বিশ্বজমিন
‘অখণ্ড ভারত’ সেমিনারে ঢাকাকে আমন্ত্রণ নয়াদিল্লির
মানবজমিন ডেস্ক
(১ সপ্তাহ আগে) ১০ জানুয়ারি ২০২৫, শুক্রবার, ৩:১৮ অপরাহ্ন
সর্বশেষ আপডেট: ১২:০৮ পূর্বাহ্ন
ভারতের আবহাওয়া বিভাগের ১৫০ বছর পূর্তি উপলক্ষে আয়োজিত ‘অখণ্ড ভারত’ সেমিনারে অংশ নিতে বাংলাদেশ ও পাকিস্তানকে আমন্ত্রণ জানিয়েছে দেশটি। পার্থক্য দূরে রেখে ঐক্যবদ্ধভাবে উপমহাদেশের ইতিহাসকে উদযাপনের জন্য এ আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে। এ খবর দিয়েছে অনলাইন এনডিটিভি। এতে বলা হয়, ঢাকা ও ইসলামাবাদের সঙ্গে এশিয়ার আরও বেশ কয়েকটি দেশকেও ওই সেমিনারে আমন্ত্রণ জানিয়েছে নয়াদিল্লি। এর মধ্যে রয়েছে ভুটান, আফগানিস্তান, মিয়ানমার, মালদ্বীপ, শ্রীলঙ্কা এবং নেপাল।
উপমহাদেশের বাইরেও মধ্যপ্রাচ্যসহ মধ্য ও দক্ষিণ-পশ্চিম এশিয়ার বেশ কয়েকটি দেশের কর্মকর্তাদেরও আমন্ত্রণপত্র পাঠিয়েছে ভারত। পাকিস্তান ইতোমধ্যেই সেমিনারে অংশগ্রহণের বিষয়টি নিশ্চিত করেছে। তবে বাংলাদেশ এখনো নিশ্চিত করেনি। বাংলাদেশের জবাবের অপেক্ষায় রয়েছে ভারতীয় কর্মকর্তারা। দেশটির সংবাদ সংস্থা প্রেস ট্রাস্ট অব ইন্ডিয়া (পিটিআই) এমনটাই জানিয়েছে। ঢাকা যদি এই অনুষ্ঠানে যোগদানের বিষয়টি নিশ্চিত করে তাহেল এটি একটি ঐতিহাসিক মুহূর্ত হবে।
আবহাওয়া বিভাগের শীর্ষ এক কর্মকর্তা বলেছেন, আমরা চাচ্ছি আইএমডি প্রতিষ্ঠার সময় অবিভক্ত ভারতের অংশ ছিল এমন সকল দেশের কর্মকর্তারা এই উদযাপনের অংশ হোন। ভারত সরকারের বিভিন্ন মন্ত্রণালয় এই অনুষ্ঠানকে স্মরণীয় করে তুলতে অবদান রেখেছে। এই বিশেষ আয়োজন উপলক্ষে ১৫০ রুপির একটি বিশেষ এবং সীমিত সংস্করণের স্মারক মুদ্রা প্রকাশ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে অর্থ মন্ত্রণালয়।
অন্যদিকে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় আবহাওয়া বিভাগের ১৫০ বছর পূর্তি উপলক্ষে প্রজাতন্ত্র দিবসে একটি বিশেষ ট্যাবলো প্রকাশের অনুমোদন দিয়েছে। তবে মোদি সরকার এমন কথা বললেও অখণ্ড ভারত ইস্যুটি বেশ বিতর্কিত একটি বিষয়। এই অখণ্ড ভারত ধারণা রাষ্ট্রীয় স্বয়ং সেবক সংঘ বা আরএসএসের মূল মতাদর্শের অন্যতম। সেই ধারণায় একসময় ভারতবর্ষের ব্যাপ্তি ছিল পশ্চিমে আফগানিস্তান (গান্ধারী কান্দাহারেরই কন্যা) থেকে পূর্বের মিয়ানমার ও উত্তরে তিব্বত থেকে দক্ষিণের শ্রীলঙ্কা পর্যন্ত। অর্থাৎ অখণ্ড ভারতের ধারণা বাস্তবায়িত হলে আফগানিস্তান, পাকিস্তান, তিব্বত, নেপাল, ভুটান, বাংলাদেশ, মিয়ানমার ও শ্রীলঙ্কা অস্তিত্বহীন হয়ে পড়বে।
ভালো সিদ্ধান্ত সবার জন্য এবং ভারতকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়া উচিত।
বিতর্কিত বিষয় দিয়ে এই উপমহাদেশকে অস্থিতিশীল করে রেখেছে , এদের বিচার হওয়া উচিত। অবিভক্ত ভারত শাসন করতো মুসলিমরা । হিন্দুদের অধীনে নয় ।
গরুর মুত খাইতে চাইলে কেউ যাক। ওরা যা যা খাওয়াবে সব কিছুতেই গরুর মুত আর গোবর দিবে।
স্বাধীন স্বার্বভৌম দেশের উচিত এসব ফালতু অনুষ্ঠানে না যাওয়া, এদের উদ্দেশ্য মহৎ নয় বলে আমার ব্যক্তিগত অভিমত।
গোখণ্ড ভারত
ভারতের ছলচাতুরী আর মিথ্যা প্ররোচনার কোন মানে হয় না ! এই উপমহাদেশ আর কখনো ভারত বর্ষ হবে না ! ভারতে মুসলমানদের প্রতি যে অত্যচার আর নিপীড়ন চলে তা রিতিমত লোমহর্ষক ঘটনা ! এ জন্যই দ্বী-জাতীতত্বের ভিত্তিতে ভারত বর্ষ বিভক্ত হয়েছিল ! যা আর কখনো এক হবে না !!
যারা বাংলাদেশের স্বাধীনতা কে নিজেদের স্বাধীনতা মনে করে তাঁদের এইসব সেমিনারে যাওয়া মানে তাঁদের মনে করাকেই সমর্থন করা হবে তাই যাওয়ার কোন যোক্তিকতা নেই।
ভারতের এই দাবী নতুন করে উপনিবেশিক শাসন প্রবর্তনের এক নতুন পায়তারা। ভারতের হিন্দুত্ববাদী স্বয়ং সেবক সংঘ আর আর এস এসের রাম রাজত্ব প্রতিষ্ঠার এক হীন কল্পনার অংশ হলো অখন্ড ভারত প্রতিষ্ঠা। বরং মুসলিম এবং বাঙ্গালী জাতিস্বত্ত্বার প্রাচীন ঐতিহ্য পুনঃপ্রতিষ্ঠার জন্য প্রয়োজন অখন্ড বাংলা বা গ্রেটার বাংলা বা বৃহত্তর বঙ্গ প্রতিষ্ঠা করা। প্রয়োজনের বাংলাদেশের নেতৃত্বে ভারতের উড়িষ্যা বিহার পশ্চিম বঙ্গ আসাম মেঘালয় সিকিম নাগাল্যান্ড মনিপুরা অরুনাচল ত্রিপুরা আর মায়ানমারের রাখাইন রাজ্য নিয়ে অখন্ড বাংলা গঠন এখন সমযের দাবি। অখন্ড বাংলা হলে এতদঞ্চলের অর্থনৈতিক সামাজিক সাংস্কৃতিক এবং রাজনৈতিক সমৃদ্ধি যেমন উচ্চতার সর্বোচ্চ শিখর স্পর্শ করবে তেমনি বিশ্বে বৃহত্তর বঙ্গের মর্যাদা শক্তি সামর্থ্যও আকাশ ছুইবে। অতএব এতদঞ্চলের ইতিহাসবিদ ভু তাত্বিক ভু বিশেষজ্ঞ রাজনৈতিক সাংস্কৃতিক তাত্বিকদের বিশেষ অগ্রপথিকের ভুমিকা পালন করতে হবে গ্রেটার বেঙ্গল প্রতিষ্ঠার নেপথ্যে।
ভারতের এই ছলে পড়ার কোন প্রয়োজন নাই। ওরা বিষধর সাপ, পিটিয়ে মারা উচিৎ এখনি।
আবহাওয়ার সাথে অখন্ড ভারতের কি সম্পর্ক ? তাহলে অনুষ্ঠানের সভাপতিত্ব একজন মুসলমান করলে ভালো হয়।
অখন্ড ভারত হবার আগে জান মালের নিরাপত্তা দেখতে,যেমন ভারতীয় দের মুসলিম বিদ্বেষী মনোভাব পরিহার করতে হবে। মসজিদের নিচে মিথ্যা বানোয়াট মন্দির আছে বলে খুড়াকুড়ির নামে মসজিদ ভাংচুর করা বাদ দিতে হবে।পাশবর্তী দেশ গুলো সম্মান প্রদর্শন করা উচিৎ। তাহলেই অখন্ড ভারত সফল হবে।আর পিথিবির একটা মাত্র দেশ হলো ভারত,যা মিথ্যার জন্য নোবেল পাওয়ার যোগ্য।
ভারতে বিজেপি যতদিন টিকে আছে, ততদিন অখন্ড ভারতের চিন্তা করাটাও বাংলাদেশসহ অন্যান্য মুসলিম প্রদান দেশগুলোর জন্য হবে একটি আত্মঘাতীমূলক চিন্তা ভাবনা ।
অখণ্ড ভারত হবে ভালো কথা। তবে অখণ্ড ভারতের প্রধান হবে অবশ্যই মুসলমান। মুসলমান নেতৃত্ব ছাড়া অখণ্ড ভারত প্রতিষ্ঠা সম্ভব নয়।
অবিভক্ত ভারত থেকে বিভক্ত হওয়া দেশগুলির স্বাধীনতা সার্বভৌমত্ব টিকিয়ে রাখা এবং বর্তমান ভারতের অভ্যন্তরে যে ধর্মীয় বিদ্বেষ ও জাতিগত নিষ্পেষণ চলছে তা থেকে বেড়িয়ে আসার বিষয়ে আলোচনা হলে ভাল হত ।