প্রথম পাতা
শপথ নিয়ে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে সি আর আবরার
স্টাফ রিপোর্টার
৬ মার্চ ২০২৫, বৃহস্পতিবার
অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের শিক্ষা উপদেষ্টা হিসেবে শপথ নিয়েছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের সাবেক প্রফেসর সিআর আবরার। গতকাল সকালে বঙ্গভবনে প্রেসিডেন্ট মো. সাহাবুদ্দিন নতুন উপদেষ্টাকে শপথ পড়ান। এ সময় সরকারের কয়েকজন উপদেষ্টা উপস্থিত ছিলেন। শপথ অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন মন্ত্রিপরিষদ সচিব মো. শেখ আবদুর রশীদ। শপথগ্রহণ অনুষ্ঠান শেষে সিআর আবরার সচিবালয়ে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে গিয়ে নতুন দায়িত্ব গ্রহণ করেন। নতুন উপদেষ্টার হাতে দায়িত্ব হস্তান্তর করেন বিদায়ী শিক্ষা উপদেষ্টা প্রফেসর ড. ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ। দায়িত্ব গ্রহণ শেষে নতুন শিক্ষা উপদেষ্টা বলেন, আমি এমন শিক্ষাব্যবস্থার স্বপ্ন দেখি, যেখানে আমাদের শিক্ষার্থীরা দেশের ভেতরেই তার ভবিষ্যৎ দেখতে পাবে এবং বাংলাদেশ থেকেই বিশ্বকে নেতৃত্ব দেবে। এটা হয়তো একদিনে হবে না, এক বছরে হবে না কিংবা ৫ বছরে হবে না। কিন্তু তার জন্য ভিত্তিটি তৈরি করে দেয়ার অনেকগুলো উদ্যোগ ইতিমধ্যে নেয়া হয়েছে। তিনি বলেন, দেশে বড় রকমের একটা পরিবর্তন এসেছে। আমরা ভাবিনি আমাদের জীবদ্দশায় এভাবে মুক্তভাবে কথা বলতে পারবো।
প্রধান উপদেষ্টা আমাকে যে দায়িত্ব দিয়েছেন, সেটা একটা বড় চ্যালেঞ্জ। প্রধান উপদেষ্টাও বলেছেন, সামনের যে ‘জার্নিটা ইজি’- হবে তা নয়। শিক্ষা উপদেষ্টা বলেন, এই ধরনের পরিসরে এসে বসবেন তা জীবনে ভাবেননি জানিয়ে সিআর আবরার বলেন, শিক্ষা হচ্ছে- বৈষম্যহীন সমাজ গঠনে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বাহন। আমি এমন এক শিক্ষাব্যবস্থার কথা ভাবি, যা হবে ব্যক্তির কর্মদক্ষতা অর্জন, তার আত্মোন্নয়নের উপযুক্ত পথ। যা হবে আর্থ-সামাজিক উন্নয়ন ও বিজ্ঞান প্রযুক্তিভিত্তিক উৎকর্ষের সহায়ক এবং যা হবে সামাজিক ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে মূল্যবোধ সম্পন্ন নাগরিক তৈরির উপায়। এদিকে দায়িত্ব হস্তান্তরকালে সদ্য বিদায়ী শিক্ষা উপদেষ্টা ড. ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ বলেন, শিক্ষা কমিশন অতীতে ৫ থেকে ৬টি হয়েছে। তারা কী সমস্যার সমাধান করেছে? কয়েকজনকে বসিয়ে দিয়ে কমিশন করলেই কি সমস্যার সমাধান হবে? তাদের সবকিছু বুঝতেই তো অনেক সময় চলে যাবে। আমাদের দূরদৃষ্টিসম্পন্ন একটি কমিশন হওয়া উচিত। তিনি বলেন, অনেকেই জানে না বেসরকারি খাতের শিক্ষকদের কোনো প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা নেই। নায়েমসহ এ ধরনের প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে শুধু সরকারি শিক্ষকদের প্রশিক্ষণ দেয়া হয়। অথচ বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান সরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের তুলনায় বেশি। সুতরাং নতুন কমিশন এসে এসব বিষয় বিবেচনায় নেবে। তিনি আরও বলেন, কারিকুলাম ভালো করার পর প্রশিক্ষিত শিক্ষক না থাকলে তো কাজ হবে না। শিক্ষাব্যবস্থা নষ্ট হতে অনেক সময় লাগে। আমাদের শিক্ষাব্যবস্থা খুবই বিশৃঙ্খল ও অবিন্যস্ত।
পাঠকের মতামত
পতিত স্বৈরাচার ভারতের এর প্রেসক্রিপশনে আমাদের শিক্ষা ব্যবস্থা দংশ করা হয়েছে প্রথমে তার পর তারা দংশ করেছে সংস্কৃতি সামাজিক ঐতিজ্য। আশা করি আপনার হাত ধরে একটা কর্ম মুখি শিক্ষা ব্যবস্তা শুরুকরে দিয়ে যাবেন। যেখানে একটা ছাত্র অষ্টম/নবম শ্রেণি থেকে ২ বছরের জন্য একটা বেসিক কর্ম মুখি শিক্ষা পায় এর পর যার যার মেদা যোগ্যতা অনুযায়ী সে উচ্চ শিক্ষা গ্রহন করবে আর যারা যরে পড়বে তারা যেন বেকার না হয়।
পতিত সরকারের দলবাজ বেষ্টনীতে থেকে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব নিয়ে নতুন উপদেষ্টা কিছু করতে পারবেন বলে মনে হয় না।প্রথম কাজই পতিত স্বৈরাচারের দোসর মুক্ত শিক্ষা মন্ত্রণালয় ও তার অধীনস্থ প্রতিষ্ঠান গুলোকে সাজাতে হবে।কাগজের মান ঠিক রাখার উছিলায় বছরের তিন মাসেও শিক্ষার্থীদের হাতে পাঠ্যবই পোছাতে না পারা ছিলো আগের সুশীল উপদেষ্টার বড় ব্যর্থতা।এরপর বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের পরিআালনা পরিষদ গুলো এক যুগে ভেঙ্গে না দেয়া ও জোরপূর্বক কাউকে প্রতিষ্ঠান থেকে পদত্যাগে বাধ্য করা যাবে না বলে পতিত স্বৈরাচারের দোসরদের টিকিয়ে রাখা ও দূর্নীতি লুটপাটের আলামত ধ্বংস করার সুযোগ দেয়া হয়েছে। বরং বলা উচিত ছিলো,পতিত স্বৈরাচারের দোসর ও লুটাপাটকারী নিজেরাই নিজেদের পাপের কথা জানেন,তাই স্বেচ্ছায় চলে যান।সরকারের পদক্ষেপের আগেই।তবে দোসররা আতংকে থাকতেন।
শিক্ষকদের উন্নয়ন করুন কথার চেয়ে কাজ বেশি করুন কাজে প্রমান করুন
Congratulations