অনলাইন
নার্সদের নিয়ে কটূক্তি: মহাপরিচালকের অপসারণের দাবিতে বিক্ষোভ
স্টাফ রিপোর্টার
(২ সপ্তাহ আগে) ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২৪, শনিবার, ২:৪৯ অপরাহ্ন
সর্বশেষ আপডেট: ১২:০৬ পূর্বাহ্ন
নার্সিং পেশা ও নার্সদের নিয়ে কটূক্তি করায় নার্সিং ও মিডওয়াইফারি অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মাকসুরা নূরের অপসারণের দাবিতে বিক্ষোভে ফুঁসে উঠেছেন ঢাকা মেডিকেল নার্সিং কলেজের শিক্ষার্থীরা। শনিবার ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের সামনে শিক্ষার্থীরা মানববন্ধন ও বিক্ষোভ মিছিল করে এই দাবি করেন। সমন্বয়ক মো. সাব্বির মাহমুদ তিহানের নেতৃত্বে পাঁচ শতাধিক শিক্ষার্থী বিক্ষোভে অংশ নেন।
মানববন্ধনে উপস্থিত ছিলেন নার্সিং সংস্কার পরিষদের প্রধান সমন্বয়ক ডক্টর শরিফুল ইসলাম, নার্সিং কলেজের ছাত্র সমন্বয়ক মহিবুল্লাহসহ ঢামেক হাসপাতালের নার্সিং বিভাগের শিক্ষার্থীরা। শিক্ষার্থীদের দাবি, নার্সিং অধিদপ্তরের প্রশাসনিক পদগুলোতে উচ্চশিক্ষিত ও অভিজ্ঞ নার্সদের নিয়োগ দিতে হবে। আন্দোলনকারীরা জানায়, দীর্ঘদিন ধরে নার্সরা প্রশাসনিক বৈষম্যের শিকার হয়ে আসছেন, যার বিরুদ্ধে এবার তারা কঠোর কর্মসূচি নেয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছেন। রোববার ১৫ই সেপ্টেম্বর সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে তাদের পরবর্তী কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে। তাদের দাবি উপেক্ষা করা হলে কর্মবিরতি কিংবা আরও কঠোর পদক্ষেপ গ্রহণ করবেন বলেও হুঁশিয়ারি দেন।
আন্দোলনরত নার্সরা বলেন, দেশের স্বাস্থ্য খাতে সংকটের সময়, যেমন করোনা মহামারি, ডেঙ্গু এবং অন্যান্য স্বাস্থ্য জরুরিতে, তারা সম্মুখ সারিতে থেকে জীবন বাজি রেখে কাজ করেছেন। কিন্তু তবুও তাদের পেশাগত দক্ষতা এবং অভিজ্ঞতার সঠিক মূল্যায়ন করা হয়নি। বরং প্রশাসনিক পদে তাদের বাদ দিয়ে অন্যান্য কর্মকর্তা নিয়োগ দেয়ার প্রক্রিয়া নার্সদের পেশাগত উন্নয়ন বাধাগ্রস্ত করছে। এর ফলে, দেশের স্বাস্থ্যসেবার মানও ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে।
বিক্ষোভকারীদের ক্ষোভ আরও তীব্র হয় যখন গত ১২ই সেপ্টেম্বর একজন নন-নার্স প্রশাসনিক কর্মকর্তাকে নার্সিং অধিদপ্তরের রেজিস্ট্রার পদে নিয়োগ দেয়া হয়। নার্সদের অভিযোগ, এই ধরনের পদক্ষেপ তাদের পেশাগত মর্যাদা হ্রাস করছে এবং তাদের দক্ষতাকে অবমূল্যায়িত করছে। নার্সরা মনে করেন, প্রশাসনিক পদে তাদের নিজস্ব পেশাজীবীদের নিয়োগের মাধ্যমে এই সংকটের সমাধান সম্ভব, যা তাদের পেশাগত উন্নয়ন এবং স্বাস্থ্যসেবার মান উন্নয়নে সহায়তা করবে।
উল্লেখ্য, ৮ই সেপ্টেম্বর নার্সিং ওমিডওয়াইফারি অধিদপ্তরে মহাপরিচালক মাকসুরা নূর এক বিতর্কিত মন্তব্য করেন, যেখানে তিনি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ঘোষণার ভিত্তিতে নার্সদের ২য় শ্রেণির পদমর্যাদা দেয়ার সিদ্ধান্তকে ‘ভুল’ বলে আখ্যা দেন। তার এই মন্তব্য নার্সদের মধ্যে ব্যাপক ক্ষোভের জন্ম দেয়। এর প্রতিক্রিয়ায় ৯ই সেপ্টেম্বর থেকে দেশের বিভিন্ন স্থানে নার্সরা বিক্ষোভ শুরু করেন এবং মহাপরিচালকের পদত্যাগের দাবি জানান। নার্সরা মনে করেন, তাদের পেশার সম্মান ও মর্যাদা ফিরিয়ে আনতে প্রশাসনিক পদগুলোতে নার্সদের নিয়োগ দেয়ার প্রয়োজন। তা না হলে স্বাস্থ্যসেবার মান কমে যাবে এবং নার্সদের পেশাগত গর্ব ও দক্ষতায় নেতিবাচক প্রভাব পড়বে।
Nursing Prokrito seba na kore ajotha hoyrani koray Eitar proman govt medical college
মহাপরিচালক একই ডিপার্টমেন্ট থেকে দেয়া ভালো। বিষয়টি সেবামূলক। বাইরে থেকে দেয়ার পিছে কোন যুক্তি দেখি না।
মহা পরিচালক মহোদয় সঠিক মন্তব্য করেছেন, নার্সদেরকে দ্বিতীয় শ্রেণীর পদমর্যাদা দিয়ে একটি মহৎ পেশার সেবামূলক খাতকে ধ্বংস করে দেওয়া হয়েছে, তাঁরা এখন নিজেকে অফিসার মনে করে আর সেবা করাতো অফিসারের কাজ না! এ খানেই শেষ নয় সহকারী/সুপারভাইজারের পদকে অফিসারে পরিবর্তন করে জেলা প্রশাসকের কার্যালয় সহ অনেক সরকারি অফিসের সেবার মান ধ্বংস করে প্রশাসনিক শৃঙ্খলা বিনষ্ট করা হয়েছে।
১৬ বছর ঘুমিয়ে ছিলো,এখন উঠলো জেগে,কিছু পাই বা নাপাই সৈরাচার কে দেখানো হচ্ছে আমরাও তোমাদের সহযোগী ছিলাম, আছি, থাকবো।
নার্সদের দাবির সাথে সমর্থন জানালাম। প্রতিটি প্রতিষ্ঠান থেকে প্রশাসন ব্যাকগ্রাউন্ডের মহাপরিচালক সরিয়ে , সেই প্রতিষ্ঠানের কর্মজীবীদের কে উক্ত পদে পদায়ন করলে সেই প্রতিষ্ঠান নিঃসন্দেহে ভালো ভাবে চলবে।
বাংলাদেশের নার্স রা সেবা কি জিনিষ সেটাই বুজে না !! তারা নিজেদেরকে ডাঃ মনে করে। আমি দেখি নাই বাংলাদেশে কোন নার্স রোগীর সেবা করতে !! আমরা বিদেশে দেখিছি সেবা কাকে বলে ?? কোন দিন কোন হাঁসপাতালে নার্স কে টিপস ও দিতে পারিনি তারা বলেছে দুঃখিত আমরা নিতে পারবো না, কারণ আমারা বাড়তি কিছু করিনি আমারা আমাদের দায়িত্ব পালন করেছি ?? আর বাংলাদেশে অগ্রিম টাকা দিয়ে ও মায়ের জন্য সেবা পাইনি !!! এবং পরে জেনেছি তারা বলেছে ১/২ হাজার টাকা দিয়ে কি আমাদের কে কিনে ফেলছে ???