ঢাকা, ২৫ এপ্রিল ২০২৫, শুক্রবার, ১২ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ, ২৫ শাওয়াল ১৪৪৬ হিঃ

বিনোদন

প্রাণ বাঁচাতে বিয়ে করেছিলেন পপি

স্টাফ রিপোর্টার

(২ মাস আগে) ২০ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, বৃহস্পতিবার, ১২:৫৩ অপরাহ্ন

সর্বশেষ আপডেট: ১২:০০ পূর্বাহ্ন

mzamin

চার বছর আড়ালে থাকার পর  মা ও বোনের জেরে, থানায় জিডির খবর দিয়ে আবারও প্রকাশ্যে আসেন তিন বার জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার পাওয়া চিত্রনায়িকা সাদিকা পারভীন পপি। অনেক দিনের চাপা কষ্ট, দুঃখ, যন্ত্রণা উগরে দিয়েছেন মিডিয়ার সামনে। বিয়ের সিদ্ধান্ত, মা-বোনদের সঙ্গে সম্পর্ক, সব কিছু নিয়ে গণমাধ্যমে কথা বলেছেন পপি। পপির ভাষ্যমতে, তার বিয়ের পরিকল্পনা ছিল না। কিন্তু ২০১৯ সালে বাসায় একটা ‘ভয়াবহ দুর্ঘটনা’ ঘটে। সেদিন অনেক বড় অঙ্কের টাকা চুরি হয়। ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে থানায় জিডি করেন তিনি। পরে তাকে রমনা থানায় ডাকা হয়। পপি বলেন, সেদিন আদনানকেও ডাকি। থানায় গিয়ে দেখলাম, আমার ভাইবোনেরা। ঘটনা চক্রে জীবন নিয়ে আমি আতঙ্কিত হয়ে পড়ি। মনে হলো, আমি কারও কাছে নিরাপদ নই। ফিল্মের কাজে সবার সঙ্গে মিশেছি ঠিকই, কিন্তু আপনজন কেউ ছিল না। বরাবরই আমি পরিবার অন্তঃপ্রাণ মানুষ। অথচ এই আমার কাছে পরিবারের সবাই অচেনা হয়ে গেলো। সম্পত্তি ও টাকাপয়সা নিয়ে জটিলতা শুরু হয়। জটিলতার এই পুরো সময়ে আদনান আমাকে ছায়ার মতো আগলে রেখেছে। কোনো জটিলতাই আমাকে স্পর্শ করতে দেয়নি।

তিনি বলেন, ওই সময়ে এমন বন্ধুকে না পেলে আমার জীবনটাই বিপন্ন হয়ে যেত। ২০২০ সালের দিকে আবার জটিলতা শুরু হয়। তখনো ভাবলাম, আমাকে মা-বোনেরা বাঁচতে দেবে না। বাসা থেকে বের হয়ে পড়ি। যোগাযোগ করি আদনানের সঙ্গে। এরপর আমার জায়গাজমির দলিল, ব্যাংকের কাগজপত্র ও প্রয়োজনীয় সব ডকুমেন্ট পুলিশের সহযোগিতায় উদ্ধার করি। বলতে পারেন, রীতিমতো জীবন বাঁচাতে বাসা থেকে পালিয়ে গেলাম। তখন আমার সামনে দুটি পথ খোলা, হয় আত্মহত্যা করতে হতো, নয়তো ওদের হাতে খুন হয়ে যেতে হতো। স্বামী আদনানই তাকে মৃত্যুর হাত থেকে বাঁচিয়েছিলেন বলে জানান পপি। তিনি এও জানান, এই পরিস্থিতিতে তিনি বিয়ে করতে বাধ্য হন। পপি বলেন, ২০২০ সালের নভেম্বরে বিয়ে করি বাসায় কাজি ডেকে। আমার আত্মীয়স্বজন ছিলেন। এটা সত্য, বিয়েতে আমার মাকে ডাকিনি। হয়তো এটা বিশ্বাস করবে না কেউ, কিন্তু এটাই সত্য, আমার মা চাইতো না আমি বিয়ে করে সংসারী হই।

পাঠকের মতামত

উপার্জনক্ষম কন্যা সন্তানের বিয়ে চায় না এমন বাবা-মার অভাব আমাদের সমাজে নেই।

Shahin
২০ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, বৃহস্পতিবার, ৪:৩৩ অপরাহ্ন

কিছু বাবা-মা এমন আছেন, যারা প্রথম সন্তানের উপর তাদের বাকী সন্তানদের দায়িত্ব এত বেশী চাপিয়ে দেন যে প্রথম সন্তানের জীবনটাই দূর্বিষহ হয়ে উঠে। চট্টগ্রামে এটা বেশী দেখা যায়, এখানে বাবা-মা চান তাদের সব সন্তানের একটা লাইন না হওয়া পর্যন্ত যেন প্রথম সন্তান (যদি ছেলে হয়) বিয়ে না করে, এতে তার বয়স ৪০ বছর হলেও তারা চিন্তিত হন না।

Kaka
২০ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, বৃহস্পতিবার, ১:৪৫ অপরাহ্ন

বিনোদন থেকে আরও পড়ুন

বিনোদন সর্বাধিক পঠিত

   
Logo
প্রধান সম্পাদক মতিউর রহমান চৌধুরী
জেনিথ টাওয়ার, ৪০ কাওরান বাজার, ঢাকা-১২১৫ এবং মিডিয়া প্রিন্টার্স ১৪৯-১৫০ তেজগাঁও শিল্প এলাকা, ঢাকা-১২০৮ থেকে
মাহবুবা চৌধুরী কর্তৃক সম্পাদিত ও প্রকাশিত।
ফোন : ৫৫০-১১৭১০-৩ ফ্যাক্স : ৮১২৮৩১৩, ৫৫০১৩৪০০
ই-মেইল: [email protected]
Copyright © 2025
All rights reserved www.mzamin.com
DMCA.com Protection Status