অনলাইন
নিউ ইয়র্কে শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের জন্মবার্ষিকী উদযাপন
অনলাইন ডেস্ক
(১ সপ্তাহ আগে) ২২ জানুয়ারি ২০২৫, বুধবার, ৮:০৬ অপরাহ্ন
যুক্তরাষ্ট্রের নিউ ইয়র্কের জ্যাকসন হাইটসে বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের ৮৯তম জন্মবার্ষিকী উদযাপন করা হয়েছে। এ উপলক্ষে বিভিন্ন জিয়াউর রহমানের কর্মজীবনের ওপর আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়। ২১শে জানুয়ারি স্থানীয় সময় সন্ধ্যায় নিউ ইয়র্কের জ্যাকসন হাইটসের নবন্না পার্টি সেন্টারে এই জন্মবার্ষিকী পালন করা হয়।
আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন যুক্তরাষ্ট্র বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি ডা. মুজিবুর রহমান মজুমদার। এতে শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান-এর আধুনিক বাংলাদেশ এবং বিএনপি’র ৩১ দফার উপর বক্তব্য রাখেন উদযাপন কমিটির আহবায়ক ও যুক্তরাষ্ট্র বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা সদস্য মোশারফ হোসেন সবুজ।
অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটি, ভাইস চেয়ারম্যান, ড. আসাদুজ্জামান রিপন, (ভার্চ্যুয়ালি ঢাকা থেকে সংযুক্ত হন)। তিনি বলেন, তিনি শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান স্বাধীনতা পরবর্তী বাংলাদেশকে একটি বহু দলীয় গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র বিশ্বের মানচিত্রে প্রতিষ্ঠা করেছেন। রাষ্ট্র বিনির্মাণে শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান সততা মেধা এবং দক্ষতাকে প্রাধান্য দিয়েছিলেন।
স্বৈরাচার বিরোধী আন্দোলন এবং গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠায় আপোষহীন নেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, বাংলাদেশের গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনা এবং ১৯৯১ সালের জনগণের ভোটে প্রথম প্রধানমন্ত্রী হিসেবে নির্বাচিত হয়ে জনগণের ভাগ্য উন্নয়নের নিরলসভাবে কাজ করে গেছেন। কারাগারে প্রেরণ করলেও তিনি গণতন্ত্রের জন্য স্বৈরাচার শেখ হাসিনার সঙ্গে আপোষ করেন নাই।
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানকে আগামী দিনের বাংলাদেশের গণতন্ত্র, স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্বের প্রতীক হিসেবে তুলে ধরে তিনি বলেন, বাংলাদেশের জনগণের ভোটাধিকার ফিরিয়ে আনার জন্য দীর্ঘ ১৫ বছর তারেক রহমান যে আন্দোলন সংগ্রাম নেতৃত্ব দিয়েছেন, তারই ফলশ্রুতিতে আজকের অর্ন্তবর্তীকালীন সরকার প্রতিষ্ঠা লাভ করেছে।
তিনি বাংলাদেশে অনতিবিলম্বে যৌক্তিক সংস্কার সম্পন্ন করে একটি অবাধ ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের আয়োজনের জন্য জোরালোভাবে দাবি জানান। জনগণ তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করে নির্বাচিত সরকারের মাধ্যমে দেশ পরিচালনার জন্য অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছে।
সভা যৌথভাবে সঞ্চালনা করেন উদযাপন কমিটির সদস্য সচিব ও বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী সেচ্ছাসেবক দলের কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক (যুগ্ন সম্পাদকের পদমর্যাদা) সাবেক ছাত্রনেতা মাকসুদুল হক চৌধুরী ও সাবেক ছাত্রনেতা জুনায়েদ আল জাফরি। অনুষ্ঠানের স্বাগত বক্তব্য রাখেন অনুষ্ঠানের প্রধান সমন্বয়ক সাবেক ছাত্রনেতা ও বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ফোরাম যুক্তরাষ্ট্রের, সাবেক সাধারণ সম্পাদক, যুক্তরাষ্ট্র বিএনপির নেতা, মোতাহার হোসেন।
আলোচনায় অংশগ্রহণ করেন আবু সুফিয়ান, শাহ আলম, নাছিম আহমেদ, মুক্তিযোদ্ধা গোলাম হোসেন, কাজী জামান, মোহাম্মদ বাচ্চু মিয়া, মৃধা মোহাম্মদ জসীম, নুরে আলম, হাবিবুর রহমান হাবিব, মাযহারুল ইসলাম মিরন, আবুল কালাম, আজিজুল বারি তিতাস, প্রফেসর আহসান উল্লাহ মিন্টু, ব্যারিস্টার জিন্নুর রাইন চৌধুরী, সেলিনা আক্তার প্রমুখ।
সভায় উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় যুবদলের সাবেক ভাইস প্রেসিডেন্ট শহীদুল্লাহ তালুকদার, যুবদল নেতা ও মিডিয়া ব্যক্তিত্ব মোহাম্মদ কাশেম, মো. মাসুদ হোসেন, আশরাফুজ্জামান আশরাফ, রাশেদ রহমান, ইঞ্জিনিয়ার মোশারফ হোসেন, হুমায়ুন কবির, জসিম উদ্দিন ফিরোজ আলম, সাইফুল ইসলাম সৈকত ভূঁইয়া, আমিনুল ইসলাম, ডা. রফিকুল ইসলাম, রুহুল আমিন, শাহীন আলম, আব্দুস সোবাহান প্রমুখ।
সভাপতির বক্তব্যে ডা. মুজিবুর রহমান মজুমদার বলেন, মহান মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে অর্জিত বাংলাদেশে যারা সরকার গঠনের দায়িত্ব পেয়েছিলেন তারা দেশকে গণতন্ত্রবিহীন এবং জনদুর্ভোগের রাষ্ট্রে পরিণত করেছিলেন। ক্ষমতায় থাকার জন্য বাকশাল কায়েম করেছিলেন। কিন্তু ৭৫-এর রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের মাধ্যমে শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান মানুষের ভাগ্য উন্নয়নের জন্য রাষ্ট্র পরিচালনার দায়িত্বে নিয়োজিত ছিলেন।
জিয়াউর রহমানের আদর্শ বোঝার চেষ্টা করুন তার মত সৎ নির্ভী ক এবং দেশপ্রেমিক হওয়ার চেষ্টা করুন বর্তমান প্রয়োজনের সময়ের প্রেক্ষিতে দলের ভেতরে গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠান এবং চর্চা তৈরি করা তারপর নির্বাচনে আসে চিন্তা ভাবনা অন্তর থেকে করুন কাজ করুন সাফল্য আসবেই।
আবার তেল দেয়া শুরু ; শুধু পাত্রভেদে