ঢাকা, ১৩ অক্টোবর ২০২৪, রবিবার, ২৮ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ৯ রবিউস সানি ১৪৪৬ হিঃ

বিশ্বজমিন

ক্ষুধাপীড়িতদের খাদ্য হিসেবে শতাধিক হাতি ও বন্যপ্রাণী মারার অনুমোদন জিম্বাবুয়ে এবং নামিবিয়ায়

মানবজমিন ডেস্ক

(৩ সপ্তাহ আগে) ১৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪, বুধবার, ১:৪৭ অপরাহ্ন

mzamin

দক্ষিণ আফ্রিকার দেশুগলোতে তীব্র খরা পরিস্থিতির মধ্যে ক্ষুধার্ত বাসিন্দাদের জন্য শত শত হাতি এবং অন্যান্য বন্য প্রাণীর মাংস খাদ্য হিসাবে বিতরণের পরিকল্পনা ঘোষণা করেছে জিম্বাবুয়ে এবং নামিবিয়া। হাতির মাংস ক্ষুধাপীড়িত মানুষের মধ্যে বিতরণের জন্য গত সোমবার জিম্বাবুয়ে ২০০ হাতি হত্যার অনুমোদন করেছে। অন্যদিকে নামিবিয়াতে বন্য প্রাণী হত্যার অনুমোদনের সংখ্যা আরও বেশি। দেশটিতে এ পর্যন্ত সাত শতাধিক বন্য প্রাণী হত্যার অনুমোদন দেয়া হয়েছে, যার মধ্যে ৮৩টি হাতি হত্যার কথা রয়েছে। এ খবর দিয়েছে বার্তা সংস্থা এপি। এতে বলা হয়, গত তিন সপ্তাহেই এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে দেশগুলো। জিম্বাবুয়ের কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, হাতি হত্যার অনুমোদন কার্যক্রম শেষ হওয়ার পর তারা হাতিগুলোকে জবাই করা শুরু করবে। তারা জানিয়েছে, খাদ্য হিসেবে এমন স্থানের হাতি বাছাই করা হবে যেখানে স্থায়ীভাবে জনগণের বসবাস কম। এক্ষেত্রে তারা জিম্বাবুয়ের হাওয়াঙ্গে ন্যাশনাল পার্কের মতো অঞ্চলকে নির্বাচন করেছে। কেননা এসব অঞ্চলে খাবার পানি এবং খাদ্যের তীব্র সংকট রয়েছে। ক্রমবর্ধমান তাপামাত্রার ফলে ওই অঞ্চলে খরা তীব্র থেকে তীব্রতর হচ্ছে। ৪৫ হাজারের বেশি হাতির বসবাস ওই হাওয়াঙ্গে অঞ্চলে। তবে খরা পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণের পর সেখানে মাত্র ১৫ হাজার হাতিকে বাঁচিয়ে রাখা সম্ভব হবে বলে জানিয়েছে কর্তৃপক্ষ। দেশটিতে এক লাখের বেশি হাতি রয়েছে যা স্থানের তুলনায় দ্বিগুণ। 

এল নিনো প্রভাবের ফলে দক্ষিণ আফ্রিকার দেশগুলোর পরিবেশে ভয়াবহ নেতিবাচক প্রভাব পড়েছে। এতে জিম্বাবুয়ে এবং নামিবিয়ার বেশ কিছু অঞ্চল প্রবল খরার মধ্যে পড়েছে। গত ডিসেম্বরে খরা আক্রান্ত অঞ্চলগুলোর জাতীয় উদ্যানগুলোতে শতাধিক হাতি প্রাণ হারিয়েছে বলে জানিয়েছে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ। জিম্বাবুয়ে বছরের উষ্ণতম সময়ে প্রবেশের ফলে সামনের দিনগুলোতে আরও প্রাণী তৃষ্ণা ও ক্ষুধায় প্রাণ হারানোর আশঙ্কা করা হচ্ছে। দেশটির পরিবেশ মন্ত্রী সিথেমবিসো নিওনি গত সপ্তাহে সংসদে বলেছিলেন, তিনি ‘হাতি-হত্যা’ কর্মসূচির জন্য ইতিমধ্যেই অনুমোদন দিয়েছেন। জিম্বাবুয়ে প্রয়োজনের চেয়েও অধিক হাতি রয়েছে বলে জানিয়েছেন তিনি। এদিকে নামিবিয়া গত মাসে ৭২৩টি বন্যপ্রাণী হত্যার অনুমতি দিয়েছে। এরমধ্যে ৮৩টি হাতি, ৩০টি জলহস্তি, ৬০টি মহিষ, ৫০টি হরিণ, ৩০০টি জেব্রা ও ১০০টি ইলেন্ড হত্যার অনুমতি দেয়া হয়েছে। এসব প্রাণী নামিবিয়ার পাঁচটি জাতীয় উদ্যান থেকে সংগ্রহ করা হবে বলে জানিয়েছে কর্তৃপক্ষ। মূলত তারা এসব অঞ্চলে মানুষের খাদ্য ঘাটতি কমাতে বন্যপ্রাণীর সংখ্যা কমানোর উদ্যোগ নিয়েছে।

 

পাঠকের মতামত

আল্লাহ'র কুদরত বোঝা কঠিন। কোন কোন দেশে অতিবৃষ্টির জন্য বন্যায় ভেসে যাচ্ছে মানুষ ও প্রাণী। আবার কোন কোন দেশ খরার জন্য খাদ্য পুড়ে গিয়ে বন্যপ্রাণী ও মানুষের খাদ্যাভাব দেখা দিচ্ছে। এতে বন্যপ্রাণী না খেয়ে মরবে । আল্লাহ সর্বশক্তিমান।

Kazi
১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪, বৃহস্পতিবার, ১১:৩৮ পূর্বাহ্ন

বিশ্বজমিন থেকে আরও পড়ুন

আরও খবর

বিশ্বজমিন সর্বাধিক পঠিত

Logo
প্রধান সম্পাদক মতিউর রহমান চৌধুরী
জেনিথ টাওয়ার, ৪০ কাওরান বাজার, ঢাকা-১২১৫ এবং মিডিয়া প্রিন্টার্স ১৪৯-১৫০ তেজগাঁও শিল্প এলাকা, ঢাকা-১২০৮ থেকে
মাহবুবা চৌধুরী কর্তৃক সম্পাদিত ও প্রকাশিত।
ফোন : ৫৫০-১১৭১০-৩ ফ্যাক্স : ৮১২৮৩১৩, ৫৫০১৩৪০০
ই-মেইল: [email protected]
Copyright © 2024
All rights reserved www.mzamin.com
DMCA.com Protection Status