শেষের পাতা
সাবেক মেয়র আতিকসহ ছয় জন কারাগারে
স্টাফ রিপোর্টার
১৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, মঙ্গলবার
জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের সাবেক মেয়র আতিকুল ইসলাম সহ আওয়ামী লীগের ছয়জন নেতাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেয়া হয়েছে। একইসঙ্গে এই মামলার তদন্ত প্রতিবেদন আগামী ৯ই মার্চ দাখিলের দিন ধার্য করেছে আদালত।
সোমবার আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের চেয়ারম্যান বিচারপতি মো. গোলাম মর্তুজা মজুমদারের নেতৃত্বে তিন সদস্যের বিচারিক প্যানেল এ আদেশ দেন। প্রসিকিউশনের পক্ষে শুনানি করেন প্রসিকিউটর বিএম সুলতান মাহমুদ ও গাজী মনোয়ার হোসেন তামিম। এ সময় উপস্থিত ছিলেন- প্রসিকিউটর গাজী মিজানুর ইসলাম, আব্দুস সোবহান তরফদার, ফারুক আহমেদ, ব্যারিস্টার মইনুল করিম, সাইমুম রেজা।
শুনানিতে প্রসিকিউশন আদালতকে জানায়, জুলাই আন্দোলনে উত্তরায় এসব আসামিরা তাদের বৈধ-অবৈধ অস্ত্র, হেলমেট, লাঠিসোটা নিয়ে ২০০ এর বেশি মানুষকে হত্যা করেছে। সেইসঙ্গে অসংখ্য মানুষকে আহত করেছে। এসব ঘটনায় সাবেক মেয়র আতিকের ইন্ধন রয়েছে। মেয়র আতিক সহ অন্যান্য আসামিরা তাদের দায় এড়াতে পারেন না। শুনানিতে প্রসিকিউশন তাদের গ্রেপ্তার দেখানোর আবেদন করে। পরে ট্রাইব্যুনাল আগামী ৯ই মার্চ তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের দিন ধার্য করে আসামিদের কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেয়।
এর আগে সকাল ১০টা ২৫ মিনিটের দিকে মেয়র আতিকুল ইসলাম বাদে বাকি পাঁচজনকে প্রিজন ভ্যানে করে ট্রাইব্যুনালে আনা হয়। দুপুর ১২টা ৫০ মিনিটের দিকে আতিকুল ইসলামকে ট্রাইব্যুনালে আনা হয়।
সাবেক মেয়র আতিকুল ইসলাম ছাড়াও অপর পাঁচজন হলেন- উত্তরা পূর্ব থানা আওয়ামী লীগের শিক্ষা বিষয়ক সম্পাদক মো. শাহিনুর মিয়া, উত্তরা পশ্চিম থানা আওয়ামী লীগের সভাপতি মনোয়ার ইসলাম চৌধুরী রবিন, গাজীপুর মহানগর আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুল্লাহ আল মামুন মণ্ডল, উত্তরা ৬ নম্বর সেক্টর আওয়ামী লীগের সভাপতি মো. বশির উদ্দিন, মহানগর উত্তরের এক নম্বর ওয়ার্ড যুবলীগের সভাপতি দেলোয়ার হোসেন রুবেল।
পাঠকের মতামত
আলহামদুলিল্লাহ। এইসব সৈরাচারের দোসরদেরকে আইনের আওতায় আনতে হবে।