছেন, মালিক পক্ষের কোন সিদ্ধান্ত তারা পায়নি। মালিক পক্ষ থেকে তাদের যেভাবে নির্দেশনা দেয়া হয়েছে সেভাবেই তারা কাজ করছেন। কখন বাস চলাচল শুরু করবে তারা কেউ বলতে পানেননি। অথচ এই সময়ের মধ্যে কমপক্ষে ৫০টি বাস ঢাকায় ছেড়ে যাওয়ার কথা। অন্যান্য দিনগুলোতে দুপুরের মধ্যে এমন সংখ্যক বাস ছেড়ে যেতো।
এমন পরিস্থিতি ট্রাকগুলোর ক্ষেত্রেও। রাস্তাগুলোতে শনিবার ট্রাকও খুব একটা বেশি দেখা যায়নি। মালামাল পরিবহনের ক্ষেত্রেও ভোগান্তির শিকার হয়েছেন অনেকেই। বিশেষ করে ব্যবসায়ীরা তাদের পণ্য আনা নেয়ার ক্ষেত্রে বেশ বিপাকে পড়েছেন।
বিষয়গুলো নিয়ে বগুড়া জেলা বাস-মিনিবাস মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক আমিনুল ইসলাম এবং বগুড়া জেলা ট্রাক মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক আ: মতির সরকারের মুঠোফোনে একাধিক বার যোগযোগ করার চেষ্টা করলে তারা কেউ ফোন রিসিভ করেননি।
উল্লেখ্য, বাস মালিক সংগঠন সূত্রে জানা যায় বগুড়ার এদিকে চারমাথা আন্তঃজেলা বাস টার্মিনাল, হাড্ডিপট্টি এবং ঠনঠনিয়া টার্মিনাল থেকে দূরপাল্লা এবং অভ্যন্তরীণ রুটে প্রায় ৮০০ বাস চলাচল করে। শনিবার সকাল থেকে প্রায় সব রুটেই বাস চলাচল বন্ধ রেখেছেন মালিকেরা।