প্রথম পাতা
জাতীয় পার্টি সমাবেশ করবেই
স্টাফ রিপোর্টার
২ নভেম্বর ২০২৪, শনিবারজীবন দিয়ে হলেও অন্যায় ও বৈষম্যের প্রতিবাদ করা হবে বলে জানিয়েছেন জাতীয় পার্টির (জাপা) চেয়ারম্যান জিএম কাদের। বলেছেন, কেউ ভয় পাবেন না। জীবনের ঝুঁকি নিয়ে হলেও শনিবার কাকরাইলে জাতীয় পার্টি সমাবেশ করবে। গতকাল দুপুরে জাতীয় পার্টির বনানীর কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে জিএম কাদের এই ঘোষণা দেন। এ সময় তিনি ২০০৮ সালের নবম সংসদ থেকে ২০২৪ সালের দ্বাদশ সংসদ নির্বাচন পর্যন্ত জাতীয় পার্টির ভূমিকা তুলে ধরেন।
এর আগে গত বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় কাকরাইলে জাতীয় পার্টির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে বৈষম্যবিরোধী ছাত্রদের ব্যানারে প্রথমে হামলা ও পরে অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটে। জাতীয় পার্টি বলেছে, ওই সময় নেতাকর্মীরা শনিবারের সমাবেশের প্রস্তুতি সভা করছিলেন। এই ঘটনার নিন্দা জানিয়ে তিনি বলেন, আমরা ২রা নভেম্বর, শনিবার যে কর্মসূচি দিয়েছি, সে কর্মসূচি চালু থাকবে। কেউ ভয় পাবেন না যে যেখানে আছেন। আমরা মরতে আসছি, আমরা মরতে চাই। কতো লোক মারবেন ওনারা, আমরা সেটা দেখতে চাই। মনে রাখবেন, ইসলামের শিক্ষা হচ্ছে অন্যায়ের প্রতিবাদ করা। হাত দিয়ে প্রতিবাদ করতে না পারলে মুখ দিয়ে করো। মুখ দিয়ে না পারলে অন্তর দিয়ে ঘৃণা করো। আমাদের সেটা করতে হবে। তার জন্য আমরা জীবন দিতে প্রস্তুত আছি। জিএম কাদের বলেন, আমরা কোনো অপরাধ করিনি। আমাদের জোর করে অপরাধী করা হচ্ছে। কেন করা হচ্ছে, আমরা জানি না।
তিনি বলেন, জাতীয় পার্টি জাতীয় পর্যায়ের একটি রাজনৈতিক দল। বারবার আমাদের কবরস্থ করার পরও আমরা কবর থেকে উঠে এসেছি। কেউ আমাদের ধ্বংস করতে পারেনি। যেহেতু আমরা সহাবস্থানের রাজনীতি করি, আমরা দখলদারি করিনি, সন্ত্রাসের রাজনীতি করি না, হাট-মাঠ-ঘাট দখল করিনি, মানুষকে অত্যাচার-দলীয়করণ করিনি। আমরা মানুষকে সুশাসন দিয়েছি, উন্নয়ন দিয়েছি, সংস্কার দিয়েছি, গণতান্ত্রিক অধিকার দিয়েছি। মানুষ তা স্মরণ করে।
জিএম কাদের বলেন, ৫ই আগস্টের গণঅভ্যুত্থানের পর শুরুর দিকে সেভাবে গুরুত্ব না দিলেও এখন মনে হচ্ছে, অন্তর্বর্তী সরকার আসার পর ষড়যন্ত্রটা এখনো চালু আছে। তিনি বলেন, আমাদের আওয়ামী লীগের দোসর বলা হচ্ছে। কিন্তু দোসর কীভাবে, এর কোনো জাস্টিফিকেশন নেই। ২০০৮ সালে নবম সংসদে আমরা আওয়ামী লীগের সঙ্গে মহাজোট করেছি। কিন্তু ওনার (শেখ হাসিনার) সব অপকর্মে আমরা একাত্ম ছিলাম না। এটা প্রমাণিত। জিএম কাদের বলেন, আমরা বারবার বলেছি, ২০১৪ সালের নির্বাচন আমরা বর্জন করেছি। এরশাদ সাহেবকে জোর করে সিএমএইচে ভর্তি করে, দলের ভেতরে বিভক্তি সৃষ্টি করে ক্ষুদ্র একটি অংশকে নির্বাচনে নেয়া হয়েছে। বিএনপি নির্বাচনে না গেলেও তারা একই সরকার ও নির্বাচন কমিশনের অধীন স্থানীয় সরকার নির্বাচন করেছে। এটা কি সরকারকে বৈধতা দেয়া হয়নি? ২০১৮ সালের নির্বাচনে সব দল অংশ নিয়েছে। ২০২৪ সালের নির্বাচনও আমরা করতে চাইনি, জোর করে নির্বাচনে যেতে বাধ্য করা হয়েছে। এ ঘটনা অনেকে দেখেছেন এবং জানেন।
জিএম কাদের বলেন, আমি রাজনীতি করি, আমার একটি দল আছে। আমার দল যার সঙ্গে ইচ্ছা অ্যালায়েন্স করবো। যখন ইচ্ছা আমি নির্বাচন করবো, যখন ইচ্ছা আমি নির্বাচন করবো না। এটা আমাদের দলের সিদ্ধান্ত, এখানে অপরাধটা কী। যখন আমি নির্বাচন করতে চাচ্ছি না, তখন আমাকে গায়ের জোরে নির্বাচনে নেয়া হচ্ছে। আর যখন আমি নির্বাচনে গেলাম, তখন বিভিন্ন জায়গা থেকে আমাকে এবং আমার পরিবারকে হত্যা করার হুমকি পর্যন্ত দেয়া হয়েছে। বিষয়টি দেশি-বিদেশি গণমাধ্যমকে এবং ইউরোপ-আমেরিকাসহ বিভিন্ন জায়গায় জানিয়েছেন বলেও জানান জিএম কাদের।
জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান বলেন, আমাদের দেশে আমরা কী রাজনীতি শুরু করেছি! আমি রাজনীতি করবো আমার দল নিয়ে। আমার দল বিবেচনা করবে আমি কার সঙ্গে যাবো। আমি বিবেচনা করবো আমি কার সঙ্গে যাবো না। এখানে জোর করা হচ্ছে দুদিক থেকেই। খালি শেখ হাসিনা জোর করেছে, তা তো নয়। তার রেশ এখন পর্যন্ত চলছে। তিনি বলেন, এখন যেটা দেখতে পাচ্ছি, তা অত্যন্ত দুর্ভাগ্যজনক। দেশ বিভক্ত হয়ে গেছে। মনে হচ্ছে, কিছু লোক এসে দেশটা দখল করে ফেলেছে। আমরা যে তাদের সহযোগিতা করেছি, সাধারণ জনগণ যে তাদের সহযোগিতা করেছে, সেটা তাদের কাছে এখন মনে হচ্ছে না। তারা দেশটাকে পবিত্র-অপবিত্র ভাগ করছে। তারা পবিত্র গ্রুপে আছে। তার মধ্যে কে দোষী, কে নির্দোষ- এটা ওনারাই ঠিক করে দেবেন। ঠিক যেভাবে দেশকে বিভক্ত করেছিলেন আমাদের পূর্ববর্তী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
জিএম কাদের বলেন, আমাদের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস যাকে আমরা জাতির অভিভাবক মনে করি। তিনি অত্যন্ত শ্রদ্ধেয় একজন ব্যক্তি। যেহেতু প্রধান উপদেষ্টার সবচেয়ে ক্লোজ লোক আমাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ এনেছেন। উনি (প্রধান উপদেষ্টা) কিছু বলেননি। তার মানে উনি মৌন সম্মতি দিয়েছেন বলে আমরা ধরে নিচ্ছি। এটা আমাদের জন্য অত্যন্ত দুর্ভাগ্যজনক। তিনি বলেন, প্রধান উপদেষ্টাকে বলবো, আপনি তো আমাদের দেশের অভিভাবক। আপনি আমাদের সমান চোখে দেখেন। আমরা সকলে আপনার সন্তান। দোষত্রুটি সবারই থাকে। দোষত্রুটি থাকলে সেভাবে বিচার-আচার করে শাস্তি দেন, আবার কোলে তুলে নেন।
সংবাদ সম্মেলনে জাতীয় পার্টির মহাসচিব মো. মুজিবুল হক, প্রেসিডিয়াম সদস্য রেজাউল ইসলাম ভূঁইয়া, আলমগীর সিকদার, শেরীফা কাদেরসহ বিভিন্ন পর্যায়ের নেতারা উপস্থিত ছিলেন।
কত টাকা নিয়ে বিগত ৪ টি সংসদ নির্বাচনে অংশগ্রহণ করেছেন জি এম কাদের সাহেব জনগন কে জানাতে পারেন।
হাসিনাকে স্বৈরাচার বানানোতে জাপার মূখ্য ভুমিকা অপরিসীম। এই বেঈমানীর শাস্তি তাকে পেতেই হবে, কেননা তারা স্বৈরাচারের সব সুবিধা ভোগ করে বিরোধী জোটকে নিশ্চিহ্ন করার নরল নক্সায় মদদ দিয়েছে।তারা জাতীয় বেঈমান!!
জাপার প্রতিষ্ঠাতা এরশাদ ছিলো ভারতের বিশ্বস্ত এজেন্ট । ইন্দিরার নির্দেশে 'র' এরশাদ কে জিয়াউর রহমান কে হত্যার নির্দেশ দেয় । চট্টগ্রামে এরশাদ 'র' এর চক্রান্ত বাস্তবায়ন করে । জেনারেল মঞ্জুর এরশাদের ফাঁদে পরে জীবন হারান । এই গুলি সবই ছিল কুচক্রী এরশাদের পরিকল্পনা । সেই জাপার প্রতিষ্ঠাতা এরশাদ যার কাজ ছিল বাংলাদেশে ইন্ডিয়ান স্বার্থ দেখা শুনা করা । জীবতদসায় তিনি তা করেছেন । বর্তমান গোলাম সাহেবও এটা ভালোভাবে করছেন । এ হেন একটা দলের উপর জনতার ক্ষোভ থাকাটাই স্বাভাবিক । মঞ্জুর হত্যার মামলাটা আবার চালু করা উচিত। একজন হত্যা কারী ক্ষমতায় থেকে দল বানাবে তার পর সে দল বিদেশিদের তাবেদারী করবে তা হতে পারে না ।