বিবিধ
ফারুক হোসেনের ফ্রিল্যান্সার হয়ে উঠার গল্প
স্টাফ রিপোর্টার
(৩ সপ্তাহ আগে) ১১ সেপ্টেম্বর ২০২৪, বুধবার, ১২:২২ অপরাহ্ন
সর্বশেষ আপডেট: ১২:২৩ অপরাহ্ন
জামালপুরের মেলান্দহ উপজেলার ঘোষেরপাড়া ইউনিয়নের প্রত্যন্ত গ্রাম ছবিলাপুর। এ গ্রামেরই মধ্যবিত্ত পরিবারের সন্তান মো. ফারুক হোসেন। প্রচলিত ক্যারিয়ারের জন্য অপেক্ষা না করে একটি ল্যাপটপ আর ইন্টারনেটকে পুঁজি করে দুর্গম গ্রামে বসেই বদলে নিয়েছেন জীবনের গতিপথ।মাসে আয় করছেন লাখ টাকা। একই সঙ্গে এলাকার আগ্রহী ছেলেমেয়ের দেখিয়ে দিচ্ছেন ফ্রিল্যান্সিংয়ে দক্ষতা বাড়ানোর উপায়।মেলান্দহের ছবিলাপুর গ্রামের কে. জি. এস উচ্চ বিদ্যালয় থেকে মাধ্যমিক ও সরকারি শেখ কামাল কলেজ থেকে উচ্চ মাধ্যমিক সম্পন্ন করেন ফারুক। পরে হাজরাবাড়ী সিরাজুল হক অনার্স কলেজ থেকে ব্যবস্থাপনা বিভাগে অনার্স সম্পন্ন করেন।পাঁচ ভাই বোনের মধ্যে সবার ছোট ফারুক। চার বোনের এক ভাই সে। ইন্টারনেটের যুগে শিক্ষিত ছেলেমেয়েরা যখন ফ্রিল্যান্সিং পেশায় বেশি ঝুঁকছেন, ঠিক সেই সময় ফারুক ২০২০ সালে প্রথম ফ্রিল্যান্সিং সম্পর্কে জানতে শুরু করেন এবং গুগল ও ইউটিউব ঘেঁটে এর ওপর দক্ষতা অর্জন করতে থাকেন।
ফারুক হোসেন বলেন, শুরুতে ফ্রিল্যান্সিং সম্পর্কে তেমন কোনো কিছুই বুঝতাম না
ভাষাগত সমস্যা ছিল। পরে গুগল ও ইউটিউব ঘেঁটে ঘেঁটে এ বিষয়ের ওপর জ্ঞান অর্জন করতে শুরু করলাম।তার পর কয়েকটি প্রতিষ্ঠান থেকে ডিজিটাল মার্কেটিং,সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন,লিড জেনারেশন,সোস্যাল মিডিয়া মার্কেটিং কোর্স করে দক্ষতা অর্জন করেন। শুরুতে এ পেশায় সফলতার চেয়ে ব্যর্থতাই বেশি হতে লাগল। তবু হাল ছাড়িনি।তরুণ ফ্রিল্যান্সার ফারুক হোসেন সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন, লিড জেনারেশন, সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিংয়ের মতো বেশ কয়েকটি শাখায় দক্ষতার স্বাক্ষর রেখেছেন। বর্তমানে বাংলাদেশ সরকার অনুমোদিত একজন সফল ফ্রিল্যান্সার হিসেবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করতে সক্ষম তিনি। বর্তমানে তার মাসিক আয় গড়ে প্রায় দুই হাজার ডলার যা বাংলাদেশি টাকায় ২ লাখ টাকারও বেশি। ফ্রিল্যান্সার হিসেবে নিজে আয় করার পাশাপাশি এলাকার শিক্ষিত তরুণদের বেকারত্ব দূর করার স্বপ্নও দেখিয়ে যাচ্ছেন তিনি।
তার মতে, চাকরির আশায় বসে না থেকে ফ্রিল্যান্সিং করে প্রতিষ্ঠিত হওয়ার পাশাপাশি দেশের অর্থনীতিকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়া সম্ভব।ফারুক হোসেন বলেন, ফ্রিল্যান্সিংয়ে মূলত বিদেশি কোম্পানি ও ক্রেতা-বিক্রেতার সঙ্গে কাজ করতে হয়। এখানে ইংরেজি ভাষার ওপর দক্ষতা থাকা খুবই জরুরি। তা ছাড়া ফ্রিল্যান্সিংয়ে সফল হতে ধৈর্যশীল হতে হবে।কারণ ফ্রিল্যান্সিং করে রাতারাতি কোটিপতি হওয়ার কোনো সুযোগ নেই। ধৈর্য ধরে লেগে থাকতে হবে। ভাষাগত দিকসহ বিভিন্ন বিষয়ে দক্ষতা অর্জনের পাশাপাশি ই কেবল এ পেশায় সফলতা অর্জন করা সম্ভব।
ফারুক হোসেন বলেন, ভাষাগত দক্ষতার পাশাপাশি প্রযুক্তিগত দক্ষতার জন্য ফ্রিল্যান্সারদের দেশের যেকোনো শিক্ষা প্রতিষ্ঠান থেকে দক্ষতা অর্জন করা উচিত।