শরীর ও মন
শরীরবৃত্তীয় বা জৈবিক ক্রিয়াকলাপের স্বাভাবিকতা বজায় রাখতে ব্যায়াম
ডা. মো. বখতিয়ার
২৪ সেপ্টেম্বর ২০২৪, মঙ্গলবারবয়স বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে শারীরিক অসুস্থতার ঝুঁকিও বাড়তে থাকে। তাই বয়স ৪০ হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে শারীরিক সুস্থতা বজায় রাখতে আপনাকে প্রতিদিন কিছু না কিছু কায়িক পরিশ্রম বা ব্যায়াম করতে হবে। যদি আপনি নিয়মমাফিক শরীরচর্চায় বা ব্যায়াম করেন তাহলে এতে আপনার হৃৎপিণ্ড, ফুসফুস, পরিপাকতন্ত্র, রক্তনালি, পেশি ও হাড় সুস্থ থাকতে সহায়তা করবে। শরীর সচল বা চাঙ্গা থাকলে আপনার প্রতিদিনের খাবার থেকে পুষ্টি উপাদানগুলো ভালোভাবে পরিশোষিত হয় আর কমে পুষ্টিহীনতা এবং রক্তশূন্যতার ঝুঁকিও। এ ছাড়া আপনি কোষ্ঠকাঠিন্যের প্রবণতা থেকেও রেহায় পাবেন। বয়সজনিত ব্যথাবেদনা বা বাত ব্যথাও কমে আসে। শরীরচর্চার ফলে ত্বকে ঠিকঠাক রক্ত সঞ্চালিত হয়, এ জন্য ত্বকের স্বাভাবিকতাও বজায় থাকে।
জেনে নিন প্রতিদিন নিয়মমাফিক শরীরচর্চার উপকারিতা:
ত্বকের লাবণ্যতা বৃদ্ধি
শরীরচর্চায় বাড়ে রক্তপ্রবাহ বা রক্ত সঞ্চালন। শরীরের অন্যান্য অংশে তো বটেই, ত্বকেও রক্ত সঞ্চালিত হয় ঠিকঠাক। ফলে ত্বক থাকে সুস্থ ও সতেজ। বজায় থাকে ত্বকের স্বাভাবিক আভা। তা ছাড়া শরীরচর্চা করলে ঘামও হয়। এতে ত্বকের লোমকূপের কার্যকারিতাও থাকে ঠিকঠাক।
সুঠাম ও লিকলিকে দেহ
নিয়মিত শরীরচর্চায় নিয়ন্ত্রণে থাকে ওজন ও ঝরে যায় শরীরের বাড়তি মেদ। বজায় থাকে স্বাভাবিক গড়ন ও গঠন।
বৃদ্ধি পায় প্রতিদিনের কর্মচাঞ্চল্যতা
শরীরচর্চায় মানুষ উদ্যমী হয়ে ওঠে। বদলে যায় জীবনধারা। সময়ের কাজ সময়ে করতে সক্ষম হন এই মানুষেরা। খাওয়া-দাওয়াতেও নিয়ম মেনে চলা সম্ভব হয়।
ফুরফুরে মন
শরীরচর্চায় মন প্রফুল্ল ও প্রশান্তি থাকে। শ্বাস-প্রশ্বাসের ব্যায়াম মানসিক চাপ কমাতে সাহায্য করে।
ফিরে আসে পারিবারিক শান্তি।
আপনার আলস্যতার কারণে অনেক ধরনের পারিবারিক সমস্যা তৈরি হয়। কিন্তু যখন আপনি নিয়মিত শরীর চর্চার সঙ্গে জীবনধারাকে পাল্টে ফেলবেন তখন কিন্তু এর সঙ্গে অনেক কিছুই পজিটিভ চলে আসবে। যেমন ধরুন প্রতিদিন রুটিনমাফিক আপনার পরিবারের সঙ্গে অনেক কিছুতেই আপনি শেয়ার করতে থাকলেন। যেমন ধরুন আপনি সকালে ঘুম থেকে উঠে ব্যায়ামআত্তি ছেড়ে বাচ্চাকে স্কুলে নিয়ে যাওয়া, আবার বিকালে বাচ্চাকে সঙ্গে নিয়ে খেলাধুলা করা। এই সুন্দর জিনিসগুলো হঠাৎই আপনার পরিবারের মাঝে নতুন সৌন্দর্য সৃষ্টি করতে সহায়তা করবে।
লেখক: জনস্বাস্থ্য বিষয়ক লেখক ও গবেষক এবং ব্যবস্থাপনা পরিচালক, খাজা বদরুদজোদা মডার্ন হাসপাতাল, সফিপুর, কালিয়াকৈর, গাজীপুর।