অনলাইন
‘বিচার বিভাগের গায়ে যেন বিন্দুমাত্র কালিমা না লাগে’
স্টাফ রিপোর্টার
(১ মাস আগে) ১১ ডিসেম্বর ২০২৪, বুধবার, ৭:৫৯ অপরাহ্ন
সর্বশেষ আপডেট: ৬:১৯ অপরাহ্ন
বিচার বিভাগের গায়ে যেন বিন্দুমাত্র কালিমা না লাগে- এমন অনুরোধ করেছেন আপিল বিভাগের বিচারপতি সৈয়দ মোহাম্মদ জিয়াউল করিম। বুধবার আপিল বিভাগের এক নম্বর কোর্টে সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতি ও অ্যাটর্নি জেনারেল কার্যালয় কর্তৃক আয়োজিত বিদায়ী সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে এ মন্তব্য করেন এই বিচারপতি। তিনি বলেন, আমরা যদি অন্যায়ের বিরুদ্ধে কাজ করার দৃঢ় মানসিকতায় নিজেই নিজের কাছে শপথ নিই তাহলে আমরা অবশ্যই সুশাসন দ্বারা আমাদের স্বাধীন সার্বভৌম দেশকে সোনার বাংলায় গড়তে পারবো।
বিদায় বেলায় সহকর্মীদের প্রতি অনুরোধ জানিয়ে বিচারপতি সৈয়দ মোহাম্মদ জিয়াউল করিম বলেন, আপনাদের কাছে আমার সনির্বদ্ধ অনুরোধ, আমরা যেন এমন কিছু না করি যাতে সুবিচারের প্রতীক এই বিভাগের গায়ে বিন্দুমাত্র কালিমা লাগে। এ সময় তিনি জাতীয় সংগীতের একটি লাইন আবৃত্তি করে বলেন মা, ‘তোর বদনখানি মলিন হলে ওমা আমি নয়ন জলে ভাসি’।
সংবিধান অনুসারে সাতষট্টি বছর পূর্ণ করে আপিল বিভাগের এই বিচারপতি অবসরে গেলেন। আয়োজন করা হয় বিদায় সংবর্ধনা। অনুষ্ঠানে বিচারপতি সৈয়দ জিয়াউল মোহাম্মদ করিম বলেন, বিচার ব্যবস্থায় কারও একক অধিকার নেই এবং কারও একক প্রয়াসেও তা চলতে পারে না। সমষ্টিগত প্রয়াসের ঐকান্তিক প্রচেষ্টায় ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠার একমাত্র পূর্বশর্ত। তাই বিচারক থেকে শুরু করে বিচার ব্যবস্থার সঙ্গে সম্পৃক্ত সবাইকে একে অপরের সঙ্গে নিবিড়ভাবে সংযুক্ত হয়ে কাজ করতে হবে। বিচারিক জীবনের শেষ কর্ম দিবসে তিনি বলেন, একটি পরিবারের গৃহকর্তা যেমন তার পরিবারের সকলকে একত্র রেখে রক্ষা করেন আবার শাসনও করেন তেমনি সিনিয়র বিচারকরাও পরিবারের অভিভাবকের মতো জুনিয়র বিচারকদের ভালোবাসবেন, স্নেহ করবেন, দিকনির্দেশনা দেবেন এটাই কাম্য। তাদের আগলে রেখে পথ দেখাতে হবে যাতে তারা সব প্রতিবন্ধকতা অতিক্রম করে তাদের ওপর অর্পিত দায়িত্ব ও কর্তব্য যথাযথভাবে পালন করেন। অন্যথায় বিচার ব্যবস্থার সঙ্গে জড়িত দু-একজনের পদস্খলনে পুরো বিচার ব্যবস্থা ভেঙে পড়বে। একবার যদি বিচার ব্যবস্থা ভেঙে পড়ে তাহলে যেকোনো সময় অপশক্তি আমাদের দেশ ও সভ্য সমাজকে গ্রাস করবে।
বিচারপতি সৈয়দ মোহাম্মদ জিয়াউল করিম চলতি বছরের গত ১৩ই আগস্ট আপিল বিভাগের বিচারপতি হিসেবে শপথ নেন। তিনি রসায়নে স্নাতক, আইনে এলএলবি ও এলএলএম ডিগ্রি এবং পিএইচডি ডিগ্রি অর্জন করেন। ১৯৮৬ সালে তিনি জেলা আদালতে, ১৯৮৮ সালে হাইকোর্ট বিভাগে এবং ১৯৯৬ সালে আপিল বিভাগের আইনজীবী হিসেবে অন্তর্ভুক্ত হন। ২০০৪ সালের ২৩শে আগস্ট হাইকোর্ট বিভাগের অতিরিক্ত বিচারপতি এবং দুই বছর পরে স্থায়ী বিচারপতি হিসেবে নিয়োগ পান।
আগে জানতাম হাকিম নড়ে তো হুকুম নড়ে না। কথাটা কি এখনো প্রযোজ্য?
ওনার এই আহবান গত সাড়ে ১৫ বছর কোথায় গুম হয়েছিলো? একজন ন্যায় বিচারকের যদি বিবেক জাগরিত না থাকে তবে তার দ্বারা ন্যায় বিচার প্রতিষ্ঠিত হবে না।অবসরের পর ঘুমন্ত বিবেক জাগিয়ে লাভ কি?সোনার বাংলা"র বিচার ব্যবস্থা মুজিব কোটের দ্বারা আদিষ্ট হয়ে বিচার ব্যবস্থা শুধু ধ্বংস নয়,রাষ্ট্রের প্রতিটি প্রতিষ্ঠান জনগনের মুখমুখি দাড় করানোর দায় বিচারপতিরাও কম দায়ী নন।এর জন্য কি কোন অনুসূচনা করেছেন তিনি?পরপারের হিসাবের জন্য এবার অপেক্ষা করতে হবে?
'কালোর' বদলে 'সাদা' 'গাউন' এর প্রচলন করুন - সহজেই বুঝতে পারবেন কখন 'কালিমা' লেগেছে........