প্রথম পাতা
সাইবার নিরাপত্তা আইন বাতিলের নীতিগত সিদ্ধান্ত
স্টাফ রিপোর্টার
৮ নভেম্বর ২০২৪, শুক্রবারবিতর্কিত সাইবার নিরাপত্তা আইন বাতিল করার বিষয়ে নীতিগত সিদ্ধান্ত নিয়েছে অন্তর্বর্তী সরকার। গতকাল প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সভাপতিত্বে রাজধানীর তেজগাঁওয়ে প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত হয়। মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ জানিয়েছে, উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে সাইবার নিরাপত্তা আইন (রহিতকরণ) অধ্যাদেশ-২০২৪ এর খসড়া নীতিগত ও চূড়ান্ত অনুমোদন দেয়া হয়। বৈঠকে বলা হয়, লেজিসলেটিভ ও সংসদ বিষয়ক বিভাগের ভেটিং সাপেক্ষে সাইবার নিরাপত্তা আইন (রহিতকরণ) অধ্যাদেশ, ২০২৪ উপদেষ্টা পরিষদ-বৈঠকের চূড়ান্ত অনুমোদনের জন্য তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগ পুনরায় উপস্থাপন করবে। সাইবারস্পেসে সেফটি ও সিকিউরিটি নিশ্চিত করার বিষয়ে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের সাচিবিক ও কারিগরি সহায়তায় একটি পৃথক আইনি কাঠামো আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয় উপদেষ্টা পরিষদ বৈঠকে উপস্থাপন করবে। উপদেষ্টা পরিষদ বৈঠকে ধূমপান ও তামাকজাত দ্রব্য ব্যবহার (নিয়ন্ত্রণ) (সংশোধন) অধ্যাদেশ, ২০২৪’-এর খসড়া নীতিগত চূড়ান্ত অনুমোদনসহ আরও কয়েকটি বিষয়ে চুক্তির খসড়া অনুমোদন দেয়া হয়েছে।
কোনো সংবাদপত্রের ওপর আক্রমণ সহ্য করা হবে না: আমরা কোনো সংবাদপত্রের ওপর কোনো আক্রমণ সহ্য করবো না বলে জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম। গতকাল রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে এক সংবাদ সম্মেলনে এ কথা বলেন তিনি। শফিকুল আলম বলেন, অন্তর্বর্তী সরকার আসার পর কোনো পত্রিকা বা কোনো টেলিভিশন বা কোনো নিউজ ওয়েবসাইট বন্ধ করা হয়নি। আমাদের তরফ থেকে, গোয়েন্দা সংস্থা থেকে একটা ফোন করা হয়নি কোনো সংবাদের বিষয়ে যে এই সংবাদটা নামান বা এই সংবাদটা ওঠান। একে টকশোতে নিতে পারবেন না বা একে অ্যাসাইনমেন্ট দিতে পারবেন না। তিনি বলেন, গত ১৫ বছরে এরকম চর্চা ছিল। আমরা যদি মনে করেছি যেকোনো নিউজ ভুল হয়েছে, আমরা নম্রভাবে বলেছি যে এই নিউজটা ভুল, আপনারা একটু দেখেন। আমরা বিনয়ের সঙ্গে বলেছি। শফিকুল আলম আরও বলেন, অনেক সাংবাদিক জেনেশুনে গুজব ছড়িয়েছেন। আমরা সেগুলো ধরছিই না। সংবাদপত্রের স্বাধীনতার ব্যাপারে আমরা শতভাগ অঙ্গীকারবদ্ধ। গত তিন মাসে কাউকে বলিনি যে, এই রিপোর্ট যাবে না কিংবা এটা কেন গেল। সমপ্রতি কয়েকজন সাংবাদিকের অ্যাক্রিডিটেশন বাতিলের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, এটা তথ্য মন্ত্রণালয় করেছে। তাদের অবশ্যই কোনো কারণ ছিল। গত ১৫ বছর অনেক সাংবাদিক স্বৈরাচারের কণ্ঠস্বর ছিলেন। তারা অন্যের কণ্ঠরোধ করার গ্রাউন্ড তৈরি করেছেন। অনেক সাংবাদিক সহিংসতাকে উস্কে দিয়েছেন। এগুলো নিয়ে তদন্ত হওয়া উচিত। প্রেস সচিব বলেন, আমরা সংবাদপত্রের স্বাধীনতা খর্ব করার মতো কোনো কাজ করছি না। অনেক সংবাদপত্র, টেলিভিশন স্বৈরাচারকে সাপোর্ট দিয়েছে। আমরা তাদের কাউকে কিছু বলছি না। সবাই চাই বাংলাদেশে মিডিয়া ফ্রিডম থাকুক, মিডিয়া ইনস্টিটিউশনালাইজড হোক।
গনমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে হলে, গণমাধ্যম কর্মিদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে।।