প্রথম পাতা
ছাত্রদের বিরুদ্ধে মামলা করা সেই খাস্তগীর এখন পোল্যান্ডের রাষ্ট্রদূত
নিজস্ব প্রতিনিধি
৬ অক্টোবর ২০২৪, রবিবার
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন যখন তুঙ্গে তখন বিদেশে অবস্থানরত বাংলাদেশি ছাত্রছাত্রীরা সহমর্মিতা জানান। কোনো কোনো স্থানে রাস্তায় মিছিল-সমাবেশও করেন। মালয়েশিয়ায় বাংলাদেশি পড়ুয়া এবং শিক্ষকরা এক সমাবেশে বাংলাদেশের ছাত্র-জনতার আন্দোলনের প্রতি সমর্থন ও সহমর্মিতা জানান। ১৯শে জুলাইয়ের ওই সমাবেশে উল্লেখযোগ্য ছাত্র এবং শিক্ষক একাত্মতা ঘোষণা করেন। তারা মালয়েশিয়ান নাগরিক এবং অন্যান্য গণ্যমান্য ব্যক্তিদের সহযোগিতাও কামনা করেন।
এই যখন অবস্থা তখন কুয়ালালামপুরের বাংলাদেশ হাইকমিশন ছাত্র-শিক্ষকদের সন্ত্রাসী আখ্যা দিয়ে কাজাং থানায় রিপোর্ট করে। ফলে বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র ও শিক্ষকরা নানামুখি হেনস্তার শিকার হন। এই মামলায় অগ্রণী ভূমিকা পালন করেন বাংলাদেশের উপ-হাইকমিশনার মোহাম্মদ খোরশেদ আলম খাস্তগীর। শুধু তাই নয়, খোরশেদ আলম খাস্তগীর দেশের আন্দোলনকারীদেরও ‘সন্ত্রাসী’ আখ্যায়িত করে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নিতে শেখ হাসিনা সরকারের প্রতি আহ্বান জানান। পররাষ্ট্র ক্যাডারদের সংগঠন বাংলাদেশ ফরেন সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশনের (বিএফএসএ) হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপের ফাঁস হওয়া চ্যাটে দেখা যায় খোরশেদ আলম খাস্তগীর মালয়েশিয়া প্রবাসী যারা ছাত্র-জনতার আন্দোলনে সমর্থন দিয়েছিলেন তাদের পাসপোর্ট বাতিলের সুপারিশ করেছিলেন!
ছাত্র-জনতার বিরুদ্ধে আর পতিত স্বৈরশাসনের পক্ষে নগ্নভাবে অবস্থানগ্রহণকারী সেই খাস্তগীরকে পোল্যান্ডে বাংলাদেশের নতুন রাষ্ট্রদূত হিসাবে নিয়োগের ঘোষণা দিয়েছে ছাত্র-জনতার রক্তের উত্তরাধিকার বর্তমান অন্তর্বর্তীকালীন সরকার। বিতর্কিত ওই কূটনীতিককে রাষ্ট্রদূত হিসেবে পদায়নের ঘোষণায় ব্যাপক প্রতিক্রিয়া হয়েছে মালয়েশিয়া প্রবাসীদের মধ্যে। তার নিয়োগ বাতিলের দাবি উঠেছে। স্মরণ করা যায়, বিদায়ী শেখ হাসিনা সরকারের আমলে খোরশেদ আলম খাস্তগীরকে বাহরাইনে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত হিসেবে প্রস্তাব করা হয়েছিলো। কিন্তু তার অতীত রিপোর্ট পর্যালোচনা করে মানামা তাকে প্রত্যাখ্যান করে। পরবর্তীতে ওয়ারশোতে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত হিসাবে প্রস্তাব করে বিদায়ী সরকার, যা বহাল রাখে নোবেল বিজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বাধীন অন্তবর্তী সরকার!
মোহাম্মদ খোরশেদ আলম খাস্তগীর বিসিএস (ফরেন অ্যাফেয়ার্স) ক্যাডারের ২০তম ব্যাচের একজন কূটনীতিক। তিনি ২০০১ সালে বাংলাদেশ ফরেন সার্ভিসে যোগ দেন। এর আগে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে ইউরোপ, ইউরোপীয় ইউনিয়ন ও আন্তর্জাতিক সংস্থা অনুবিভাগের মহাপরিচালক ও পরিচালক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। তিনি নিউ ইয়র্কে জাতিসংঘে বাংলাদেশের স্থায়ী মিশনে প্রথম সচিব ও ওমানের মাস্কাটে বাংলাদেশ দূতাবাসে কাউন্সেলর হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেন।
পাঠকের মতামত
ছাত্র জনতার রক্তের উপর প্রতিষ্ঠিত সরকারের ভেতরে ঘাপটি মেরে বসে থাকা যেসব শকুন এসব ইঁদুরদের নতুন করে নিয়োগ দেয় কিংবা বহাল রাখে, দ্রুত তাদের বরখাস্ত করা হোক। বিগত ১৫ বছরে অনেক যোগ্য আমলা, পুলিশ, আর্মি অফিসারদেরও বিভিন্ন অজুহাতে বরখাস্ত করা হয়েছে।
লজ্জা লজ্জা লজ্জা....
উপদেষ্টা মণ্ডলী গণ দয়া করে কারো পদায়ন করলে তার আমল নামা টা একটু কষ্ট করে তার বিষয়ে ক্ষতিয়ে দেখবেন? না হয় কিন্তু, ঘরের ইদুর -ই, আপনাদেরকে ঘর থেকে উচ্ছেদ করার জন্য যথেষ্ট।
ওকে দেশে পেরত এনে আইনের আওতায় আনা হোক
NCTB তেও আছে। শুধু একা খাস্তগীর নয়।
ওকে দেশে পেরত এনে আইনের আওতায় আনা হোক
এত কিছুর পরেও মালয়েশিয়ান হাইকমিশনে তাকেই কাজ করতে দেখতাম৷
এই দালালদের অপসারণ এবং বিচারের আওতায় আনা সময়ের দাবী।
স্বাধীনতা অর্জনের চেয়ে স্বাধীনতা রক্ষা করা কঠিন। ফ্যাসিবাদের দোষরদের পদায়ন কোনমতেই মেনে নেওয়া যায় না। তাই যথাযথ ব্যাবস্থার ষোর দাবি জানাচ্ছি।
ধন্যবাদ মানবজমিনকে, এই ধরনের নিউজ প্রকাশের জন্য।এইভাবে সংবাদ মাধ্যমকেই দেশবিরোধী, দুর্নীতিবাজ, অর্থপাচারকারী এবং ফ্যাসিস্টদের দোসরদের সামনে নিয়ে আসতে হবে।
সরলতা বোকামির পর্যায়ে পৌঁছালে তা ভয়ংকর পরিণতি নিয়ে আসতে পারে। বর্তমান সরকার ফ্যাসিবাদ দমন এবং সহযোগিদের চিহ্নিতকরণে অতিমাত্রায় সরলতা প্রদর্শন করছে, যার ফলাফলে বিপ্লবের অর্জন ম্লান হবার হুমকির মুখে। সরকার কঠোর না হলে এর নির্মম পরিণতি পুরো জাতিকে ভোগাতে পারে। কাজেই ফ্যাসিবাদীদের চিহ্নিতকরণসহ শাস্তির আওতায় নিয়ে আসতে সরকারকে আরও কঠোর হবার আহবান জানাচ্ছি।
তাকে আইনের আওতায় আনা হউক
Very sad!
বিষয়টি গুরুত্বের সাথে নেয়া উচিৎ। তাছাড়া পোস্টিং এর আগে এসব লোকের বায়োডাটা দেখা দরকার। এখন মনে হচ্ছে এরা ঘাপটি মেরে সব যায়গায় তৎপর। এদের থামান। এরা যেখানেই থাকুক দ্রুত সরান। যুগে যুগে এরাই একটা ভালো জিনিসকে তছনছ করে ফেলে। এদের উইপোকা বললে ভুল হবে না। এরাই দেশে বিদেশে সবচেয়ে ভংয়কর বলে পরিচিত একটা বংশধর। চিন্তার বিষয়। কখন যে আয়না ঘর আবার জেগে উঠে। শতাব্দীর সেরা ছাত্র জনতার অহিংস আন্দোলনের উপর হামলা না করে বসে। নিরস্ত্র এই আন্দোলন এই পৃথিবীর জন্য চরম একটা শিক্ষা বটে। এরপর কি থাকতে পারে। চুরি ডাকাতি ঘুষ রাহাজানি আর বাকিটা আপনিই বলুন। চমৎকার এই পরিবেশ কতদিন থাকে চিন্তা করলেই ভাল।
খাস্তগীর একজন। এরকম হাজার খাস্তগীরকে পুনর্বাসন করা হচ্ছে, হয়েছে।
ঘটনাটি শুনে খুব কষ্ট লাগল। প্রজাতন্ত্রের একজন কর্মকর্তার এরূপ নগ্ন দলীয় মানসিকতার। ছাত্ররা তো তখন অন্যায় কিছু করেনি।
ধন্যবাদ মানবজমিনকে, এই ধরনের নিউজ প্রকাশের জন্য।এইভাবে সংবাদ মাধ্যমকেই দেশবিরোধী, দুর্নীতিবাজ, অর্থপাচারকারী এবং ফ্যাসিস্টদের দোসরদের সামনে নিয়ে আসতে হবে। মাশরাফি, সাকিবরা জনপ্রিয় হওয়া সত্বেও আজ তারা জনতার কাঠগড়ায় কারন তারা ছিলো ফ্যাসিস্টদের দোসর!! জাতীয় পার্টি ও ফ্যাসিস্টদের গৃহপালিত বিরোধী দল হিসেবে সমান অপরাধী এবং সুবিধাভুগি!! রওশন, জিএম কাদের, চুন্নু , ফিরোজ রশিদ গংরা বহাল তবিয়তে এবং আলোচনার বাহিরে আছে !! তাদেরকেও আইনের আওতায় আনতে হবে!!
What is the point,when you are not going to publish.
ড. ইউনূস সাহেব কে আরো মনোযোগী হয়ে রাষ্ট্র পরিচালনা করতে হবে। সকল দালালদের চিহ্নিত অবিলম্বে করে ব্যবসথা নিতে হবে।
পররাষ্ট্র্র মন্ত্রণালয়ের কাজটা কি?
Immediately তাকে দেশে ফেরত এনে গ্রেফতার দরকার।
Perhaps the foreign ministry is not aware of the act of this diplomat.
স্বৈরাচারের দোসর এই ঘৃণিত আওয়ামী দালালের নিয়োগ অবিলম্বে বাতিল করে তাকে গ্রেফতার করার জন্য দাবি জানাই
একে যারা বাছাই করেছে, তাদেরকে অব্যহতি দিয়ে আইনের আওতায় আনুন।
অবিলম্বে গ্রেফতারের জোর দাবি জানাচ্ছি
ভালো লেখা। তাসলিমা নাসরিন দেশবিরোধী ভূমিকা নিয়ে লেখার অনুরোধ রইলো। ফ্যাক্ট চেকার শিশিরের পোস্ট হতে- "দৈনিক আনন্দবাজারের রিপোর্টটি দেখুন, পত্রিকাটি গত সপ্তাহে মাহফুজ আলমকে হিজবুতের নেতা হিসেবে তুলে ধরেছে তসলিমা নাসরিনের ফেসবুক পোস্টের বরাতে। আর আজ তসলিমা নাসরিন আনন্দবাজারের বরাতে মাহফুজ আলমকে হিজবুতের নেতা হিসেবে পরিচয় করানো ফটোকার্ড শেয়ার করলেন। এখন তসলিমা নাসরিনের কাছেও 'তথ্য'টির সূত্র হচ্ছে আনন্দবাজার পত্রিকা!" সাধারন জনগনের প্রতি অনুরোধ, ইসলাম ধর্মের বিরোধিতা বা সমালোচনা করে বলে তসলিমা নাসরিন এর বিরোধিতা বা সমালোচনা কইরেন না, তার দেশবিরোধী ভূমিকার জন্য সমালোচনা করেন। বেটার রেজাল্ট পাবেন। আমাদের রেজাল্ট দরকার।
স্বৈরাচারের দোসর এই ঘৃণিত আওয়ামী দালালের নিয়োগ অবিলম্বে বাতিল করে তাকে গ্রেফতার করার জন্য দাবি জানাই
As early as possible dismiss him
without time he must be funished...no way
This is totally not acceptable.
ওনাকে দেখেই হিংস্র মনে হয়। তার চেহারায় প্রতিশোধ পরায়ন ভাব আছে। নতুন ভাবে সিদ্ধান্ত নেওয়ার প্রোয়োজন মনে করি।
এটা হচ্ছে ছাত্রদের রক্তের সাথে বেইমানি করা। কোন ভাবেই ছাত্র-জনতা এটা মেনে নিবে না। জত দ্রুত সম্ভব নিয়োগ বাতিল চাই।
How many mistakes the government will carry on
ছাত্রদের রক্তের উপর দাঁড়িয়ে এটা মেনে নেয়া অসম্ভব। যত দ্রুত পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে ততই মঙ্গল। অন্যথায় এর পরিনতি ভালো হবে না
His posting should be cancelled
শুধু খাস্তগীরকে বরখাস্ত করলেই হবে না।এ প্রক্রিয়ার সাথে জড়িত ব্যক্তিকে বরখাস্ত করতে হবে।
Una k bohiskar kora houk
Maybe late, I think it’s a mistake, but rectify immediately
এটা বরই লজ্জা র বিষয়। যত দ্রুত সম্ভব হাসিনা গঙ দের সকল যায়গা থেকে সরিয়ে বঞ্চিত দের নিয়োগ দেয়া দরকার। এর জন্য একটি কমিটি গঠন জরুরি, নাহলে দেশ ও জাতির অগ্রগতি বাধা গ্রস্থ হবে।
জনাব সরকার, এই বিষয়ে আপনার আশু দৃষ্টি কামনা করছি...,..
এই দালালদের অপসারণ চাই।
সকল অপরাধীকে চাকরি থেকে বরখাস্ত করে আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত করা হোক অবিলম্বে।
Interim Government need to be more knowledgeable and efficient in handling postings and transfers.
জনাব খাস্তাগীর প্রাক্তন রাষ্ট্রাচার প্রধান নাইম উদ্দিন আহমেদের ঘনিষ্ঠ বন্ধু, সহযোগী ও ব্যাচমেট। তাঁরা দুজন মিলে ছাত্র-জনতার গত আন্দোলনকে সন্ত্রাসী আন্দোলন হিসেবে আখ্যা দিয়ে এর বিরুদ্ধে প্রকাশ্যে অবস্হান নিয়েছেন। জনাব খাস্তাগীরের বিরুদ্ধে দূর্নীতি ও নারী কেলেংকারীর অভিযোগও রয়েছে।
terrible ! বিপ্লব তুমি কার??? বিপ্লবীর না পরাজিতের???
কী হচ্ছে রে ভাই এইসব!!! এদেরকে নিয়োগ দিচ্ছে কে??? যারা এদের নিয়োগ দিচ্ছে তারা কারা???
Bring this awami Dalal back home and punish him accordingly.
ONAKE DAKHAI ANE BICHAR KORA HOOK.
অবিলম্বে গ্রেফতারের জোর দাবি জানাচ্ছি সেইসাথে পোল্যান্ডে যোগ্য নতুন রাষ্ট্রদূত পদায়নের অনুরোধ জানাচ্ছি
খাস্তগীরকে অবিলম্বে দেশে ফেরত আনার দাবি জানাচ্ছি। এই অযোগ্য লোকের দ্বারা বিদেশের মাটিতে বাংলাদেশের সুনাম নষ্ট হবে।
ajkei take borkhastho kore arrest kora uchit.