শেষের পাতা
প্রশাসনে আওয়ামী লীগের দোসররা বহাল তবিয়তে
স্টাফ রিপোর্টার
৩ অক্টোবর ২০২৪, বৃহস্পতিবারপ্রশাসনে আওয়ামী লীগের দোসররা বহাল তবিয়তে কাজ করছে বলেই দেশে নতুন করে ষড়যন্ত্র ও অনৈতিক কর্মকাণ্ড শুরু হয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। বুধবার এক বিবৃতিতে তিনি এ অভিযোগ করেন।
বিএনপি মহাসচিব বলেন, বর্তমানে দেশ পতিত আওয়ামী ফ্যাসিস্ট সরকারের নির্দয় শাসন-শোষণ থেকে মুক্তি পেলেও সানজিদা ইসলাম তুলির ভাই সাইফুল ইসলাম শ্যামলকে বাড়ি থেকে উঠিয়ে নিয়ে যাওয়ার ঘটনায় দেশবাসী শঙ্কিত হয়ে পড়েছে। এই পরিবারটিকে হয়রানি করা বিপদগ্রস্ত একটি পরিবারের সঙ্গে রসিকতা। বিগত আওয়ামী সরকারের আমলে দায়ের করা মিথ্যা মামলায় নির্যাতিত সাইফুল ইসলাম শ্যামল। তিনি রাজনীতির সঙ্গে জড়িত না হলেও কোন অপরাধে তাকে তুলে নিয়ে যাওয়া হলো তা বোধগম্য নয়। প্রশাসনে এখনো আওয়ামী লীগের দোসররা বহাল তবিয়তে কাজ করছে বলেই দেশে নতুন করে শুরু হয়েছে ষড়যন্ত্র ও অনৈতিক কর্মকাণ্ড।
তিনি বলেন, এসব আওয়ামী দোসরদের চিহ্নিত করে ব্যবস্থা নিতে ব্যর্থ হলে এর দায় পড়বে অন্তর্বর্তী সরকারের ওপর। ফ্যাসিস্ট আওয়ামী শাসকগোষ্ঠীর নির্মম দুঃশাসন থেকে মুক্ত হয়ে জনজীবনে যে স্বস্তির বাতাস বইছে, সেটিকে নিমূর্ল করতেই এ ধরনের ঘৃণ্য ঘটনা ঘটানো হচ্ছে, যা খুবই উদ্বেগজনক।
মির্জা ফখরুল বলেন, প্রায় এক যুগ আগে গুম হয়েছেন বিএনপি নেতা সাজেদুল হক সুমন। গুম হওয়ার পর সাজেদুল হক সুমনের পরিবার মানসিকভাবে বিপদগ্রস্ত ও আতঙ্কগ্রস্ত। ছেলে সুমনের জন্য তার মা কাঁদতে কাঁদতে প্রায় অন্ধ হয়ে গেছেন। গুম হওয়ার এতো বছর পর আবারো গত ৩০ সেপ্টেম্বর সেনাবাহিনীর পরিচয়ে তাদের বাড়িতে অভিযান চালিয়ে সাজেদুল হক সুমনের ভাই সাইফুল ইসলাম শ্যামলকে তুলে নিয়ে যাওয়ার ঘটনায় পরিবারটি আতঙ্কিত হয়ে পড়েছে। অভিযান পরিচালনার সময় অভিযান পরিচালনাকারীরা ‘মায়ের ডাক’ এর সমন্বয়ক সানজিদা ইসলাম তুলিসহ পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে গালিগালাজ ও চরম অশালীন আচরণ করে। তারা বাসার ছোট্ট শিশুর সঙ্গেও অমানুষের মতো আচরণ করে।
তিনি বলেন, দেশকে অস্থিতিশীল করার সঙ্গে জড়িত কুচক্রী মহলের অপতৎপরতা বন্ধ করতে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার জোরালো ভূমিকা পালন করবে বলে আমি দৃঢ় আশাবাদী। গুমের শিকার পরিবারগুলোর গড়ে তোলা সংগঠন ‘মায়ের ডাক’- এর সমন্বয়ক সানজিদা ইসলাম তুলির পরিবারের সঙ্গে ধৃষ্টতাপূর্ণ আচরণের বিরুদ্ধে আমি তীব্র নিন্দা, প্রতিবাদসহ এ ধরনের ঘটনার যাতে পুনরাবৃত্তি না হয় সেজন্য জোরালো আহ্বান জানাচ্ছি।
আগামী ৬ মাসের মধ্যে ইন্ডিয়ান RAW/আওয়ামী প্রশাসনের প্রভাব মুক্ত একটা অবাধ নির্বাচনের ব্যবস্থা করা হোক। কারন, হাসিনা দেশকে যে যায়গায় নিয়ে গেছে, সে যায়গা থেকে দেশ/জনগণকে উদ্ধার করার যোগ্যতা/অভিজ্ঞতা/দক্ষতা/সাহস/সাপোর্ট কিছুই এই সরকারের নাই। এ সরকারের মেয়াদ বাড়ার সাথে সাথে দেশের ক্ষতির পরিমাণ ও বাড়বে।
জনতার নেতা জনাব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর সঠিক এবং সুন্দর কথা বলেছেন।
এটা পরিকল্পিত। সোচ্চার হউন, নতুবা অস্তিত্বের সংকটে পড়বেন।
এ কারণেই প্রতিবিপ্লব হবে আর আবার দেশের বারোটা বাজবে।
এমন হলে ভয়ের কারণ। এরা এই দেশের রাজনীতি করে নাই। এরা বাইরের দালাল ভয় ঐটাই। এমন এক দল এরাই প্র্ধানত দেশ বিরোধী শত্রুশক্তি।
মাহমুদুর রহমান সাহেব যে জেলে চলে গেলেন এই ব্যাপারে আপনাদের নিরবতা ভয়াবহ ধরনের লজ্জা জনক।উনি স্বৈরাচাররের আমলে আপনাদের এবন্সকল নিপীড়িত রাজনৈতিক দল, সাধারন মানুষ এবং দেশের জন্য জোরালো লড়াই করে গেছেন। আর এখন আপনি ও আপনার দল উনার এই দুরদিনে একটা সামান্যতম সহজগিতার হাত প্রসারিত করা দূরে থাকুক, একটা বক্তব্য পর্যন্ত দেন নি। আপনাদেরকে ও বিশ্বাস করার কোনও সুযোগ কি আমাদের জন্য আদৌ রাখছেন??
আত্বীয়তার বন্ধনে চলছে দেশ আওয়ামী পন্থী এই শিক্ষককে ভিসি হিসেবে নিয়োগ দেওয়ায় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমসহ দেশ-বিদেশে সমালোচনার ঝড় উঠেছে। ক্যাম্পাসে চাউর রয়েছে, হবিগঞ্জের চুনারুঘাটের বাসিন্দা আওয়ামী পরিবারের সদস্য প্রফেসর সায়েম পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান এবং মাধবপুর ও চুনারুঘাট থেকে বিনা ভোটে নির্বাচিত ৫ আগস্টের পর ছাত্র জনতার রোষানলে থেকে বাঁচতে বিদেশে পলায়নকৃত সংসদ সদস্য ব্যরিস্টার সৈয়দ সায়েদুল হক সুমনের নিকটাত্মীয় এবং প্রফেসর সায়েমের শ্বশুর বাড়ীর আত্মীয় হলেন প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ের সাথে সংযুক্ত উপদেষ্টা আলী ইমাম মজুমদার। এদের মাধ্যমে তার নিয়োগ চুড়ান্ত হয়েছে বলে দাবী করেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র জনতা।’