ঢাকা, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, শনিবার, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১৭ শাওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

শরীর ও মন

রোগের নাম ফিস্টুলা ইন এনো

ডা. মোহাম্মদ তানভীর জালাল
২৩ জুলাই ২০২২, শনিবার
mzamin

মলাশয়ের এই রোগটির উপসর্গ হলো একটি নালি ঘা যার দুইদিকে মুখ। একদিকে রেকটাম ও এনাল ক্যানাল 
অন্যদিকে বাইরের চামড়া। 
এই রোগটিকে দুই ভাগে ভাগ করা হয় 
১. হাই লেভেল 
২. লো লেভেল 
ইন্টারনাল ওপেনিং এর অবস্থান অনুযায়ী এই ভাগ। এনোরেকটাল রিংয়ের উপরে যখন ইন্টারনাল ওপেনিং থাকে, তখন তাকে হাই লেভেল ফিশচুলা বলে। চিকিৎসার জন্য এই লেভেল নির্ণয় খুবই গুরুত্বপূর্ণ। কারণ হাই লেভেল চিকিৎসায় খুবই যত্নবান হতে হয়। তা না হলে সারা জীবন নিঃসাড়ে পায়খানা ঝরতে থাকে। চিকিৎসক অনেক সময় প্রোপ বা স্টিলের শিক দিয়ে পরীক্ষা করতে থাকেন। সেই সময় এই ফিস্টুলার হয়তো ইন্টারনাল ওপেনিং ছিল না। প্রোব ঢোকানোর কারণে তা রেকটামে প্রবেশ করেছে এবং জটিল পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। এটাকে জটিল ফিস্টুলা বলা হয়।

বিজ্ঞাপন
অবস্থান অনুযায়ী একাধিক ভাগে ভাগ করা হয়। এরসঙ্গে অনেক জটিল রোগ সম্পৃক্ত থাকে। তাই শুধু ফিস্টুলার চিকিৎসা দিলে হবে না। এর পাশাপাশি সংশ্লিষ্ট অসুখেরও চিকিৎসা দিতে হবে। রোগ নির্ণয়ে যদি ভুল হয়, লেভেল নিরূপণ সঠিক না হলে এবং সেই অনুপাতে চিকিৎসা দেয়া না হলে তাহলে ফিস্টুলা আবার দেখা দিবে। তাই রোগ নির্ণয়ের পূর্বে লেভেল যাচাই গুরুত্বপূর্ণ। সংশ্লিষ্ট রোগ আছে কিনা তা নির্ণয় গুরুত্বপূর্ণ। তাহলে পুনঃফিস্টুলা হওয়ার হাত থেকে রক্ষা পাবেন। ফিস্টুলা বারবার কেন হয় এটাই তার প্রমাণ। ব্যর্থ ফিস্টুলার সঠিক চিকিৎসা প্রদান তাই অতি গুরুত্বপূর্ণ। 
স্পেশাল টাইপ ফিস্টুলা 
১. ফিস্টুলার সঙ্গে এনাল ফিশার থাকে 
২. এনাল ক্যানালে টিবি রোগের সঙ্গে ফিস্টুলা হয়। 
৩.ক্রনস ডিজিস এর সঙ্গে ফিস্টুলা হয়। 
৪. ক্যান্সার হয় ফিস্টুলার নালিতে।
লক্ষণ সমূহ 
১. প্রচণ্ড ব্যথা 
২. মলত্যাগে কষ্ট 
৩. জ্বর 
৪. পুঁজ পড়া 
৫. রক্ত ঝরা 
৬. এক বা একাধিক মুখ থাকে 
পরীক্ষা 
১. ডিজিটাল রেকটাল পরীক্ষা যা পায়ুপথে আঙ্গুল ঢুটিয়ে করা হয়। 
২. প্রোকটোসকোট। 
৩. প্রোবিং: সাবধানে ব্যবহার করতে হবে। এনেসথেসিয়া দিয়ে অপারেশন থিয়েটারে স্টিলের ব্যবহার করতে হবে। এনসথেসিয়া দিয়ে অপারেশন থিয়েটারে স্টিলের শিক দিয়ে পরীক্ষা করা হয়। 
৪. এন্ডালুমিনাল আলট্রা সনোগ্রাম 
৫. এমআরআই 
চিকিৎসা 
১. যেহেতু এবসেস থেকে ফিস্টুলা হয় তাই শুরুতেই অ্যান্টিবায়োটিক দিলে ইনফেকশন নিয়ন্ত্রণ হয়ে যায়, এবসেস মিলিয়ে যায়। 
২. সার্জারি লাগবে। 
জটিলতা: অনভিজ্ঞ সার্জন সার্জারি করলে নিঃসাড়ে পায়খানা হবে, যা খুবই বিরক্তিকর।
 

লেখক: সহযোগী অধ্যাপক (কলোরেক্টাল সার্জারি বিভাগ) 
কলোরেক্টাল, লেপারোস্কপিক ও জেনারেল সার্জন 
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়, ঢাকা।

শরীর ও মন থেকে আরও পড়ুন

   

শরীর ও মন সর্বাধিক পঠিত

Logo
প্রধান সম্পাদক মতিউর রহমান চৌধুরী
জেনিথ টাওয়ার, ৪০ কাওরান বাজার, ঢাকা-১২১৫ এবং মিডিয়া প্রিন্টার্স ১৪৯-১৫০ তেজগাঁও শিল্প এলাকা, ঢাকা-১২০৮ থেকে
মাহবুবা চৌধুরী কর্তৃক সম্পাদিত ও প্রকাশিত।
ফোন : ৫৫০-১১৭১০-৩ ফ্যাক্স : ৮১২৮৩১৩, ৫৫০১৩৪০০
ই-মেইল: [email protected]
Copyright © 2024
All rights reserved www.mzamin.com
DMCA.com Protection Status