শরীর ও মন
যারা কখনও ধূমপান করেননি, তাদের মধ্যেই নাকি ফুসফুসের ক্যানসারের ঘটনা বাড়ছে
মানবজমিন ডিজিটাল
(২ সপ্তাহ আগে) ৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, মঙ্গলবার, ৪:৩২ অপরাহ্ন
সর্বশেষ আপডেট: ১২:০১ পূর্বাহ্ন

যারা কখনো ধূমপান করেননি তাদের মধ্যে ফুসফুসের ক্যান্সারের ঘটনা বাড়ছে। এমনই শিউরে ওঠা তথ্য সামনে এসেছে নতুন গবেষণায়। মনে করা হচ্ছে এর নেপথ্যে অন্যতম কারণ বায়ুদূষণ। মঙ্গলবার বিশ্ব ক্যান্সার দিবসে দ্য ল্যানসেট রেসপিরেটরি মেডিসিন জার্নালে গবেষণাটি প্রকাশিত হয়েছে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা-সহ ইন্টারন্যাশনাল এজেন্সি ফর রিসার্চ অন ক্যানসার (IARC) গ্লোবাল ক্যান্সার অবজারভেটরি ২০২২ ডেটাসেট থেকে প্রাপ্ত তথ্য বিশ্লেষণ করে চার রকমের ফুসফুসের ক্যানসারের ঘটনার কথা জানতে পেরেছেন, অ্যাডেনোকার্সিনোমা, স্কোয়ামাস সেল কার্সিনোমা, ছোট এবং বৃহৎ কোষের কার্সিনোমা। গবেষকরা দেখেছেন যে অ্যাডেনোকার্সিনোমা এমন একটি ক্যান্সার যা শ্লেষ্মা এবং পাচক গ্রন্থির মতো তরল উৎপন্নকারী গ্রন্থি থেকে শুরু হয়। পুরুষ এবং নারী দু'জনের মধ্যেই এই ক্যানসারের উপসর্গ দেখা গেছে।
২০২২ সালে বিশ্বজুড়ে কখনও ধূমপান করেননি এমন ব্যক্তিদের মধ্যে ফুসফুসের ক্যান্সারের ৫৩-৭০ শতাংশ ক্ষেত্রে এই অ্যাডেনোকার্সিনোমাই দায়ী বলে দেখা গেছে। গবেষকরা ওই রিপোর্টে ব্যাখ্যা করেছেন যে, অন্যান্য উপ-প্রকারের ফুসফুসের ক্যান্সারের তুলনায়, অ্যাডেনোকার্সিনোমার ঝুঁকি, সিগারেট খাওয়ার সঙ্গে সেভাবে সম্পর্কিত নয় বলে মনে করা হয়।
গবেষকরা বলছেন, যেহেতু বিশ্বব্যাপী অনেক দেশে ধূমপানের প্রবণতা ক্রমাগত হ্রাস পাচ্ছে, যারা কখনও ধূমপান করেননি তাদের মধ্যে এখন ফুসফুসের ক্যান্সারের অনুপাত বেড়েছে। IARC-এর ক্যান্সারের ওপর গবেষণা শাখার প্রধান লেখক ফ্রেডি ব্রে বলছেন, ‘ধূমপানের ধরণে পরিবর্তন এবং বায়ু দূষণের এক্সপোজার হলো ফুসফুসের ক্যান্সারের ঝুঁকির প্রোফাইল পরিবর্তনের প্রধান নির্ধারকগুলির মধ্যে একটি সাবটাইপ যা আমরা আজ দেখতে পাচ্ছি।’
ক্যান্সারজনিত মৃত্যুর প্রধান কারণ ফুসফুসের ক্যান্সার। ফ্রেডি ব্রে- এর কথায়, যারা কখনও ধূমপান করেননি তাদের মধ্যে ফুসফুসের ক্যান্সার বিশ্বব্যাপী ক্যান্সার-সম্পর্কিত মৃত্যুর পঞ্চম প্রধান কারণ হিসাবে অনুমান করা হয়। এটি প্রায় একচেটিয়াভাবে অ্যাডেনোকার্সিনোমা থেকে ঘটে এবং সাধারণত নারীদের মধ্যে বিশেষ করে এশিয়ানদের এই ক্যান্সারের ঝুঁকি বেশি।' ২০২২ সালে বিশ্বব্যাপী নারীদের মধ্যে ফুসফুসের ক্যান্সার শনাক্তের সংখ্যা ছিল ৯ লাখ ৮ হাজার ৬৩০। যার মধ্যে অ্যাডেনোকার্সিনোমা ছিল ৫ লাখ ৪১ হাজার ৯৭১ (৫৯.৭ শতাংশ) । অ্যাডেনোকার্সিনোমায় আক্রান্ত নারীদের মধ্যে ৮০,৩৭৮ জনের ক্যান্সারের প্রধান কারণ ছিল বায়ুদূষণ। ২০১৯ সালের পরিসংখ্যান বলছে বিশ্বের প্রায় সবাই এমন এলাকায় বাস করেন যেখানে ওয়ার্ল্ড হেলথ অর্গানাইজেশনের বেঁধে দেওয়া বাতাসের মানদণ্ড পূরণ হয় না। যা অত্যন্ত ভয়ঙ্কর।
সূত্র : এনডিটিভি
পাঠকের মতামত
অহন লিচ্চ-ই আমগো মুক্তি