খেলা
ফুটবলারদের বিশ্রাম দেবে ক্লাব নাকি জাতীয় দল - স্পেন কোচ
স্পোর্টস ডেস্ক
১৩ অক্টোবর ২০২৪, রবিবার
ফুটবলারদের বিশ্রাম দেওয়ার প্রশ্নে তেতে আছেন স্পেন কোচ লুইস দে লা ফুয়েন্তে। তিনি প্রশ্ন ছুড়ে দিয়েছেন খেলোয়াড়দের বিশ্রাম দেওয়ার দায়িত্ব কার? ফিফার মতে, প্রায় ৯৬.৫ শতাংশ সময় খেলোয়াড়েরা ক্লাবে থাকেন। সুতরাং ক্লাবেরই খেলোয়াড়দের বিশ্রামের সুযোগ করে দেওয়া উচিত বলে মনে করেন দে লা ফুয়েন্তে। মৌসুমে সামান্য সংখ্যক আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলা ফুটবলারদের বিশ্রাম দেওয়ার সুযোগ নেই। জাতীয় দল তাদের পায় ৫-১০ ম্যাচের জন্য। এরমধ্যেই কিলিয়ান এমবাপ্পে এসে বিশ্রাম চেয়েছেন ফরাসি কোচের কাছে। সেটি আবার ব্যাপক সমালোচনার জন্ম দিয়েছে। শনিবার এসব নিয়েই মুখ খুললেন স্পেনের কোচ। তিনি ফিফার এক গবেষণার উদ্ধৃতি দিয়ে বলেন, ‘ফিফার এক গবেষণায় বলা হয়েছে, খেলোয়াড়রা মাত্র ৩.৫ শতাংশ ম্যাচ জাতীয় দলের হয়ে খেলে। তাই তাদের খেলার সময় ম্যানেজ করা বা না করার দায়িত্ব জাতীয় দলের ওপর পড়ে বলে আমার মনে হয় না। এটা তাদের ওপর বর্তায়, যারা খেলোয়াড়দের সঙ্গে বেশি সময় কাটায়।’ তিনি এর মধ্য দিয়ে ইঙ্গিত দেন- ফুটবলারদের বিশ্রাম দেওয়ার দায়িত্ব ক্লাবের, জাতীয় দলের নয়। ফুটবলের ব্যস্ত সূচি নিয়ে আলোচনা এখন তুঙ্গে। বারবার সামনে আসছে খেলোয়াড়দের বিশ্রাম দেওয়ার প্রসঙ্গ। ঠাসা সূচির কারণে ইউরোপিয়ান ফুটবলে চোট পাওয়া খেলোয়াড়ের সংখ্যা দিনকে দিন বেড়েই চলছে। নেশন্স লীগের আসছে দুই ম্যাচের জন্য যেমন ইউরো জেতা দল থেকে ৬ জনকে পাচ্ছে না স্পেন। ম্যানচেস্টার সিটির স্প্যানিশ মিডফিল্ডার রদ্রি ও রিয়াল মাদ্রিদ ডিফেন্ডার দানি কারভাহাল পুরো মৌসুম থেকে ছিটকে গেছেন চোটের থাবায়। এই দুইজনের সঙ্গে প্রথম পছন্দের গোলরক্ষক উনাই সিমন, মিডফিল্ডার দানি ওলমো ও উইঙ্গার নিকো উইলিয়ামসও নেই স্পেন দলে।
লামিন ইয়ামালের ওপর টানা খেলার চাপ
বার্সেলোনা ও স্পেনের হয়ে চলতি মৌসুমে এখন পর্যন্ত সম্ভাব্য ১৩ ম্যাচের ১২টিতেই শুরুর একাদশে খেলেছেন লামিন ইয়ামাল। চলতি সপ্তাহে তাকে ১০ নম্বর জার্সি দিয়েছে স্পেন। জাতীয় দলে অভিজ্ঞদের অনুপস্থিতিতে নেশন্স লীগের ম্যাচে ১৭ বছর বয়সী এই ফরোয়ার্ডের কাঁধে থাকবে বাড়তি দায়িত্ব। ক্লাব ও জাতীয় দলের হয়ে টানা খেলার মধ্যে থাকা ইয়ামালের বিশ্রাম নিয়েও উঠছে প্রশ্ন। শনিবার ডেনমার্কের বিপক্ষে মাঠের লড়াইয়ে নামার আগের দিন স্পেন কোচ লা ফুয়েন্তে উড়িয়ে দিয়েছেন সেই সম্ভাবনা। তিনি বলেন, ‘আমি লামিনের সঙ্গে কথা বলেছি, সে তরুণ এবং প্রত্যেকের খেলার সময় আমাদের ম্যানেজ করতে হবে, তবে জাতীয় দলে এটা করা কঠিন। কোচিং করানোর জন্য বছরে ৭০টি ম্যাচ থাকলে এটা করা সহজ হতো। কিন্তু আমার হাতে মাসে দুটি ম্যাচ থাকে এবং আমরা প্রতিটি ম্যাচ বাছাইপর্বের জন্য খেলছি।’
ইয়ামাল এখন স্পেনের সবচেয়ে দামি খেলোয়াড়ে পরিণত হয়েছেন। এ তালিকায় তিনি পেছেন ফেলেন রদ্রিকে। ১৩ কোটি ইউরো মূল্য নিয়ে এত দিন ইউরোপের সবার ওপরে ছিলেন ম্যানচেস্টার সিটি মিডফিল্ডার। অনূর্ধ্ব-১৮ খেলোয়াড়দের মধ্যেও বেতনের দিক থেকে এখন ইতিহাসে সবার ওপরে ইয়ামাল। ইয়ামালের বর্তমান বেতন ১৫ কোটি ইউরো। অথচ এর আগে এই বয়সসীমার মধ্যে কোনো ফুটবলার ১০০ মিলিয়ন বা ১০ কোটি ইউরোর কোটাও স্পর্শ করতে পারেননি। ১৮ বছর বয়সে সর্বোচ্চ ৯ কোটি ইউরো দাম ওঠে কিলিয়ান এমবাপ্পে ও গাভির। ১৮ বছর বয়সে জুড বেলিংহাম ও পেদ্রি ৮ কোটি ইউরোর মাইলফলক ছুঁয়ে ঢেলেন। আর ১৭ বছর বয়সীদের মধ্যে ইয়ামালের পর ২ নম্বরে আছেন আরেক স্প্যানিশ তারকা আনসু ফাতি, যার দাম উঠেছিল ৮ কোটি ইউরো।