খেলা
মেয়েদের অ্যাম্পুটি ফুটবলে বাংলাদেশের যাত্রা শুরু
স্পোর্টস রিপোর্টার
৬ অক্টোবর ২০২৪, রবিবারশারীরিক প্রতিবন্ধীদের ফুটবল খেলা নিয়ে রয়েছে বিশ্ব অ্যাম্পুটি ফুটবল ফেডারেশন। বিশ্বকাপ, এশিয়ান কাপের মতো আসরও অনুষ্ঠিত হয়। কিন্তু প্রচার না থাকায় পাদপ্রদীপের আলোয় আসে না অ্যাম্পুটি ফুটবল বিশ্বকাপ। বিশ্বের ৭৫টি দেশে রয়েছে অ্যাম্পুটি ফুটবল। বাংলাদেশেও শারীরিক প্রতিবন্ধী ছেলেদের নিয়ে অ্যাম্পুটি ফুটবলের যাত্রা শুরু হয়েছে ২০২০ সালে। এবার মেয়েদের যাত্রা শুরু হলো। গতকাল বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনে (বাফুফে) অনুষ্ঠিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান বাংলাদেশ অ্যাম্পুটি ফুটবল অ্যাসোসিয়েশনের (বাফা) সহসভাপতি বদিউজ্জামান আলামিন। তিনি বলেন, ‘ছেলেদের নিয়ে আগেই খেলা শুরু করেছি আমরা। এবার যাত্রা করলাম মেয়েদের নিয়ে। এশিয়ায় আমরাই প্রথম মেয়েদের অ্যাম্পুটিতে খেলা শুরু করেছি।’ এ সময় রেডক্রসের কর্মকর্তা অস্কার ফিলিপ, বিশ্ব অ্যাম্পুটি ফুটবল ফেডারেশনের (ডব্লুএএফএফ) কোচ হ্যারি স্মিথ, বাফার প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা শারমিন ফারহানা ও বাফুফের সদস্য মহিদুর রহমান মিরাজ উপস্থিত ছিলেন। বিশ্বের বিভিন্ন দেশে যুদ্ধ এবং নানা দুর্ঘটনায় পা হারানো ছেলে ও মেয়েদের ফুটবল খেলায় উৎসাহিত করে আন্তর্জাতিক রেড ক্রস (আইসিআরসি)। চার বছর পরপর অনুষ্ঠিত হয় অ্যাম্পুটি ফুটবল বিশ্বকাপের। সবশেষ ২০২২ সালে তুরস্কের ইস্তাম্বুলে অনুষ্ঠিত হয়েছিল ১৭তম আসর। লক্ষ্যটা বিশ্বকাপ হলেও আপাতত যাত্রা শুরু করে নিজেদের জানান দিলো বাফা। বদিউজ্জামান বলেন, ‘আমরা বেশ ক’জন মেয়েদের জোগাড় করেছি, যাদের একটি পা নেই। স্ক্রাচে ভর দিয়ে তারা দিব্যি ফুটবল খেলতে পারে। এই মেয়েদের নিয়েই আমরা পাঁচদিনের একটি কোর্সের কার্যক্রম শুরু করেছি। বাফুফের পাশে কৃত্রিম মাঠে এই প্রোগ্রাম অনুষ্ঠিত হবে। ১০ই অক্টোবর শেষ দিনে একটি প্রদর্শনী ম্যাচও অনুষ্ঠিত হবে। আমরা মেয়েদের নিয়ে যাত্রা শুরু করলাম। সময়ই বলে দেবে কতদূর যেতে পারি।’ ডব্লুএএফএফের কোচ হ্যারি স্মিথ বলেন, ‘প্রতিভা থাকলে বিকাশ ঘটবেই। বাংলাদেশে শারীরিক প্রতিবন্ধী মেয়েদের নিয়ে ফুটবলে যাত্রা শুরু হয়েছে। একদিন তারা বিশ্বকাপে খেলবে।’