বিবিধ
এরিকসনের সহযোগিতায় বিশ্বের বৃহত্তম ডেটা মিডিয়েশন টুল ব্যবহার করে গ্রাহক অভিজ্ঞতা আরও সমৃদ্ধ করলো গ্রামীণফোন
অনলাইন ডেস্ক
(১ মাস আগে) ২৫ সেপ্টেম্বর ২০২৪, বুধবার, ৬:৫৫ অপরাহ্ন
বিশ্বের বৃহত্তম ইএম টুয়েন্টিফোর সফটওয়্যার সল্যুশন স্থাপন করেছে দেশের শীর্ষ ডিজিটাল সংযোগ প্রদানকারী কোম্পানি গ্রামীণফোন। বিপুল নেটওয়ার্ক অ্যাক্টিভিটির ডেটা প্রক্রিয়াকরণ, উল্লেখযোগ্যভাবে গ্রাহক বিলিং এর নির্ভুলতা উন্নত করতে এবং গ্রাহক অভিজ্ঞতা আরো সমৃদ্ধ করতে সহায়ক ভূমিকা পালন করেছে এরিকসনের এই প্রযুক্তি।
অত্যাধুনিক এই সিস্টেমটি গ্রামীণফোনের নেটওয়ার্ক জুড়ে তৈরি হওয়া বিপুল ডেটা সংগ্রহ, প্রক্রিয়াকরণ এবং তা ব্যবহার উপযোগী করতে সক্ষম করে। এটি নেটওয়ার্ক পারফরম্যান্সের আদ্যোপান্ত ও গ্রাহকদের সেবা গ্রহণের ধরণ সম্পর্কে তথ্য প্রদান এবং বিলিংয়ের মান উন্নত করতে সহায়ক। ইএম টুয়েন্টিফোর সিস্টেমটি ডেটাগুলোকে একীভূতকরণ এবং মানসম্মত একটি ফরম্যাটে আনতে সক্ষম, যা পরিচালনগত দক্ষতা ও পরিষেবা প্রদানের ক্ষেত্রে এক মানদণ্ডে পরিণত হয়েছে।
অত্যাধুনিক এই সিস্টিমটি এমনভাবে তৈরি করা হয়েছে যা কার্যকরভাবে ১০ কোটির বেশি গ্রাহকের তথ্য ব্যবস্থাপায় সহায়ক; যা দৈনিক ৬শ’ কোটির বেশি ডাটা ট্রানজেকশনের সমান। যার ফলে এই ধরণের প্রযুক্তি স্থাপনের দিক থেকে এটি বিশ্বের অন্যতম বৃহৎ। এটি শুধু টেলিযোগাযোগ শিল্পের একটি মাইলফলক অর্জন নয়, গ্রাহক তথ্যের সুরক্ষা নিশ্চিত করে সেবার মান আরো বাড়াতে গ্রামীণফোনের একাগ্রতার প্রতিফলন।
ইএম টুয়েন্টিফোরের বহু সুবিধাগুলোর মধ্যে রয়েছে তাৎক্ষণিকভাবে ব্যবহৃত ডাটা প্রক্রিয়াকরণ, বিভিন্ন ডেটা ফরম্যাট ও প্রোটোকলের মধ্যে সমন্বয় সাধন, বৈচিত্র্যময় নেটওয়ার্ক প্রযুক্তিতে সহায়ক এবং গ্রাহক তথ্য সুরক্ষা নিশ্চিত করে দ্রুততম সময়ে বিপুল সংখ্যক ডাটা প্রক্রিয়াকরণের সক্ষমতা। এই মানসম্মত ডাটাগুলো পরবর্তীতে বিভিন্ন কাজে ব্যবহৃত হয়। যেমন: বিলিং, রিপোর্টিং এবং নেটওয়ার্ক ব্যবহারের ওপর ভিত্তি করে গ্রাহকদের জন্য আরো কার্যকর বিল তৈরি করা। এটি সেবা গ্রহণের পরিমাণ অনুযায়ী যথাযথ বিলিং নিশ্চিত করতে সহায়ক।
গ্রামীনফোনের স্থাপন করা এই প্রযুক্তিতে ভবিষ্যতের প্রযুক্তির জন্য সহায়ক একটি ভার্চুয়ালাইজড প্ল্যাটফর্মসহ নতুন প্রজন্মের সফটওয়্যার ফিচারগুলো রয়েছে। গ্রাহকদের সর্বোত্তম সেবা প্রদানে গ্রামীণফোনের প্রতিশ্রুতির প্রতিফলন এই পদক্ষেপ।
গ্রামীনফোনের চিফ এক্সিকিউটিভ অফিসার (সিইও) ইয়াসির আজমান বলেন, “বিশ্বের বৃহত্তম এরিকসনের এই ইএম টুয়েন্টিফোর ডেটা মেডিয়েশন ব্যবস্থা স্থাপন আমাদের উদ্ভাবন ও গ্রাহককেন্দ্রিকতার প্রতিশ্রুতির প্রতিফলন, যা আমাদের কর্মদক্ষতাকে আরো দৃঢ় করেছে। তাৎক্ষণিকভাবে ডেটা প্রক্রিয়াকরণের মাধ্যমে আমরা গ্রাহকদের পরিবর্তনশীল ডিজিটাল চাহিদা পূরণে এবং দেশের ডিজিটাল রূপান্তরে ইতিবাচক ভূমিকা রাখতে চেষ্টা করছি, যাতে আমরা ভবিষ্যতের কানেক্টিভিটি এর মাধ্যমে আমাদের গ্রাহকদের সর্বোত্তম সেবা দিতে পারি।”
গ্রামীনফোনের চিফ ইনফরমেশন অফিসার (সিআইও) নিরঞ্জন শ্রীনিবাসন বলেন, “ইএম টুয়েন্টিফোরের মাধ্যমে গ্রামীনফোন তাদের গ্রাহক ও খুচরা বিক্রেতাদের ব্যবহার এবং প্রেক্ষাপটের জন্য আরও ব্যক্তিভিত্তিক ও তাৎক্ষণিক ডেটা বিশ্লেষণ এবং এআই-সমৃদ্ধ তথ্য প্রদান করতে সক্ষম হবে। এটি আমাদের গ্রাহকদের বিলিংয়ের মান বৃদ্ধি এবং ধারাবাহিকতা রক্ষার পাশাপাশি দেবে নিখুঁত বিলের নিশ্চয়তা।”
বাংলাদেশ, শ্রীলঙ্কা ও মালয়েশিয়ার হেড অব এরিকসন ডেভিড হেগারব্রো বলেন, “নেটওয়ার্ক সমন্বয়ের গুরত্ব দিন দিন বাড়ছে। বর্তমানের জটিল নেটওয়ার্ক ব্যবস্থায় একটি শক্তিশালী মেডিয়েশন প্ল্যাটফর্ম অপরিহার্য, যা নতুন প্রযুক্তি ও দ্রুত পরিবর্তনশীল ব্যবসায়িক মডেলগুলোর জন্য নেটওয়ার্কের সব উপাদানের সমন্বয় করতে সক্ষম।”
তিনি আরও বলেন, “গ্রাহক অভিজ্ঞতা এবং পরিচালনগত দক্ষতা বৃদ্ধিতে গ্রামীণফোনের সাথে দীর্ঘমেয়াদি অংশীদারিত্ব চালিয়ে যেতে পেরে আমরা গর্বিত। এতে প্রতিনিয়ত বাংলাদেশে বিশ্বমানের নতুন নতুন প্রযুক্তি নিয়ে আসার সুযোগ তৈরি হবে।”