খেলা
রাজশাহীকে জয়ে ফেরালেন রায়ান বার্ল, প্রথম হার খুলনার
স্পোর্টস ডেস্ক
১১ জানুয়ারি ২০২৫, শনিবাররায়ান বার্ল যখন উইকেটে যান, ৬৭ রানে ৪ উইকেট হারিয়ে তখন বিপদে দুর্বার রাজশাহী। উইকেটে গিয়েই বড় শট খেলেন তিনি। কিন্তু ঠিকমতো টাইমিং না হওয়ায় বল উপরে উঠে যায়, খুলনা টাইগার্সের হাসান মাহমুদ সেটা হাতে জমালেও ধরে রাখতে পারেননি। জীবন পেয়ে বার্ল হয়ে ওঠেন বিধ্বংসী, সঙ্গ দেন ইয়াসির আলী। তাতে লড়াকু সংগ্রহ পায় দুর্বার রাজশাহী। পরে তাসকিন-সোহাগের নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ে খুলনাকে প্রথম হারের স্বাদ দিয়ে জয়ে ফেরে এনামুল হক বিজয়ের দল।
গতকাল বিপিএলের ম্যাচে সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে খুলনাকে ২৮ রানে হারায় রাজশাহী। টস হেরে আগে ব্যাটিং করে রাজশাহী তোলে ১৭৮ রান। জবাবে খুলনার ইনিংস শেষ হয় ১৫০ রানে। টানা দুই হারের পর জয়ে ফিরলো রাজশাহী। আর টানা দুই জয়ে বিপিএল শুরু করা খুলনা টাইগার্স এক সপ্তাহ পর তৃতীয় ম্যাচ খেলতে নেমে আসরে প্রথম হার দেখলো। ২৯ বলে ৪৮ রানের অপরাজিত ইনিংসের পর ১৩ রানে ২ উইকেট নিয়ে ম্যাচসেরা রায়ান বার্ল।
রান তাড়ায় ইনিংসের প্রথম ওভারেই অজি তারকা উইলিয়াম বসিস্টোকে হারায় খুলনা। এরপর আর উইকেট পড়া থামেনি। ছোট ছোট জুটি হলেও সেটা খুলনাকে লড়াইয়ে টিকিয়ে রাখতে পারেনি। ৩ নম্বরে নামা অধিনায়ক মেহেদী হাসান মিরাজ করেন কেবল ১ রান। প্রথম ৬ ওভারে ২ উইকেট হারিয়ে খুলনার সংগ্রহ ছিল ৩৪ রান।
আফিফ হোসেন একপ্রান্ত আগলে রাখলেও খেলছিলেন শম্ভুক গতিতে। মোহাম্মদ নাঈমও এদিন খোলস ছেড়ে বের হতে পারেননি, করেন ২৮ বলে ২৪ রান। ৯০ রানে আউট হওয়ার আগে আফিফের ব্যাট থেকে আসে ৩০ বলে ৩৩ রান। ইমরুল কায়েস ৬ নম্বরে নেমে ঝড় শুরু করলেও সেটা টেকে কেবল ৬ বল। সেখানে তিনি করেন ১৭ রান। শেষ পর্যন্ত ৩ বল বাকি রাখতে গুটিয়ে যায় খুলনার ইনিংস। রাজশাহীর হয়ে সমান ২টি করে উইকেট নেন তাসকিন আহমেদ ও সোহাগ গাজী।
এর আগে নাসুম আহমেদের করা প্রথম ওভারেই চার ও ছক্কায় দারুণ শুরু করেন রাজশাহীর মোহাম্মদ হারিস। তার সঙ্গী জিসান আলম অবশ্য শুরুতে কিছুটা অস্বস্তিতেই ছিলেন। ৫ ওভারে ৪২ রান তোলে রাজশাহী। হারিসের রান তখন ১৮ বলে ২৬, জিসানের ১২ বলে ১২। পাওয়ার প্লের শেষ ওভারে নাসুমকে স্লগ সু্ইপ খেলার চেষ্টায় বোল্ড হয়ে যান হারিস। তার ব্যাট থেকে আসে ২৭ রান। এরপর ২৩ রানের মধ্যে আরও ৩ উইকেট হারায় রাজশাহী। অধিনায়ক বিজয় ৫ রানে জীবন পেলেও করতে পারেন মাত্র ৮ রান। দশম ওভারে মোহাম্মদ নাওয়াজকে ছক্কার চেষ্টায় ধরা পড়ার আগে জিসান করেন ২২ বলে ২৩ রান।
১০ ওভারে রাজশাহীর রান দাঁড়ায় ৪ উইকেটে ৬৭। এরপর ইয়াসির ও বার্লের দুর্দান্ত জুটিতে এগিয়ে চলে রাজশাহীর ইনিংস। দুজনে পঞ্চম উইকেটে ৮৮ রান যোগ করেন ৫১ বলে।
১৯তম ওভারে ভাঙে এই জুটি। আবু হায়দারের দারুণ ইয়র্কারে ইয়াসির বোল্ড হন ২৫ বলে ৪১ রান করে। এরপর উইকেটে আসে কার্যকরী এক ক্যামিও খেলেন আকবর আলী। তিনি ৯ বলে ২১ রান করে অপরাজিত থাকেন। আরেক অপরাজিত ব্যাটার বার্ল করেন ২৯ বলে ৭ চার ও ১ ছক্কায় ৪৮ রান।