শরীর ও মন
রোগের নাম ফিস্টুলা ইন এনো
ডা. মোহাম্মদ তানভীর জালাল
২৩ জুলাই ২০২২, শনিবারমলাশয়ের এই রোগটির উপসর্গ হলো একটি নালি ঘা যার দুইদিকে মুখ। একদিকে রেকটাম ও এনাল ক্যানাল
অন্যদিকে বাইরের চামড়া।
এই রোগটিকে দুই ভাগে ভাগ করা হয়
১. হাই লেভেল
২. লো লেভেল
ইন্টারনাল ওপেনিং এর অবস্থান অনুযায়ী এই ভাগ। এনোরেকটাল রিংয়ের উপরে যখন ইন্টারনাল ওপেনিং থাকে, তখন তাকে হাই লেভেল ফিশচুলা বলে। চিকিৎসার জন্য এই লেভেল নির্ণয় খুবই গুরুত্বপূর্ণ। কারণ হাই লেভেল চিকিৎসায় খুবই যত্নবান হতে হয়। তা না হলে সারা জীবন নিঃসাড়ে পায়খানা ঝরতে থাকে। চিকিৎসক অনেক সময় প্রোপ বা স্টিলের শিক দিয়ে পরীক্ষা করতে থাকেন। সেই সময় এই ফিস্টুলার হয়তো ইন্টারনাল ওপেনিং ছিল না। প্রোব ঢোকানোর কারণে তা রেকটামে প্রবেশ করেছে এবং জটিল পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। এটাকে জটিল ফিস্টুলা বলা হয়।
স্পেশাল টাইপ ফিস্টুলা
১. ফিস্টুলার সঙ্গে এনাল ফিশার থাকে
২. এনাল ক্যানালে টিবি রোগের সঙ্গে ফিস্টুলা হয়।
৩.ক্রনস ডিজিস এর সঙ্গে ফিস্টুলা হয়।
৪. ক্যান্সার হয় ফিস্টুলার নালিতে।
লক্ষণ সমূহ
১. প্রচণ্ড ব্যথা
২. মলত্যাগে কষ্ট
৩. জ্বর
৪. পুঁজ পড়া
৫. রক্ত ঝরা
৬. এক বা একাধিক মুখ থাকে
পরীক্ষা
১. ডিজিটাল রেকটাল পরীক্ষা যা পায়ুপথে আঙ্গুল ঢুটিয়ে করা হয়।
২. প্রোকটোসকোট।
৩. প্রোবিং: সাবধানে ব্যবহার করতে হবে। এনেসথেসিয়া দিয়ে অপারেশন থিয়েটারে স্টিলের ব্যবহার করতে হবে। এনসথেসিয়া দিয়ে অপারেশন থিয়েটারে স্টিলের শিক দিয়ে পরীক্ষা করা হয়।
৪. এন্ডালুমিনাল আলট্রা সনোগ্রাম
৫. এমআরআই
চিকিৎসা
১. যেহেতু এবসেস থেকে ফিস্টুলা হয় তাই শুরুতেই অ্যান্টিবায়োটিক দিলে ইনফেকশন নিয়ন্ত্রণ হয়ে যায়, এবসেস মিলিয়ে যায়।
২. সার্জারি লাগবে।
জটিলতা: অনভিজ্ঞ সার্জন সার্জারি করলে নিঃসাড়ে পায়খানা হবে, যা খুবই বিরক্তিকর।
লেখক: সহযোগী অধ্যাপক (কলোরেক্টাল সার্জারি বিভাগ)
কলোরেক্টাল, লেপারোস্কপিক ও জেনারেল সার্জন
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়, ঢাকা।