বিশ্বজমিন
অর্ধশতাব্দীর বেশি সিরিয়ার ক্ষমতায় ছিল আসাদ পরিবার
মানবজমিন ডেস্ক
(১ মাস আগে) ৮ ডিসেম্বর ২০২৪, রবিবার, ১:০৭ অপরাহ্ন
সর্বশেষ আপডেট: ১২:০৭ পূর্বাহ্ন
শক্তিশালী সামরিক নেতা হাফেজ আল-আসাদের পুত্র বাশার আল-আসাদ। উত্তরাধিকারসূত্রে পিতার কাছ থেকেই ক্ষমতা পেয়েছিলেন আসাদ। ১৯৭১ সাল থেকে ২০০০ সাল পর্যন্ত সিরিয়ার রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় ছিলেন আসাদের পিতা হাফেজ আল-আসাদ। পিতার মৃত্যুর পর প্রায় দুই যুগ স্বৈরশাসক হিসেবে সিরিয়ার রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় টিকে ছিলেন আসাদ। লৌহমুষ্টিতে শাসন করা আসাদের পতনের মধ্য দিয়ে টানা ৫০ বছরের বেশি সময়ের স্বৈরতন্ত্রের অবসান ঘটালো এমনটাই দাবি বিদ্রোহীদের। রোববার ভোরে দামেস্ক দখলের কথা জানিয়েছিলেন তারা। রাজধানীতে প্রবেশের সময় কোনো ধরনের সামরিক বাধার সম্মুখীন হননি বিদ্রোহীরা। তারা জানিয়েছেন আসাদ তার ব্যক্তিগত বিমানে করে সিরিয়া ত্যাগ করেছেন। তবে তিনি কোথায় গেছেন তা এখনও জানা যায়নি। এ খবর দিয়েছে অনলাইন আল জাজিরা।
এতে বলা হয়, ২০০০ সালের জুনে পিতার মৃত্যুর এক মাসের মাথায় সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট পদে বসেন আসাদ। সেসময় তিনি একজন মেডিকেলের ছাত্র ছিলেন। প্রেসিডেন্ট পদের পাশাপাশি বাথ পার্টির নেতা এবং সামরিক বাহিনীর কমান্ডার হয়েছিলেন সদ্য ক্ষমতাচ্যুত আসাদ।
উত্তারাধিকার সূত্রে ক্ষমতায় বসার এগারো বছর পর গণতন্ত্রের দাবিতে যখন সিরিয়ার সাধারণ রাস্তায় নেমে আসে তখন তাদের উপর প্রবল দমন-পীড়ন চালান আসাদ এবং তার বাহিনী। আসাদরে স্বৈরশাসনের বিরুদ্ধে সোচ্চার হওয়া কণ্ঠস্বরগুলোকে ‘সন্ত্রাসী’ আখ্যা দিয়ে কারাবন্দি করেছিলেন তিনি। তবুও গণতন্ত্রপন্থিদের আন্দোলন দমাতে পারেননি আসাদ। ক্রমান্বয়ে গণতান্ত্রিক আন্দোলনে মুক্তিকামী জনতার সংখ্যা বাড়তে থাকে। ফলে একসময় সিরিয়াতে গৃহযুদ্ধের সূচনা হয়। এর পরের বছরগুলোতে আসাদ বিদ্রোহীদের ওপর কঠিন থেকে কঠিনতর হতে থাকেন। এতে কয়েক হাজার সিরিয়াবাসী নিহত হন। সেসময় বেসামরিক মানুষের বিরুদ্ধে রাসায়নিক অস্ত্র ব্যবহারের দায়ে অভিযুক্ত হয়েছিলেন আসাদ। এছাড়া ওই আন্দোলনের মধ্যে নিজের হাতে কুক্ষিগত অঞ্চলগুলোতে নির্বাচন করেছিলেন সিরিয়ার ক্ষমতাচ্যুত প্রেসিডেন্ট। তবে অগণতান্ত্রিক বলে ওই নির্বাচন প্রত্যাখ্যান করেছিলেন বিরোধীরা। গৃহযুদ্ধের মাধ্যমে ক্রমান্বয়ে ক্ষমতা থেকে দূরে সরে যাওয়া সত্ত্বেও আসাদ তার রাজনৈতিক দল এবং তার সমর্থক আলাউইত পার্টির মাধ্যমে ক্ষমতাকে আঁকড়ে ধরে রাখতে প্রচেষ্টা চালিয়ে গেছেন।
স্বৈরাচারদের পতন জঘন্য ভাবে হবেই হবে
পালিয়ে গেল কোথায় ? ভারতে ?
সিরিয়ায় শান্তি ফিরিয়ে দিন মহান আল্লাহ পাক রাব্বুল আলামিন।
কোন স্বৈরশাসকই টিকে থাকতে পারেননি। সবাইকে পালাতে হয়েছে --
স্বৈরাচারী শেখ হাসিনার পলায়নের ৪ মাস পর আরেকজন স্বৈরশাসক সিরিয়া থেকে পালালেন। জনরোষে স্বৈরশাসকরা এভাবেই জীবনের পালায়।