অনলাইন
চিকিৎসকদের মধ্যে হতে দুইজন সহকারী উপদেষ্টা করার দাবি এনডিএফ’র
স্টাফ রিপোর্টার
(১ মাস আগে) ১১ সেপ্টেম্বর ২০২৪, বুধবার, ৬:৫৮ অপরাহ্ন
সর্বশেষ আপডেট: ২:৪৬ অপরাহ্ন
স্বাস্থ্য মন্ত্রনালয়ের গতিশীলতা বাড়াতে ছাত্র সমন্বয়ক এবং বৈষম্য বিরোধী আন্দোলনে অংশগ্রহণকারী চিকিৎসকদের মধ্য থেকে সহকারী স্বাস্থ্য উপদেষ্টা হিসেবে ন্যূনতম দুই জনকে নিয়োগ করতে হবে বলে দাবি জানিয়েছে ন্যাশনাল ডক্টরস ফোরাম (এনডিএফ)। এই দাবিসহ সংগঠনের পক্ষ থেকে ১৭টি দাবি জানানো হয়।
বুধবার জাতীয় প্রেস ক্লাবের জহুর হোসেন চৌধুরী হলে 'বৈষম্য ও নিপীড়ন মুক্ত চিকিৎসা ব্যবস্থার লক্ষ্যে' ন্যাশনাল ডক্টরস ফোরাম (এনডিএফ) আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব দাবি জানানো হয়। লিখিত বক্তব্যে তাদের দাবিগুলো তুলে ধরেন সংগঠনের সভাপতি অধ্যাপক ডা. মো. নজরুল ইসলাম।
তাদের অন্যান্য দাবিগুলো হলো-
১. ফ্যাসিবাদের দোসর, যাদের স্বাস্থ্য অধিদপ্তর, মেডিকেল কলেজ, মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় ও অন্যান্য স্বাস্থ্য প্রতিষ্ঠানের গুরুত্বপূর্ণ পদে নিযোগ প্রদান করা হয়েছে, তাদের নিযোগ আদেশ বাতিল করতে হবে। স্বাস্থ্য খাতে গতিশীলতা নিয়ে আসতে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরসহ, সকল প্রতিষ্ঠানে কর্মরত স্বৈরাচারের দোসরদের অতিদ্রুত সরিয়ে সৎ, দক্ষ, যোগ্য এবং বৈষম্যের শিকার চিকিৎসক কর্মকর্তাদের পদায়ন করে স্বাস্থ্য প্রশাসন ঢেলে সাজাতে হবে।
২. ছাত্র জনতার আন্দোলনে আহত ছাত্র জনতাকে যারা চিকিৎসা দিতে অস্বীকার করেছে, তাদের তালিকা প্রণয়ন করতে হবে। একই সাথে তাদের বিএমডিসি এর রেজিস্ট্রেশন বাতিল করে আইনের আওতায় আনতে হবে। শান্তি সমাবেশে যোগদানকারী ও ফ্যাসিবাদের দোসর সকল চিকিৎসক ও কর্মকর্তা/ কর্মচারীর তালিকা প্রণয়ন করে তাদেরকে পদ থেকে অব্যাহতি দিতে হবে এবং তাদের বিরুদ্ধে যথাযথ আইনি প্রক্রিয়া গ্রহণ করে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।
৩. ছাত্র জনতার আন্দোলনে অংশগ্রহণকারী, অন্যায়ের প্রতিবাদকারী যেসব চিকিৎসকদের হয়রানিমূলক বদলি করা হয়েছে সেই বদলি আদেশ অবিলম্বে বাতিল করতে হবে।
৪. অতি দ্রুত বৈষম্যের শিকার সকল চিকিৎসক ও কর্মচারীগণকে ভূতাপেক্ষভাবে পদোন্নতি দিয়ে বৈষম্য দূর করতে হবে। বর্তমানে পদোন্নতিযোগ্য প্রত্যেককেই দ্রুততার সাথে পদোন্নতির ব্যবস্থা করতে হবে। এজন্য সততা, যোগ্যতা, দক্ষতা, ও মেধার ভিত্তিতে স্বাস্থ্য ক্যাডারদের নিয়মিত প্রমোশন নিশ্চিত করা। বিসিএস প্রশাসন, পুলিশ ও পররাষ্ট্র ক্যাডারের মতো পোস্ট খালি না থাকলেও ইনসিটু ও সুপার নিউমারি প্রমোশন চালু করতে হবে । এজন্যে প্রতিবছর ডিপিসি বা সুপিরিয়র সিলেকশন বোর্ড আয়োজন করতে হবে। এ লক্ষ্যে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় এবং অধিদপ্তরের ওয়েবসাইটে নোটিশ এবং প্রয়োজনীয় প্রশাসনিক ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।
৫. বিগত সময়ে যত দুর্নীতি হয়েছে তার যথাযথ তদন্তের জন্যে দুর্নীতি দমন কমিশনকে দায়িত্ব প্রদান করে স্বাস্থ্য খাতের দুর্নীতির শ্বেতপত্র প্রকাশ ও দায়ী ব্যক্তিদের বিচারের আওতায় আনতে হবে।
৬. স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে স্বাস্থ্য ব্যবস্থা ও চিকিৎসা সেবার গুণগতমান উন্নয়ন এবং স্বাস্থ্য ব্যবস্থার কাঠামো শক্তিশালীকরণের জন্য গঠিত বিশেষজ্ঞ প্যানেল কমিটিতে ছাত্র-জনতার আন্দোলনের সঙ্গে একাত্মতা প্রকাশকারী চিকিৎসক সমাজ, জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ, ছাত্র সমন্বয়কদের প্রতিনিধিত্ব রেখে কমিটি পুনঃগঠনের জোর দাবি জানাচ্ছি।
ইসলামী মূল্যবোধে বিশ্বাসী এ সংগঠনের সভাপতি অধ্যাপক ডা. নজরুল ইসলাম বলেন, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় ন্যাশনাল ডক্টরস ফোরামের চিকিৎসকরা টানা তিন সপ্তাহ খেয়ে না খেয়ে আন্দোলনে আহত রোগীদের সেবা দিয়েছে। এছাড়াও জীবনের ঝুঁকি নিয়ে আহতদের জন্য রক্ত সংগ্রহ, ওষুধের ব্যবস্থা, অ্যাম্বুলেন্স সার্ভিসের ব্যবস্থাও আমরা করেছি। নিজেদের পকেট থেকে টাকা দিয়েও রোগীদের সর্বোচ্চ চিকিৎসা সেবা নিশ্চিত করেছি।
সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দেন সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ডা. মাহমুদ হোসেন। এসময় এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, মেডিক্যাল এথিকস অনুযায়ী জাতি-ধর্ম-গোত্র-রাজনৈতিক পরিচয় সবকিছুর বাইরে গিয়ে একজন চিকিৎসকের প্রধান দ্বায়িত্ব হচ্ছে রোগীর চিকিৎসা করা।
বাংলাদেশের শতকরা ৩০ থেকে ৪০ ভাগ রোগী যে পদ্ধতির চিকিৎসা নেয় সেই কার্যকরী হোমিওপ্যাথিক পদ্ধতির চিকিৎসা ব্যবস্থাকে আরো গতিশীল করার জন্য, সর্বোপরি স্বাস্থ্য সেবাকে গ্রাসরুট পর্যন্ত পৌঁছে দেওওয়ার জন্য হোমিওপ্যাথিক ডাক্তারদের মধ্য থেকে কমপক্ষে একজন সহকারী স্বাস্থ্য উপদেষ্টা সরকার তথা স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ে নিয়োগ দেওয়ার জন্য অনুরোধ করছি।এতে এলোপ্যাথি হোমিওপ্যাথির ভিতরের বৈষম্য(চাকুরি,বাজেট,উন্নয়ন, গবেষণা, দৃষ্টিভঙ্গি ইত্যাদি) কিছুটা হলেও দূর হবে এই বৈষম্য বিরোধী আন্দোলনের মহেন্দ্র ক্ষনে!
যৌক্তিক দাবী!!!
আরে মুন্সী সাহেব, পাগলা কুত্তার মতো খেপলেন কেন? যে বিষয়ে জানেন না, সে বিষয়ে ছাগলের মত কমেন্ট করেন কেন?
চিকিৎসকদের কাছে দাবী, রোগী দেখার ফি নামে সাধারণ মানুষের কলা কাটা বন্ধ করেন।
আইছে নতুন অজ,এরা স্বাস্থ্য ব্যাবস্থার না,নিজের আখের গোছাতে চায়, এরা স্বাস্থ্য ব্যাবসায়ী।