ঢাকা, ১১ অক্টোবর ২০২৪, শুক্রবার, ২৬ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ৭ রবিউস সানি ১৪৪৬ হিঃ

প্রথম পাতা

খাগড়াছড়িতে ধর্ষণের অভিযোগ

শিক্ষককে পিটিয়ে হত্যার পর উত্তেজনা, ১৪৪ ধারা জারি

খাগড়াছড়ি প্রতিনিধি
২ অক্টোবর ২০২৪, বুধবারmzamin

ধর্ষণের গুজব ছড়িয়ে খাগড়াছড়িতে আবুল হাসনাত মুহম্মদ সোহেল রানা নামে এক শিক্ষককে পিটিয়ে হত্যার ঘটনা ঘটেছে। নিহত শিক্ষক খাগড়াছড়ি টেকনিক্যাল স্কুল অ্যান্ড কলেজের বিল্ডিং কনস্ট্রাকশন ও সেফটি বিভাগের চিফ ইনস্ট্রাক্টর ছিলেন। গতকাল দুপুরে অধ্যক্ষের কক্ষে এ ঘটনা ঘটে। এ সময় তার কক্ষ ভাঙচুর করা হয়। শিক্ষক হত্যার খবর ছড়িয়ে পড়লে বিভিন্ন এলাকায় পাহাড়ি-বাঙালি ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। জেলা শহরের কল্যাণপুর এলাকায় পাহাড়িরা বাঙালিদের দিকে গুলি ছুড়লে পরিস্থিতি আরও উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। এ পরিস্থিতিতে মঙ্গলবার বিকাল ৩টা থেকে খাগড়াছড়ি শহর ও সদর উপজেলা এরিয়ায় ১৪৪ ধারা জারি করে জেলা প্রশাসন। যা পরবর্তী নির্দেশনা না দেয়া পর্যন্ত বলবৎ থাকবে।

জানা যায়, গুজব ছড়ানো হয়, শ্রেণি কার্যক্রম শুরুর আগে সপ্তম শ্রেণির একজন ত্রিপুরা সম্প্রদায়ের শিক্ষার্থীকে ধর্ষণ করেছেন শিক্ষক সোহেল রানা। পরে পাহাড়ি শিক্ষার্থীরা সংঘবদ্ধ হয়ে শিক্ষকের বিচার চেয়ে বিক্ষোভ করতে থাকে। এরপর অধ্যক্ষের কক্ষে আটকিয়ে শিক্ষককে একদফা পেটানো হয়। পরে প্রশাসন গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে গিয়ে ব্যর্থ হয় এবং শিক্ষার্থীরা শিক্ষককে পিটিয়ে হত্যা করে। পিটিয়ে শিক্ষক হত্যার ঘটনায় বিভিন্ন এলাকায় উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। এ বিষয়ে সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সুজন চন্দ্র রায় বলেন, বিশৃঙ্খলার খবর পেয়ে আমি এবং অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. তৌফিক টেকনিক্যাল স্কুল অ্যান্ড কলেজে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করার চেষ্টা করি। আমরা একটা কক্ষে গিয়ে উত্তেজিত শিক্ষার্থীদের সঙ্গে কথা বলে ভিকটিমকে ডাক্তারি পরীক্ষা-নিরীক্ষার জন্য হাসপাতালে প্রেরণ করি। ঘটনার সত্যতা জানতে ডাক্তারি রিপোর্টের প্রয়োজন রয়েছে। তখন পাহাড়ি শিক্ষার্থীরা শিক্ষককে একটা রুমে আটকে রাখে এবং একপর্যায়ে শিক্ষকের ওপর হামলে পড়ে। এতে আমরাও আহত হই। তারা ছিল প্রায় পাঁচ শতাধিক। পরে বহু কষ্ট করে পুলিশসহ আমরা শিক্ষককে উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠালে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করে। বিষয়টি খুবই মর্মান্তিক। এভাবে আইন হাতে তুলে নেয়ার এখতিয়ার কারও নেই।

খাগড়াছড়ি পুলিশ সুপার মো. আরেফিন জুয়েল বলেন, এটা জঘন্য ঘটনা। এ ঘটনায় যারাই জড়িত তাদের গ্রেপ্তার করে আইনের আওতায় আনা হবে। আইন হাতে তুলে নেয়ার এখতিয়ার কারও নেই। এদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে। জেলা প্রশাসক মো. সহিদুজ্জামান বলেন, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আমরা জেলা শহর এবং খাগড়াছড়ি সদর উপজেলায় ১৪৪ ধারা জারি করেছি। মাঠে বিপুলসংখ্যক আইনশৃঙ্খলা বাহিনী মোতায়েন রয়েছে। যেকোনো অপরাধের জন্য আইন রয়েছে। একটা অভিযোগে শিক্ষককে পিটিয়ে হত্যা করা খুবই নির্মম বিষয়। অপরাধীদের আইনের আওতায় আনা হবে। 
 

পাঠকের মতামত

সমাজের রন্ধ্রে রন্ধ্রে ঘাপটি মেরে থাকা র'-এজেন্টদের চিহ্নিত করা এবং এদের কর্মকাণ্ড সতর্কতার সাথে প্রতিহত করা জরুরি।

Humayun Kabir
৩ অক্টোবর ২০২৪, বৃহস্পতিবার, ৮:২২ পূর্বাহ্ন

পাহাড়িরা তাদের আলাদা রাষ্ট্র গঠনের চিন্তা থেকে এই কাজগুলো করছে বলে মনে হয় ।

ইউনূস
২ অক্টোবর ২০২৪, বুধবার, ১:২৮ অপরাহ্ন

Muhibul এর মতামত প্রসঙ্গে, দেশটি তোমার একার নয়। উপজাতিদের সম্মান করা শেখো। মেনে নিচ্ছি উত্তেজিত হয়ে তারা আইন হাতে নিয়েছিল, তবে এমন ঘটনা ইতিপূর্বে তোমার মত দেশ প্রেমিকরাও ঘটিয়েছিল। সুতরাং মন থেকে উপজাতি বিদ্বেষ মনোভাব মুছে ফেলবার চেষ্টা কর ।

nixon tapi
২ অক্টোবর ২০২৪, বুধবার, ১১:০৬ পূর্বাহ্ন

দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চাই। বাঙ্গালিদের ঐক্য চাই।

মুহাম্মদ ইসমাঈল বুখা
২ অক্টোবর ২০২৪, বুধবার, ১০:১০ পূর্বাহ্ন

উক্ত হত্যাকাণ্ডের সঠিক বিচার চাই

শাহরিয়ার
২ অক্টোবর ২০২৪, বুধবার, ৯:৩২ পূর্বাহ্ন

এগুলো উপজাতিদের বানানো কথা, একজন শিক্ষক এই কাজ কখনো করবেনা। যদিও করে থাকে, তাহলে কি উপজাতিরা মেরে ফেলার অধিকার আছে? অতিসত্বর এদের কে আইনের আওতায় এনে, আমাদের দেশ থেকে বিতাড়িত করার ব্যবস্থা করা হউক। নতুবা ভবিষ্যৎ, আরও অন্ধকার পথে আমরা হাটতে হবে।

Muhibul
২ অক্টোবর ২০২৪, বুধবার, ৬:০৫ পূর্বাহ্ন

মিথ্যা অপবাদে পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড।

মোহাম্মদ আলী রিফাই
২ অক্টোবর ২০২৪, বুধবার, ১২:৩১ পূর্বাহ্ন

প্রথম পাতা থেকে আরও পড়ুন

প্রথম পাতা সর্বাধিক পঠিত

Logo
প্রধান সম্পাদক মতিউর রহমান চৌধুরী
জেনিথ টাওয়ার, ৪০ কাওরান বাজার, ঢাকা-১২১৫ এবং মিডিয়া প্রিন্টার্স ১৪৯-১৫০ তেজগাঁও শিল্প এলাকা, ঢাকা-১২০৮ থেকে
মাহবুবা চৌধুরী কর্তৃক সম্পাদিত ও প্রকাশিত।
ফোন : ৫৫০-১১৭১০-৩ ফ্যাক্স : ৮১২৮৩১৩, ৫৫০১৩৪০০
ই-মেইল: [email protected]
Copyright © 2024
All rights reserved www.mzamin.com
DMCA.com Protection Status