প্রথম পাতা
ভুয়া মুক্তিযোদ্ধা সনদে এক ব্যাংকে ১৪৫ জনের চাকরি!
শরিফ রুবেল
২৯ নভেম্বর ২০২৪, শুক্রবারপ্রতীকী ছবি
মীর মোহাম্মদ শাহীন। কর্মসংস্থান ব্যাংকের সিনিয়র প্রিন্সিপাল অফিসার। ২০১১ সালে মুক্তিযোদ্ধা কোটায় সিনিয়র অফিসার হিসেবে ব্যাংকটিতে নিয়োগ পান তিনি। পেরিয়ে গেছে ১৪ বছর। এর মধ্যে একাধিকবার পদোন্নতিও পেয়েছেন। বেতন-ভাতাও বেড়েছে। নিজের পছন্দমতো ব্রাঞ্চে চাকরি করছেন শাহীন। নানা সুযোগ-সুবিধা আরও কতো কি! তবে সম্প্রতি শাহীনের ঠকবাজি ধরা পড়ে যায়। মানবজমিন অনুসন্ধানে বেরিয়ে আসে শাহীনের নিয়োগ
প্রক্রিয়ায় ভয়াবহ জালিয়াতির তথ্য। কাগজপত্র বলছে, নিয়োগের সময় শাহীন তার পিতা মীর মোশারফ হোসেনের যে মুক্তিযোদ্ধা সনদ ব্যবহার করেছেন তা আসলে নকল। গেজেট নম্বরও ভুয়া। এমনকি শাহীনের পিতার নামে টাঙ্গাইলের ঘাটাইল উপজেলায় কোনো মুক্তিযোদ্ধাই নেই। উপজেলার মুক্তিযোদ্ধাদের সমন্বিত তালিকায়ও শাহীনের পিতার নাম পাওয়া যায়নি। ভয়ঙ্কর তথ্য হলো শাহীনের পৈতৃক নিবাস জয়নাবাড়ী গ্রামের স্থায়ী বাসিন্দারাও জানেন না শাহীনের বাবা মীর মোশারফ হোসেন কবে, কোথায় মুক্তিযুদ্ধ করেছেন। শাহীন মুক্তিযোদ্ধা কোটায় চাকরি পেয়েছে- এই কথা শুনে তারা রীতিমতো অবাক। তাহলে কীভাবে কোটায় চাকরি পেলেন শাহীন? কাদের যোগসাজশে জালিয়াতি করে ১৪ বছর চাকরি করছেন। নিয়োগ বোর্ড তাকে কীভাবে নিয়োগ দিলেন। এই প্রশ্নের জবাব মিলছে না। তবে মানবজমিন অনুসন্ধানে কর্মসংস্থান ব্যাংকের নিয়োগ প্রক্রিয়ায় আরও তেলেসমাতি কাণ্ড বেরিয়ে এসেছে। অনুসন্ধান বলছে, শুধুমাত্র মীর মোহাম্মদ শাহীন একাই নয়, ২০১১ সাল থেকে ২০২৩ সাল পর্যন্ত মুক্তিযোদ্ধার ভুয়া গেজেট নম্বর বসিয়ে ব্যাংকটিতে অন্তত ১৪৫ জন চাকরি নিয়েছেন। সকলেই বহাল তবিয়তে আছেন। প্রথম, দ্বিতীয় ও তৃতীয় শ্রেণিতে নিয়োগ পাওয়াদের কেউ কেউ এখন সহকারী মহাব্যবস্থাপক, সিনিয়র প্রিন্সিপাল অফিসার, প্রিন্সিপাল অফিসার, সিনিয়র অফিসার, অফিসার, সহকারী অফিসার ও ডাটা এন্ট্রি অফিসার পদে পদোন্নতি পেয়েছেন। কেউ কেউ ২ থেকে ৩ বারও পদোন্নতি পেয়েছেন। অনেকে পছন্দমতো নিজ জেলায় চাকরি করছেন। সুযোগ-সুবিধা পাচ্ছেন। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ঝড়ের বেগে দ্রুত পদোন্নতি পাওয়া অনেকে কোটি টাকার মালিক বনে গেছেন। বাড়ি, গাড়ি, ফ্ল্যাট, প্লট কিনেছেন। আলিশান জীবন পার করছেন। বিদেশ ভ্রমণ করছেন। এমন অন্তত ৬০ জনের বর্তমান কর্মস্থল, পদোন্নতির তথ্য, রাজনৈতিক পরিচয়, স্থায়ী ঠিকানা ও বিপুল সম্পদ অর্জনের তথ্য মানবজমিনের হাতে রয়েছে।
অনুসন্ধানে দেখা গেছে, বিভিন্ন সময়ে নিয়োগ পাওয়াদের অধিকাংশই ছাত্র জীবনে আওয়ামী লীগের সহযোগী সংগঠন ছাত্রলীগের রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। কেউ সরাসরি কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের পদধারী ছিলেন। কারও কারও পিতা-মাতাও আওয়ামী লীগের রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত রয়েছেন। মানবজমিনের হাতে থাকা ভুয়া সনদে নিয়োগ পাওয়াদের তালিকা ধরে অন্তত ৩০ জনকে ফোন করা হয়। ফোনে কীভাবে নিয়োগ পেয়েছেন প্রশ্ন করা হলে কেউ জবাব দিতে পারেননি। কেউ বলেছেন কোটায় নিয়োগ পাননি। আবার কেউ বলেছেন কিসে নিয়োগ পেয়েছে, তা মনে করতে পারছেন না। অনেকে বলেছেন, মুক্তিযোদ্ধা কোটায় নিয়োগ পেয়েছি। গেজেট নম্বর জানি না। তবে এই প্রতিবেদককে কেউই তাদের পিতার মুক্তিযোদ্ধা সনদের প্রমাণপত্র দেখাতে পারেননি। কয়েকজন বলেছেন, নিয়োগের সময় তাদের বাবার সনদ ছিল না। কিন্তু পরে হয়েছে।
মুক্তিযুদ্ধ মন্ত্রণালয় বলছে, কর্মসংস্থান ব্যাংক থেকে পাঠানো ১৪৭ জনের তালিকার মাত্র দু’জনের গেজেট নম্বর পাওয়া গেছে। তাও কিছুটা গরমিল। বাকি সবগুলো নকল গেজেট নম্বর। ওই গেজেট নম্বরের কোনো মুক্তিযোদ্ধা মন্ত্রণালয়ের তালিকায় নেই। অনেকভাবে তল্লাশি করা হয়েছে। কিছু পাওয়া যায়নি। সামরিক, বেসামরিক, লালমুক্তি বার্তা, ভারতীয় তালিকায় কোথাও তাদের নাম পাওয়া যায়নি। নিয়োগের সময় একটি ভুয়া গেজেট নম্বর বসিয়ে তাদের চাকরিতে নিয়োগ দেয়া হয়েছে বলে ধারণা করছে মন্ত্রণালয়। এদিকে মানবজমিনের হাতে আসা ভুয়া মুক্তিযোদ্ধা সনদে চাকরি পাওয়া ১৪৫ জনের তালিকা নিয়ে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ে যোগাযোগ করা হয়। মন্ত্রণালয় তা যাচাই বাছাই করে ভুয়া বলে শনাক্ত করেন। কারও পিতার মুক্তিযোদ্ধা সনদ ও ন্যূনতম প্রমাণ মন্ত্রণালয়ে পাননি। এ বিষয়ে মন্ত্রণালয়ের এক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা মানবজমিনকে বলেন, কোটায় নিয়োগ পাওয়াদের তালিকা কর্মসংস্থান ব্যাংকে চেয়েছি। পরে ব্যাংক থেকে একটি তালিকা মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়। ওই তালিকায় চাকরি পাওয়া প্রত্যেকের নামের সঙ্গে তাদের পিতার মুক্তিযোদ্ধা সনদের গেজেট নম্বর ও নিয়োগের তারিখ দেয়া রয়েছে। তবে আমরা ওই নম্বরে কোনো মুক্তিযোদ্ধা খুঁজে পাইনি। এমনকি তাদের মুক্তিযোদ্ধা সনদ, সামরিক, বেসামরিক গেজেট, লালমুক্তি বার্তা, ভারতীয় তালিকা, এমআইএস নম্বর কিছুই খুঁজে পাওয়া যায়নি। গেজেট নম্বরগুলো আসলে নকল ও ভুয়া। তারা যে মুক্তিযোদ্ধা এমন কোনো কাগজপত্র ও দালিলিক প্রমাণপত্র আমাদের মন্ত্রণালয়ে ও মুক্তিযোদ্ধা সংসদে খুঁজে পাইনি। পরে আমরা এই ধরনের জালিয়াতির সঙ্গে জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে কর্মসংস্থান ব্যাংকে সুপারিশ করেছি। এখন প্রতারণার সঙ্গে জড়িতদের কারও চাকরি থাকার কথা নয়। তাদের চাকরিতে নিয়োগের সার্টিফিকেটই যদি ভুয়া থাকে, তাহলে কীভাবে চাকরি থাকবে?
ভুয়া গেজেট নম্বরে যারা নিয়োগ পেয়েছেন: চাকরিতে নিয়োগের সময় সিনিয়র অফিসার, অফিসার, সহকারী অফিসার ও ডাটা এন্ট্রি অফিসার হিসেবে নিয়োগ পাওয়া প্রত্যেকেই পদোন্নতি পেয়ে এখন সিনিয়র প্রিন্সিপাল অফিসার (এসপিও) হিসেবে কর্মরত আছেন। তারা হলেন- রাসেল আহমেদ, মামুনুর রশীদ, খালেদ সাইফুল্লাহ, বাসুদেব মণ্ডল, সালমা রহমত, মুহাম্মদ শরিফুল ইসলাম, সেলিম রেজা, ইমতিয়াজ হায়াত খান, মীর মোহাম্মদ শাহীন, মোবারক হোসেন, সাঈমা হাশেম, মোহাম্মদ মোরশেদ মিয়া, এসএম সেলিম রেজা, সরকার মোহাম্মদ আব্দুর রাজ্জাক, একেএম রেজাউল কবীর খান, নজরুল ইসলাম, হুমায়ুন কবির, আরজুমান আরা, রাশেদা বেগম, মোহাম্মদ মহিউদ্দিন রাসেল, মোসাম্মৎ শিউলী সুলতানা, খন্দকার মোবাশ্বের হোসেন, জাহাঙ্গীর আলম, রাসেল সরকার, শেখ মুঞ্জীল আলী, মোহাম্মদ মাহমুদুল হক খান, নুরুজ্জামান মিয়া, শাহনেওয়াজ হক, ফেরদৌসী সুলতানা, আশরাফুল ইসলাম, মাহফুজা আখতার, কাজী লাইলুম মুনীরা, সাইফুল ইসলাম, মোহাম্মদ মাঈন উদ্দিন, মাহমুদা আক্তার, সুব্রুত মজুমদার, এনামুল হক, মোহাম্মদ কামরুল হাসান, মোহাম্মদ ইব্রাহিম মজুমদার, আমির হোসেন মোল্লা, আলী আক্কাছ মিজি, সৈয়দা সোহেলী পারভীন, মোশাররফ হোসেন, খলিফা কামরুল হাসান, কাজী গোলাম শোয়েব, আতিকুর রহমান খোশনবীশ, মতিউর রহমান, আনিসুর রহমান, কবির হোসেন, ঝর্ণা রায়, সাবরিনা মমতাজ সাবিনা, নাজিয়া জাফরিন, এস এম সফিউল আজম, সজল কুমার মণ্ডল, রফিকুল ইসলাম, মোহাম্মদ আমিন খালিদ চকদার, বিদ্যুৎ কুমার সরকার, পল্লব কুমার সেন, মৃদুলেন্দু বড়াল, মোহাম্মদ মাসুদ, মোহাম্মদ আবদুল রহমান, এ বি সালেহীন, মৌসুমী ইসলাম সুমী, মাহবুব আলম, শাহরিয়ার রুবেল, হাফিজুর রহমান, মীর মো. রবিউল আলম, সেলিম রেজা, মোহাম্মদ বদরুল আলম, রেজাউল আলম, এসএম নুরুদ্দিন, মোহাম্মদ সাখাওয়াত হোসেন, মাফিজুর রহমান, মোহাম্মদ ফরহাদ হোসেন, আব্দুস সালাম, মুনতাসির নাজিম দোলন, মো. নাদিম, আব্দুল্লাহ আল হাদী, এটিএম নাজমুস সাকলাইন, আজিজুর রহমান, মোহাম্মদ মনিরুজ্জামান, ইসমেতারা ইসলাম রিমি, মুহাম্মদ সাইফুল ইসলাম, আসকে নবী ফাজলে রাব্বী, মোহাম্মদ মাসকুর রহমান, এএসএম মুশফিকুর রহমান, ফয়সাল আহমেদ, সাইদুল ইসলাম, মুহাম্মদ আল আমিন, নাছরিন আক্তার, বিপিন মজুমদার, সেকেন্দার আলী, গোলাম ওয়াদুদ, খন্দকার মেহেদী হাসান, জাকির হোসেন, রাশিদুল ইসলাম, মনজুর রহমান, ফারহানা ইয়াছমিন, রাশিদুল আলম, মোহাম্মদ জান্নাতুল হাসান, আবুল হোসেন, রাসেলুজ্জামান, সোনিয়া রহমান, লায়লা আখন্দ রিয়ান, মাজহারুল ইসলাম, হুমায়ুন কবির ও সোহানুর রহমান। তবে ভুয়া সনদে চতুর্থ শ্রেণিতে নিয়োগ পাওয়া ৩৮ জন এমএলএসএস ও নিরাপত্তা প্রহরী কেউই এখনো পদোন্নতি পাননি। এদের মধ্যে কেউ কেউ চাকরিতে থেকেই উচ্চতর ডিগ্রি নিয়েছেন।
জালিয়াতির বিষয়ে জানতে চাওয়া হলে ভুয়া সনদে নিয়োগ পাওয়া কর্মসংস্থান ব্যাংকের সিনিয়র প্রিন্সিপাল অফিসার মীর মোহাম্মদ শাহীন মানবজমিনকে বলেন, আমি মুক্তিযোদ্ধা কোটায় নিয়োগ পেয়েছি। সকল কাগজপত্র ব্যাংকে জমা আছে। পিতার বেসামরিক গেজেট নম্বর ও এমআইএস নম্বর কতো জানতে চাওয়া হলে তিনি বলেন, আমার এসব জানা নেই। তাদের কাছে কোনো সনদপত্র নেই বলে জানান তিনি। তার পিতার মুক্তিযোদ্ধা সনদ আছে কিনা জানতে চাওয়া হলে তিনি বলেন, বাড়িতে গিয়ে খুঁজে দেখতে হবে। পরে তিনি কোটায় নিয়োগ পাওয়ার বিষয়টি অস্বীকার করেন।
ভুয়া সনদে চাকরি নেয়া কর্মসংস্থান ব্যাংকের আরেক সিনিয়র প্রিন্সিপাল অফিসার শাহনেওয়াজ খান বলেন, আমি কোটায় নিয়োগ পেয়েছি। নাকি সাধারণ নিয়োগ হয়েছে তা মনে করতে পারছি না। তবে আমার পিতার মুক্তিযোদ্ধা সনদ আছে। তাহলে মন্ত্রণালয়ের তালিকায় নাম নেই কেন জানতে চাওয়া হলে তিনি বলেন, আমি চাকরি পাওয়ার পরে আমার বাবার সনদ হয়েছে। পরে উপজেলা তালিকায় নাম না থাকার বিষয়ে প্রশ্ন করলে তিনি কোনো সদুত্তর দিতে পারেননি।
ইমতিয়াজ হায়াত খান নামের আরেক প্রিন্সিপাল অফিসার মানবজমিনকে বলেন, আমি মুক্তিযোদ্ধা কোটায় নিয়োগ পাইনি। আমার পিতা মুক্তিযোদ্ধা নয়। পরে ব্যাংক থেকে পাঠানো তালিকায় কোটায় নিয়োগ পেয়েছেন এমন প্রশ্ন করলে তিনি বলেন, এমন হওয়ার কথা নয়। ব্যাংক হয়তো ভুল করেছে।
জানতে চাওয়া হলে কর্মসংস্থান ব্যাংকের উপ-মহাব্যবস্থাপক (ডিজিএম) এস এম এমাম মাসুম মানবজমিনকে বলেন, মন্ত্রণালয় থেকে আমাদের কাছে মুক্তিযোদ্ধা কোটায় নিয়োগপ্রাপ্তদের তালিকা চেয়েছিল। আমরা ইতিমধ্যে তালিকা পাঠিয়ে দিয়েছি। এখন চাকরি পাওয়াদের কে আসল কে ভুয়া মুক্তিযোদ্ধা সনদে চাকরি নিয়েছেন, তা আমাদের জানা নেই। যদি এমন কিছু হয়ে থাকে, তাহলে অবশ্যই তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে। মন্ত্রণালয় থেকে এখনো আমাদের কিছু জানানো হয়নি। মন্ত্রণালয় ক্লিয়ারেন্স দিলে আমাদের পরবর্তী প্রসিডিউর শুরু হবে। ১৪৭ জন ব্যক্তি কীভাবে ভুয়া গেজেট নম্বর দিয়ে চাকরি পেলো- এই প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আসলে আমি নিয়োগ পেয়েছি ১ বছর হয়েছে। তাই কীভাবে কী হয়েছে তা আমি অবগত নই। আমি ঊর্ধ্বতনদের বিষয়টি জানাবো।
ভুয়া মুক্তিযোদ্ধা সার্টিফিকেট দিয়ে নেওয়া সবার চাকুরী দ্রুত বাতিল করে। সেই সময়ে বাদ পরা মেধাবীদের নিয়োগপত্র প্রদান করা উচিত।
ধন্যবাদ এদের মুখোশ খুলে দেয়ার জন্য।
সব মন্ত্রণালয় ও সরকারী বাংকে খোজ নিয়ে তাদেরকে বহিস্কার করে স্থাবর অস্থাবর সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করতে হবে
আওয়ামী লীগ ছিল একটা অনিয়মের কারখানা, তাদের লোকজনের জন্য যে কোন অপকর্ম করতে দ্বিধা বোধ করে না.. তারা মুক্তিযোদ্ধা তৈরীর কারখানা দিয়েছিল
সব মন্ত্রণালয় ও সরকারী বাংকে খোজ নিয়ে তাদেরকে বহিস্কার করে স্থাবর অস্থাবর সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করতে হবে
পুলিশ এ হাজার হাজার ভূয়া মুক্তি যুদ্ধা কৌটায় চাকুরী দেয়া হয়েছে। ভূয়া মুক্তি যুদ্ধা সাফিউদ্দিন ভূঁইয়া, রায়পুরা উপজেলা, নরসিংদী র দুই ছেলে কাউসার ভুঁইয়া, আফাজ উদ্দিন ভূঁইয়া পুলিশ এ কনস্টেবল হিসাবে , মেয়ে আউলিয়া বেগম প্রাথমিক এ শিক্ষক হিসেবে নিয়োগ পায়। এরা মুক্তি যুদ্ধা কৌটায় চাকুরী পায়।
ভুয়া মুক্তি কোটায় চাকরি নিচে এরকম অনেক আছে। মেধাবীদের চাকরি নেই।
আমি একজন প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধার সন্তান, জেনুইন ডকুমেন্টস নিয়ে একটা অফিস সহায়ক চাকরির জন্য শত চেষ্টা করেও পায় নি, অথচ ভূয়া মুক্তিযোদ্ধা সনদে কত লোক চাকরি করছে, এজন্যই হাসিনা সরকারের বেহাল অবস্থা।
অগ্রণী ব্যাংকেও অসংখ্য আছে ভুয়া সনদে চাকরি নিয়ে কর্মরত অবস্থায়।
ভুয়া মুক্তিযোদ্ধার পোষ্যদের খুটে বেছে বের করা হোক এবং এযাবৎ যে সকল বেতন ভাতা ও সুযোগ সুবিধা নিয়েছে পাই পাই করে হিসেব করে আদায় করার পর অবিলম্বে চাকুরীচুত করে আইনে সোপর্দ করা হোক।
2013 year a, ai bank ar Managing Director tar chele ka Senior Officer baniye (merit position 1st) niyog dae, eta bank ar shobai jane. Open secret. Akhon tar chele Senior Principal Officer.
এ ব্যাংকে ভূয়া মুক্তিযোদ্ধা। অবৈধভাবে বদলি, পদায়ন করা। টাকা না দিলে দূরবর্তী স্থানে বদলি করা। মিথ্যা চার্জশিট তৈরি করে দূরবর্তী স্থানে বদলি করা। বৈষম্যমূলক নীতি এ ব্যাংকে বিদ্যমান। বিভিন্ন আঞ্চলিক ব্যবস্পাপক কর্তৃক শাখা ব্যবস্সাপকদের অতিরিক্ত ভ্রমণ বিল প্রদান সহ নানা অনিয়মের কারখানা এ ব্যাংক।
পাওয়ার সেক্টরের দিকে নজর দিন। পিডিবি, আরইবি, পাওয়ার গ্রিড, ডিপিডিসি, ডেস্কো, পল্লি বিদ্যুৎ এক দুই হাজার বাটপার মুক্তি কোটা পাবেন
প্রত্যেককে গ্রেফতার করে আইনিভাবে কঠিন থেকে কঠিনতর শাস্তির ব্যবস্তা করা হোক পরবরতি প্রজন্মের চলার পথ সচ্ছ সুন্দর করার আহবান জানাচ্ছি।
ভাই খুব সুন্দর একটা রিপোর্ট করেছেন। আপনার রিপোর্ট করার পরও প্রশাসন কেন কোন পদক্ষেপ নিচ্ছে না..? ইউনুস সরকার কি করতেছে..? যত ভুয়া সার্টিফিকেটে চাকরি হয়েছে সবাইকে একটি প্রজ্ঞাপন দিয়েই চাকরি থেকে বহিষ্কার করে বিচারের আওতায় আনা উচিত। আর সত্যিকারের মুক্তিযোদ্ধার সন্তানদের চাকরির ব্যাপারে সরকারের নজর দেওয়া উচিত।
ভুয়া মুক্তিযোদ্ধা কোঠায় চাকুরী প্রাপ্ত সকলকে চাকুরীচ্যুত করতে হবে। ভুয়া সনদের মাধ্যমে শত শত ছাত্রলীগ কর্মী কে চাকুরী দেয়া হয়েছে। প্রত্যেক স্থানে এই শয়তান গুলোই সমস্যা সৃষ্টি করতেছে। আমার চোখের সামনে একজন ভুয়া মুক্তিযোদ্ধা আছে, সকল প্রকার সুযোগ সুবিধা ভোগ করতেছে। নাম গোপন রেখে কমপ্লেইন করার কোন সিস্টেম জানা থাকলে একটু বলবেন, প্লিজ।
সোনালী ব্যাংকে ২০১৪ সালে শুধু মাত্র মুক্তিযোদ্ধা কোটায় বিশাল নিয়োগ দেওয়া হয়। এর মধ্যে বিশাল সংখ্যায় ভূয়া মুক্তিযোদ্ধার সন্তানদের নিয়োগ দেয়া হয়। এটা তদন্ত করলে বেরিয়ে আসবে।
মানবজমিনকে ধন্যবাদ এমন একটা খবর প্রকাশের জন্য, এদের প্রতারণার দায়ে চাকুরীচ্যূতিসহ ফৌজদারী অপরাধের প্রেক্ষিতে আইনের আওতায় আনতে হবে এবং নতুনদের চাকুরী দিতে হবে।
ধন্যবাদ মানবজমিনকে। অগ্রনী ব্যাংকেও শুধু মুক্তিযোদ্ধা কোটায় একসাথে ২৫০/৩০০ চাকুরী দিয়েছিল।
যারা ভুয়া মুক্তিযুদ্ধের কোঠায় চাকুরী পেয়ে ভুয়া অর্থ গলধঃকরণ করেছেন তাদের গন্তব্যস্থান এখন কোথায় হবে এবং এদের দ্বারা সরকার এখন কি করবেন ??
আমি মনে করি যারা নিয়োগ দিয়েছে এবং যারা নিয়োগ নিয়েছে সমান অপরাধী।নিয়োগকর্তাদের আগে শাস্তি হওয়া প্রয়োজন কারণ তারা যাচাই বাছাই করে নাই কেন।
প্রত্যেককে গ্রেফতার করে আইনিভাবে কঠিন থেকে কঠিনতর শাস্তির ব্যবস্তা করে পরবরতি প্রজন্মের চলার পথ সচ্ছ সুন্দর করার আহবান জানাচ্ছি।
সোনালী ব্যাংকে ২০১৫ সালে শুধুমাত্র মুক্তিযোদ্ধার সন্তানদের একটি ব্যাচ নিয়োগ দেয়া হয়েছে, এদের যাচাই করলে এরচেয়ে ভয়াবহ তথ্য পাওয়া যাবে।
এজন্যই হাজার হাজার মানুষকে খুন করেছে ডাইনিটা। কোটার আড়ালে ছাত্রলীগের চাকরি নিশ্চিত করছিল সে।
বাংলাদেশের সব ব্যাংকে অনুসন্ধান করার আবেদন জানাই।
জালিয়াতি করে চাকরি নেয়া সবাই কে বহিষ্কার করা উচিত এবং দেশের সব প্রতিষ্ঠানের এ বিষয়ে পদক্ষেপ গ্রহণ করা উচিত
সোনালী ব্যাংকে আরো বেশি আছে, সরকারী সব ব্যাংকে ভালভাবে তল্লাশি চালিয়ে আসল সত্যতা বের করা উচিত
সরকারী অন্য ব্যাংকগুলো নিয়েও রিপোর্ট করেন। ভুয়া হলেও তাদের স্ত্রী, সন্তানসহ পারিবারিক ও সামাজিক দিক বিবেচনায় চাকরী থেকে বরখাস্ত না করে বরং পদাবনতি দিয়ে যিনি যে পদে জয়েন করেছিলেন এবং যে বেতনে তাদের সেই অবস্থানে নিয়ে আসা হোক। এতে করে তাদের পরিবারও বাঁচবে অন্যদিকে শাস্তি দেয়াও হলো
এসব দেখি কানার হাট-বাজার
Amader gesh ta chur batpare bhore gheche eder ainer aotay ante hobe sob kane dolio koron
আমার নিজের বোনকে দুষ্টচক্র বীরাঙ্গনা বানিয়েছে। ভাতা পাচ্ছে। আমি প্রমাণসহ বিভিন্ন সংবাদপত্রে, দেশ টেলিভিশনে, দুদক ও মন্ত্রণালয়ে জানিয়েছি। কেউ ব্যবস্থা নিচ্ছেন না। আমার ফোন নম্বর ০১৭১২১৯৪০৬৭। আপনারা কি সাহায্য করবেন?
শুধু কর্মসংস্থান ব্যাংকই নয়,বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংকসহ অন্যান্য ব্যাংকেও ও সকল সরকারী প্রতিষ্টানে অনুসন্ধান জোরদার করা উচিত। এদের সকলকে রাষ্ট্রের সাথে প্রতারণার দায়ে চাকুরীচ্যূতিসহ ফৌজদারী অপরাধের প্রেক্ষিতে আইনের আওতায় আনতে
আরও যারা ভূয়া মুক্তিযোদ্ধা কোটায় চাকরি করছে। সকলকে দ্রুত গ্রেফতার করা হোক
বাবা মুক্তিযোদ্ধা কি না তা সন্তান মনে করতে পারছে না বা কোটায় না মেধায় চাকুরী করেন তাও জানেন না। আমার কিছু বলার নাই।
ব্যংক সহ অন্যান্য মন্তানালয় অনুসন্ধান করে ভুয়া মুক্তিযুদ্ধা চিহ্নিত করে শাস্তির আওতায় আনতে হবে।
মুক্তিযোদ্ধার সন্তান, তার বাবার প্রকৃত মূক্তিযোদ্ধা কি না সেটা বলতে পারে না, তারা কি করে কোটায় চাকরি পাই।
ভারতীয় কোটাা কি? এ বিষয়ে একটি প্রতিবেদন চাই।
এটার নাম দেয়া উচিৎ মুক্তিযোদ্ধা পুনর্বাসন ব্যাংক
এসব কারণেই বিগত ১৬ বৎসর মুক্তিযুদ্ধের চেতনা নিয়ে এতো কচকোচনি এতো লাফলাফি হইছে।
সব সম্ভবের দেশ বাংলাদেশ! এরা আসলেই বাংলাদেশী কিনা, ঐটা ভালো করে যাচাই করে দেখেন।
শুধু কর্মসংস্থান ব্যাংকই নয়,বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংকসহ অন্যান্য ব্যাংকেও অনুসন্ধান জোরদার করা উচিত। এদের সকলকে রাষ্ট্রের সাথে প্রতারণার দায়ে চাকুরীচ্যূতিসহ ফৌজদারী অপরাধের প্রেক্ষিতে আইনের আওতায় আনতে হবে।
এটাই ছিলো হাসিনার মুক্তিযুদ্ধা কোটা
বাংলাদেশ ব্যাংকের তালিকা বের করেন।
পুরো দেশটাই এভাবে ভূয়াদের চলছে হাসিনা নিজেও ভূয়া সবকিছু বানাইছেও ভূয়া