প্রথম পাতা
সেনাবাহিনীতে বড় রদবদল
স্টাফ রিপোর্টার
১৫ অক্টোবর ২০২৪, মঙ্গলবারসেনাবাহিনীর উচ্চ পর্যায়ে রদবদল হয়েছে। মেজর জেনারেল পদমর্যাদার দুই কর্মকর্তাকে পদোন্নতি দিয়ে লেফটেন্যান্ট জেনারেল করা হয়েছে। তাদের মধ্যে প্রতিরক্ষা গোয়েন্দা মহাপরিদপ্তরের (ডিজিএফআই) মহাপরিচালক মো. ফয়জুর রহমানকে সেনা সদরের কোয়ার্টার মাস্টার জেনারেলের (কিউএমজি) দায়িত্ব দেয়া হয়েছে। পদোন্নতি পাওয়া ২৪ পদাতিক ডিভিশনের (চট্টগ্রাম সেনানিবাস) জিওসি মো. মাইনুর রহমানকে আর্মি ট্রেনিং অ্যান্ড ডকট্রিন কমান্ডের (আর্টডক) জিওসি করা হয়েছে। ওদিকে ডিজিএফআইয়ে নতুন মহাপরিচালক হয়েছেন মেজর জেনারেল মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর আলম। তিনি কুমিল্লায় ৩৩ পদাতিক ডিভিশনের জিওসির দায়িত্ব পালন করে আসছিলেন। আইএসপিআর এর পক্ষ থেকে এসব তথ্য নিশ্চিত করা হয়েছে।
আওয়ামী লীগ সরকারের সময়ে কোয়ার্টার মাস্টার জেনারেলের দায়িত্বে থাকা লেফটেন্যান্ট জেনারেল মজিবুর রহমানকে রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের পর গত ৬ই আগস্ট আর্টডকে পাঠানো হয়েছিল। আর আর্টডকের জিওসি লেফটেন্যান্ট জেনারেল আহম্মদ তাবরেজ শামস চৌধুরীকে বানানো হয়েছিল কিউএমজি। এক মাসের মাথায় গত ১২ই সেপ্টেম্বর তাবরেজকে বাধ্যতামূলক অবসরে পাঠানো হয়। আর মজিবুরকে করা হয় বরখাস্ত। এরপর থেকে দু’টি পদই খালি ছিল। নতুন কিউএমজি ফয়জুর রহমান গত ১২ই অগাস্ট ডিজিএফআইয়ের নেতৃত্বে আসেন। তার আগে তিনি ছিলেন মিরপুরে ডিফেন্স সার্ভিসেস কমান্ড অ্যান্ড স্টাফ কলেজের (ডিএসসিএসসি) কমান্ড্যান্ট। রংপুরে ৬৬ পদাতিক ডিভিশনের জিওসি হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেছেন ২৩তম বিএমএ লং কোর্সের মাধ্যমে সেনাবাহিনীতে কমিশন পাওয়া এই কর্মকর্তা। আর্টডকের নতুন জিওসি মাইনুর রহমান চট্টগ্রামের আগে কুমিল্লায় ৩৩ পদাতিক ডিভিশনের জিওসির দায়িত্ব পালন করেন। ১৯৯১ সালে ২৪তম বিএমএ লং কোর্সের মাধ্যমে সেনাবাহিনীতে কমিশন পাওয়া এ কর্মকর্তা ২০২২ সালে মেজর জেনারেল হিসেবে পদোন্নতি পান।
দেশের গর্ব
মহান আল্লাহ আমাদের দেশের অতান্ত পরিশ্রমি ও সাহসি সেনাবাহিনী প্রত্যেক সদস্য দেশ সহ বিশ্বের দরবারেও উন্নত মর্যাদার গৌরব। আজ শুধু মাত্র তাদের জন্যই আমরা স্বৈরচার শাসন থেকে মুক্ত হতে পেরেছি। বর্তমান সেনাবাহিনীর সকল সদস্যদেরকে আন্তরিক ধন্যবাদ আমাদেরকে মুক্ত করে সুন্কদর সুশাসনের ব্যাবস্হা করার জন্য ॥
সেনাবাহিনীর ৫ই আগস্ট এর সিদ্ধান্তের জন্য, কলিজা থেকে দোয়া রইল। হায় আল্লাহ এই বাহিনীকে আপনি কবুল করেন, তাদেরকে দুনিয়া আখেরাতের সম্মানিত করেন, তাদেরকে মুজাহিদদের মর্যাদা দান করেন।
যাদেরকে পদোন্নতি দেয়া হচ্ছে এবং ডিজিএফআইয়ের প্রধান যাকে করা হচ্ছে এরা সবাই ভারত এবং হাসিনার পোষা প্রাণী এদেরকে পদোন্নতি দিয়ে সেনাবাহিনী ধ্বংসের আরো এক ধাপ এগিয়ে গেলো আফসোস আমার দেশের জন্য
সেনাবাহিনী দেশের মানুষের শেষ ভরসাস্থল এবং সব শেষে এটা নষ্ট করার চেষ্টা করা হয়েছিল আর কিছুটা নষ্ট তো করা হয়েওছিলো কিন্তু আল্লাহ শেষ পর্যন্ত এটাকে রক্ষা করেছেন। দেশ এবং দেশের মানুষ বেচে গেছে।
খুনি হাসিনা সেনাবাহিনীকে দলীয় করনের মাধ্যমে কলঙ্কিত করেছে। আজিজের মত মাফিয়া কে সেনাপ্রধান করেছিল। এ সব কূ কর্মে সেনাবাহিনীর কিছু উচ্চাভিলাসি কর্মকর্তা ও জড়িত ছিল। বিডিআর হত্যাকাণ্ডের সময় সেনাবাহিনী কোন ভূমিকা রাখেনি। এ সব আমরা ভুলি নাই।
সেনাবাহিনী নিয়ে কোন মন্তব্য করা টিক না। কিন্তু সেনাবাহিনীর উচিৎ তাদের স্বচ্ছতা নিশ্চিত করা। বিগত ৫ আগষ্টের পরে যারা ক্যান্টনমেন্টে যে ৫২৭ জন আশ্রয় নিয়েছিল তাদের নাম প্রকাশ করা, কারন জনগণের তা জানার অধিকার আছে। আর আয়নাঘরের বিষয়ে শ্বেতপত্র প্রকাশ করা উচিৎ। কোন কিছুকে গোপন করতে গেলে গুজবের ডালপালা গজায় এটি সত্য।ধন্যবাদ।
বাংলাদেশ সেনাবাহিনী আমাদের গৌরবের স্থান। দেশের মানুষের বিপক্ষে না দাঁড়ানোর ঘোষণা দিয়ে মানুষের অন্তরে স্থান করে নিয়েছে এবং দেশবাসীর ভালোবাসা অর্জনে সক্ষম হয়েছে। শুভকামনা সবসময় তাদের জন্য।