ঢাকা, ৩ জুন ২০২৫, মঙ্গলবার, ২০ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ, ৫ জিলহজ্জ ১৪৪৬ হিঃ

প্রথম পাতা

হাসিনার বিচার শুরু

স্টাফ রিপোর্টার
২ জুন ২০২৫, সোমবার
mzamin

ছাত্র-জনতার গণ-অভ্যুত্থানে সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় শেখ হাসিনাসহ তিনজনের বিরুদ্ধে আনুষ্ঠানিক অভিযোগ (ফর্মাল চার্জ) দাখিল করেছে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের প্রসিকিউশন বিভাগ। অন্য দু’জন হলেন- তৎকালীন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল এবং সাবেক আইজিপি আব্দুল্লাহ আল মামুন। প্রতিবেদনে তাদের বিরুদ্ধে সুনির্দিষ্ট ৫টি অভিযোগে এনে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১ এ দাখিল করা হয়েছে। পরে ট্রাইব্যুনালের চেয়ারম্যান বিচারপতি মো. গোলাম মর্তূজা মজুমদারের নেতৃত্বাধীন ৩ সদস্যের ট্রাইব্যুনাল অভিযোগ আমলে নেয়ার আদেশ দেন। ট্রাইব্যুনালের অপর ২ সদস্য হলেন- বিচারপতি মো. শফিউল আলম মাহমুদ এবং অবসরপ্রাপ্ত জেলা ও দায়রা জজ মো. মোহিতুল হক এনাম চৌধুরী। একইসঙ্গে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও সাবেক মন্ত্রী আসাদুজ্জামান খানের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছেন। আর মামলার অপর আসামি পুলিশের সাবেক মহাপরিদর্শক চৌধুরী আব্দুল্লাহ আল মামুনের বিরুদ্ধে প্রোডাকশন ওয়ারেন্ট জারি করেছে ট্রাইব্যুনাল। আগামী ১৬ই জুন আনুষ্ঠানিক অভিযোগের বিষয়ে পরবর্তী আদেশ এবং আসামিদের গ্রেপ্তার করে ট্রাইব্যুনালে হাজিরের জন্য দিন ধার্য করেছেন ট্রাইব্যুনাল-১।

বাংলাদেশের ইতিহাসে প্রথমবারের মতো আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের বিচারিক কার্যক্রম বিটিভিতে সরাসরি সম্প্রচার করা হয়। এদিন ট্রাইব্যুনালে প্রসিকিউশনের পক্ষে চিফ প্রসিকিউটর মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম, প্রসিকিউটর মিজানুল ইসলাম ও মো. আব্দুস সোবহান তরফদার শুনানি করেন। এ সময় অপর প্রসিকিউটর এবিএম সুলতান মাহমুদ, গাজী এইচ এম তামিমসহ অন্য প্রসিকিউটররা উপস্থিত ছিলেন। তদন্ত সংস্থার সমন্বয়ক আনসার উদ্দিন খান পাঠান, সহ-সমন্বয়ক শহীদুল্লাহ চৌধুরীসহ তদন্ত সংস্থার অন্যান্য সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।

গত ১২ই মে চিফ প্রসিকিউটর অফিস বরাবর এই তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেয় ট্রাইব্যুনালের তদন্ত সংস্থা। এতে শেখ হাসিনাকে জুলাই-আগস্টে নৃশংসতার ‘মাস্টারমাইন্ড, হুকুমদাতা ও সুপিরিয়র কমান্ডার’ হিসেবে বর্ণনা করা হয়। সে প্রতিবেদন যাচাই-বাছাই শেষে আনুষ্ঠানিক অভিযোগ হিসেবে গতকাল ট্রাইব্যুনালে দাখিল করা হয়। প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে জুলাইয়ের আন্দোলন দমাতে প্রায় ১৫০০ লোককে হত্যা করা হয়েছে, ২৫ হাজারের বেশি মানুষকে গুলি করে আহত করা হয়েছে, নারীদের ওপর সহিংসতা ও যৌন নির্যাতন করা হয়েছে, ‘টার্গেট’ করে শিশুদের হত্যা করা হয়েছে, হত্যাকাণ্ডের পর লাশ ও জীবিত মানুষকে একত্রিত করে পুড়িয়ে দেয়া হয়েছে, নিহতদের জানাজার নামাজ পড়তে বাধা দেয়া হয়েছে, আহতদের হাসপাতালে নিতে, চিকিৎসা দিতে, এমনকি পোস্টমর্টেমেও বাধা দেয়া হয়েছে। এই সমস্ত কর্মকাণ্ডগুলো তদন্ত করে প্রধান মাস্টারমাইন্ড এবং হুকুমদাতা ও সুপিরিয়র কমান্ডার হিসেবে শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে তদন্ত রিপোর্ট দাখিল করেছেন। হাসিনার এই অনৈতিক হুকুম বাস্তবায়ন হচ্ছে কিনা সেটা আসাদুজ্জামান খান কামাল ও আইজিপি আব্দুল্লাহ আল মামুন তদারকি করতেন। এই তদন্ত প্রতিবেদন ৬ মাস ২৮ দিনের তদন্ত শেষে ১৩৫ পৃষ্ঠার এই প্রতিবেদন প্রস্তুতে প্রত্যক্ষদর্শী ও জীবিত ভিক্টিমদের সাক্ষ্য, অপরাধ সংগঠনের সময় ধারণকৃত ভিডিও ফুটেজ, ড্রোন এবং সিসিটিভি ফুটেজ, আসামিগণের মধ্যে টেলিফোন সংলাপের অডিও ক্লিপ, ডিজিটাল এভিডেন্সের ফরেনসিক রিপোর্ট, আসামিগণের স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি, গণমাধ্যম ও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম থেকে প্রাপ্ত ভিডিও থেকে তথ্য সংগ্রহ করা হয়েছে।

ট্রাইব্যুনালে তাজুল ইসলাম বলেন, আমরা ১৩৫ পৃষ্ঠার আনুষ্ঠানিক প্রতিবেদন ও ৮৭৪৭ পৃষ্ঠার অন্যান্য প্রতিবেদন দাখিল করছি। আমরা আসামিদের বিরুদ্ধে মোট ৫টি অভিযোগ এনেছি। এতে সাক্ষীর সংখ্যা ৮১ জন, তথ্য সূত্র মোট ৫ খণ্ডে ২০১৮ পৃষ্ঠা, জব্দ তালিকা ও দালিলিক প্রমাণ ৮ খণ্ডে ৪০০৫ পৃষ্ঠা, শহীদদের তালিকা ১০ খণ্ডে ২৭২৪ পৃষ্ঠা, সর্বমোট ৮৭৪৭ পৃষ্ঠার ডকুমেন্ট সাবমিট করা হয়েছে।

তাজুল ইসলাম বলেন, এই বিচার কার্য অতীতের প্রতিশোধ নয়, এটি ভবিষ্যতের জন্য একটি প্রতিজ্ঞা। আমরা একটি সভ্য সমাজ চাই যেখানে গণতন্ত্র এবং আইনের শাসন থাকবে। সেখানে গণহত্যা কিংবা মানবতাবিরোধী অপরাধ সহ্য করা হবে না। কেউই আইনের ঊর্ধ্বে থাকবে না। এ সময় জুলাই বিপ্লবে আহত ও নিহতদের স্মরণ করে ট্রাইব্যুনালের কাছে তিনি প্রমাণনির্ভর, নিরপেক্ষ ন্যায়বিচার প্রার্থনা করেন।

তিনি বলেন, ১৪ই জুলাই প্রেস কনফারেন্সে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের রাজাকারের বাচ্চা, রাজাকারের নাতিপুতি বলেছিলেন। বলার মধ্য দিয়ে তাদের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রীয় বাহিনীগুলোকে লেলিয়ে দেয়া হয়েছিল। পাশাপাশি আওয়ামী লীগ, যুবলীগ ছাত্রলীগ ও সহযোগী বাহিনী অক্সিলারি ফোর্স হিসেবে অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে আন্দোলনকারীদের ওপর ঝাঁপিয়ে পড়ে, হত্যা করে, আহত করে এবং অন্যান্য মানবতাবিরোধী অপরাধ করে।

শেখ হাসিনার এরকম অনেক টেলিফোনিক কনভারসেশন জব্দ করেছে তদন্ত সংস্থা। তিনি রাষ্ট্রীয় সকল বাহিনীকে নির্দেশ দিয়েছেন হেলিকপ্টার, ড্রোন, এপিসিসহ মারণাস্ত্র ব্যবহার করে নিরস্ত্র, নিরীহ আন্দোলনকারী সিভিলিয়ান পপুলেশন, যারা শান্তিপূর্ণ আন্দোলনে রত ছিল, তাদের সম্পূর্ণ নিশ্চিহ্ন বা নির্মূল করার নির্দেশ দিয়েছিলেন। এক্ষেত্রে হত্যার নির্দেশ, গুলি করে আহত করার নির্দেশ, সহযোগিতা করার অভিযোগ আনা হয়েছে শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে। প্রতিবেদনে শেখ হাসিনার ফোন রেকর্ড সংযুক্ত করা হয়েছে। গত ১৬ই জুলাই ও ১৮ই জুলাই টেলিফোনিক নির্দেশে হাসিনা ঢাকা দক্ষিণ সিটির সাবেক মেয়র শেখ ফজলে নূর তাপস এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের তৎকালীন ভিসি অধ্যাপক এ এস এম মাকসুদ কামালের সঙ্গে কথা বলার প্রমাণ পাওয়া গেছে। এসব অডিওতে বিভিন্ন সরকারি স্থাপনায় নিজেদের লোক দিয়ে আগুন লাগিয়ে, আন্দোলনকারীদের ওপর দায় চাপানোর নির্দেশনা দেয়া হচ্ছিল। টেলিফোনিক নির্দেশে হাসিনা বলছে আমি বলেছি অমুক স্থাপনা ভাঙচুর করতে আর তারা সেতু ভবনে ভাঙচুর ও আগুন দিয়ে দিলো কেন। আবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসিকে বলছে, ইংল্যান্ডে ছাত্রদের গুলি করে মেরে ফেলা হয়েছিল। কোনো সমস্যা নাই যেকোনো মূল্যে আন্দোলন দমন করো।

৫টি সুনির্দিষ্ট অভিযোগ 

গণভবনের সংবাদ সম্মেলনে উস্কানিমূলক বক্তব্য: ২০২৪ সালের ১৪ই জুলাই গণভবনে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে শেখ হাসিনা উস্কানিমূলক বক্তব্য দেন। এর পরিপ্রেক্ষিতে আসাদুজ্জামান খান কামাল, চৌধুরী আব্দুল্লাহ আল মামুনসহ তৎকালীন সরকারের অন্যান্য ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের প্ররোচনা ও সহায়তায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনী এবং আওয়ামী সন্ত্রাসীরা নিরীহ ছাত্র-জনতার ওপর ব্যাপক মাত্রায় ও পদ্ধতিগতভাবে হামলা চালায়। এর মাধ্যমে হত্যা, হত্যার চেষ্টা, নির্যাতন এবং অন্যান্য অমানবিক আচরণ করা হয়। এসব ঘটনায় আসামিদের প্ররোচনা, উস্কানি, সহায়তা, সম্পৃক্ততা, অপরাধ সংঘটন প্রতিরোধে ব্যর্থতা, অপরাধ সংঘটনের জন্য দায়ী ব্যক্তিদের শাস্তি প্রদান না করা এবং ষড়যন্ত্র করার অপরাধ যা আসামিদের জ্ঞাতসারে ছিল বলে উল্লেখ করা হয়।

হেলিকপ্টার ও প্রাণঘাতী অস্ত্র ব্যবহারের নির্দেশ: শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে অভিযোগ, তিনি আন্দোলনকারীদের দমনে হেলিকপ্টার, ড্রোন এবং প্রাণঘাতী অস্ত্র ব্যবহারের নির্দেশ দেন। আসাদুজ্জামান খান কামাল ও চৌধুরী আব্দুল্লাহ আল মামুন এই নির্দেশ বাস্তবায়নে তাদের অধীনস্থ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে নির্দেশনা দেন। এর মাধ্যমে আসামিরা অপরাধ সংঘটনের নির্দেশ প্রদান, সহায়তা, সম্পৃক্ততা, এবং ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে মানবতাবিরোধী অপরাধ সংঘটন করেছে।

রংপুরে ছাত্র আবু সাঈদ হত্যা: ২০২৪ সালের ১৬ই জুলাই রংপুরে বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের সামনে ছাত্র আবু সাঈদকে গুলি করে হত্যার ঘটনায় শেখ হাসিনা, আসাদুজ্জামান খান কামাল এবং চৌধুরী আব্দুল্লাহ আল মামুনকে অভিযুক্ত করা হয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ, এই হত্যাকাণ্ডে তাদের নির্দেশ, প্ররোচনা, উস্কানি, সহায়তা, সম্পৃক্ততা, ষড়যন্ত্র, অন্যান্য অমানবিক আচরণের মাধ্যমে মানবতাবিরোধী অপরাধ সংঘটন হয়েছে।

চাঁনখারপুলে ছাত্র হত্যা: ২০২৪ সালের ৫ই আগস্ট ঢাকার চাঁনখারপুল এলাকায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর গুলিতে ছয়জন ছাত্র নিহত হন। এই ঘটনাতেও শেখ হাসিনাসহ ৩ জনকে অভিযুক্ত করা হয়েছে।

আশুলিয়ায় হত্যা ও লাশ পোড়ানো: ২০২৪ সালের ৫ই আগস্ট আশুলিয়ায় ছয়জনকে গুলি করে হত্যা; তাদের মধ্যে পাঁচজনের লাশ পুড়িয়ে দেয়া এবং একইসঙ্গে গুরুতর আহত একজনকে পুড়িয়ে দেয়ার ঘটনায় তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা হয়েছে। এই ঘটনায় তিন আসামি কর্তৃক হত্যার নির্দেশ, প্ররোচনা, উস্কানি, সহায়তা, সম্পৃক্ততা, ষড়যন্ত্র, অন্যান্য অমানবিক আচরণ করার মাধ্যমে মানবতাবিরোধী অপরাধ সংঘটিত হয়েছে বলে অভিযোগ আনা হয়েছে। অভিযোগপত্রে বলা হয়েছে, আসামিদের জ্ঞাতসারে এবং তাদের নির্দেশে এই অপরাধগুলো সংঘটিত হয়েছে।

উল্লেখ্য, গত ৫ই আগস্ট ছাত্র-জনতার গণ-অভ্যুত্থানের মুখে আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল পুনর্গঠন করা হয়। পুনর্গঠিত ট্রাইব্যুনালে গণ-অভ্যুত্থানে সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে প্রথম মামলাটি (মিস কেস বা বিবিধ মামলা) হয় শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে। এ ছাড়াও শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে ট্রাইব্যুনালে আরও ২টি মামলা রয়েছে। যার মধ্যে একটি আওয়ামী লীগ শাসনামলের সাড়ে ১৫ বছরে গুম-খুনের ঘটনায় তাকে আসামি করা হয়েছে। অপরটি রাজধানীর মতিঝিলের শাপলা চত্বরে হেফাজতে ইসলামের সমাবেশে হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় করা মামলা। জাজ্বল্যমান এসব অপরাধের বিচার অনুষ্ঠিত হচ্ছে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে।

ওদিকে গতকাল ভোরে ট্রাইব্যুনালের দুই নম্বর গেটে পাশে শিশু একাডেমির ফুটপাথে ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। পুলিশ জানিয়েছে সেখানে পটকা জাতীয় কিছুর বিস্ফোরণ হয়। 
 

পাঠকের মতামত

Hasina should be given 1,400+ times death sentences for murdering 1,400+ people.

Nam Nai
২ জুন ২০২৫, সোমবার, ১১:০৬ পূর্বাহ্ন

শেখ হাসিনার বিচার শুধু অতীতের প্রতিশোধ নয়; এটি ভবিষ্যতের জন্য একটি অঙ্গীকার, একটি শপথ। আমরা এমন এক সভ্য সমাজ চাই যেখানে গণতন্ত্র এবং ন্যায়বিচারের ভিত্তি অটল থাকবে। যেখানে গণহত্যা, গুম কিংবা মানবতাবিরোধী অপরাধের কোনো স্থান থাকবে না, এবং কেউই আইনের ঊর্ধ্বে থাকবে না।

ইয়াকুব
২ জুন ২০২৫, সোমবার, ৯:১৪ পূর্বাহ্ন

কোন কিছুতে বাড়াবাড়ি ঠিক নয়।

Mahiuddin molla
২ জুন ২০২৫, সোমবার, ৬:৫৫ পূর্বাহ্ন

It should be finished within a short period

Saki Iqbal
২ জুন ২০২৫, সোমবার, ৬:৩৫ পূর্বাহ্ন

হাসিনা এবং তার অপকর্মের সহযোগী প্রত্যেকের জন্য ক্যাপিটাল পানিশমেন্টের বাস্তবায়ন দেখতে চাই। ব্যস!! আর কোনো কথা নাই।

এনামুল হাসান
২ জুন ২০২৫, সোমবার, ৩:৪০ পূর্বাহ্ন

প্রথম পাতা থেকে আরও পড়ুন

প্রথম পাতা সর্বাধিক পঠিত

   
Logo
প্রধান সম্পাদক মতিউর রহমান চৌধুরী
জেনিথ টাওয়ার, ৪০ কাওরান বাজার, ঢাকা-১২১৫ এবং মিডিয়া প্রিন্টার্স ১৪৯-১৫০ তেজগাঁও শিল্প এলাকা, ঢাকা-১২০৮ থেকে
মাহবুবা চৌধুরী কর্তৃক সম্পাদিত ও প্রকাশিত।
ফোন : ৫৫০-১১৭১০-৩ ফ্যাক্স : ৮১২৮৩১৩, ৫৫০১৩৪০০
ই-মেইল: [email protected]
Copyright © 2025
All rights reserved www.mzamin.com
DMCA.com Protection Status