ঢাকা, ৫ অক্টোবর ২০২৪, শনিবার, ২০ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১ রবিউস সানি ১৪৪৬ হিঃ

প্রথম পাতা

এক্সক্লুসিভ

পিস্তলের ভয় দেখিয়ে তারেক রহমানকে সাজা দিতে বলা হয়

লুৎফর রহমান
৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪, শনিবারmzamin

ক্ষমতায় আওয়ামী লীগ সরকার। ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৩ এ বিচার চলছিল বিএনপি নেতা তারেক রহমানের বিরুদ্ধে বিদেশে অর্থ পাচার সংক্রান্ত কথিত দুর্নীতি মামলার। রায় ঘোষণার আগে নানা নাটকীয় ঘটনা। বিচারক মোতাহার হোসেন স্বাভাবিকভাবে মামলার রায় ঘোষণার প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন। কিন্তু হঠাৎ বদলে যায় দৃশ্যপট। চারদিক থেকে আসতে থাকে নানা চাপ, হুমকি। তারেক রহমানকে যেকোনোভাবে  হোক সাজা দিতে হবে।

সাক্ষ্য-প্রমাণের ভিত্তিতে মামলার রায় যা হওয়ার তাই হবে। বিচারক প্রথমে এমন মনোভাব প্রকাশ করলে তার ওপর চাপ আরও বেড়ে যায়। আইন মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তা (পরে আইন সচিব হন) আবু সালেহ  শেখ মো. জহিরুল হক দুলাল সরাসরি যোগাযোগ করেন মোতাহার হোসেনের সঙ্গে। চলে আলোচনা। বিচারকের মনোভাব দেখে ভয়  দেখানোর কৌশল নেন দুলাল। ধানমণ্ডিতে উচ্চ আদালতের এক বিচারপতির বাসায় ডাকা হয়  মোতাহার হোসেনকে। সেখানে উপস্থিত হন জহিরুল হক দুলাল। সঙ্গে কয়েকজন  গোয়েন্দা কর্মকর্তা। কয়েকজন  কোমরে পিস্তল গুঁজে সেখানে প্রবেশ করেন। বিচারক  মোতাহার হোসেনকে বলা হয়, তারেক রহমানকে যেকোনো মূল্যে সাজা দিতে হবে। বিচারক তখন জানান, মামলায় সাক্ষ্য-প্রমাণ নেই সাজা দেয়ার মতো। এ মামলায় সাজা দেয়া আইনসম্মত হবে না। তখন দুলাল বিচারককে প্রাণনাশের ভয় দেখান। গোয়েন্দা কর্মকর্তারাও ভয়ের পরিবেশ তৈরি করেন। একপর্যায়ে দুলাল বিচারককে বলেন, আপনাকে রায় লিখতে হবে না। আমিই লিখে দেবো। আপনি শুধু পড়বেন। পরে দুলাল রায় লিখে পাঠিয়েছিলেন বিচারকের বাসায়। বিচারক মোতাহার অবশ্য আদালতে জহিরুল হক দুলালের লিখে  দেয়া রায় পড়েননি। তিনি নিজের লেখা রায় পড়ে তারেক রহমানকে অভিযোগ থেকে  বেকসুর খালাস ঘোষণা করেছিলেন। রায় ঘোষণার পর থেকে চরম নিরাপত্তাহীনতায় পড়েন বিচারক  মোতাহার। চাকরি থেকে অবসর নেয়ার এক মাস আগের এই ঘটনা উলটপালট করে দেয় তার সবকিছু। কিছুদিন আত্মগোপনে থাকার পর আদালতে ফিরে আসলেও বুঝতে পারেন তাকে শায়েস্তা করার নানা আয়োজন চলছে। পরে নিজের অফিস গুছিয়ে অবসর নেয়ার আগের দিন প্রিয় কর্মস্থল ছাড়েন। এক  ছেলেকে নিয়ে চলে যান মালয়েশিয়া। এরপর অনেকটা ভবঘুরের মতো সময় কাটিয়েছেন। গোয়েন্দারা পিছু  নেয়ায় একস্থানে বেশি দিন থাকতে পারেননি। থাকতে পারেননি এক দেশেও। কয়েক দেশ ঘুরে ২০২২ সালে থিতু হন ফিনল্যান্ডে। ছেলেকে নিয়ে  সেখানে রাজনৈতিক আশ্রয়ে আছেন। ৫ই আগস্ট ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানের পর দেশে ফেরার চিন্তা করছেন বিচারক মোতাহার হোসেন।  হোয়াটসঅ্যাপে মানবজমিন-এর সঙ্গে আলাপে তিনি জানিয়েছেন, রায় দেয়ার আগে-পরের দুর্বিষহ পরিস্থিতি। দ্বিতীয় দফায় আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসার পরপরই চুয়াডাঙ্গায় দলটির  নেতাদের বিরুদ্ধে একটি মামলার রায় দিয়ে হামলার শিকার হয়েছিলেন। পরে ৪১দিন আত্মগোপনে থাকতে হয় তাকে। চার বছর আগে বাংলাদেশে তার স্ত্রী মারা যান। তাকেও দেখার সুযোগ হয়নি। দুই ছেলেকে নিয়ে মোতাহার হোসেনের স্ত্রী দেশে ছিলেন। নিরাপত্তাহীনতার কারণে তাদেরকেও এক জেলা থেকে আরেক জেলায় ঘুরতে হয়েছে।
২০১৩ সালের ১৭ই নভেম্বর বিএনপি’র ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের বিরুদ্ধে করা বিদেশে অর্থপাচার সংক্রান্ত দুর্নীতি মামলার রায় ঘোষণা করেন বিচারক মোতাহার। কোনো অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় রায়ে তিনি তারেক রহমানকে বেকসুর খালাস দেন।
অর্থপাচার মামলায় তারেক রহমানের বিপক্ষে করা অভিযোগের কোনো তথ্য-প্রমাণ ছিল না উল্লেখ করে মোতাহার হোসেন বলেন, রাজনৈতিক কারণে হয়রানি করার উদ্দেশ্যেই এই মামলায় তারেক রহমানকে জড়ানো হয়। সম্পূরক চার্জশিট দিয়ে তাকে অভিযুক্ত করে এ মামলায় চার্জশিট দাখিল করা হয়েছিল।

তিনি বলেন, আমি বিচারক হিসেবে নিযুক্ত হওয়ার পরে মামলার নথি বিশদভাবে পর্যালোচনা করি। দেখি তারেক রহমানের বিরুদ্ধে যে অভিযোগ,  সেই অভিযোগে তার বিরুদ্ধে কোনো সাক্ষ্য-প্রমাণ নেই। তার বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠনের মতো পর্যাপ্ত উপাদানও নেই। এরপরও  যেহেতু চার্জ গঠিত হয়ে গিয়েছে এই কারণে আমাকে বিচার করতে হবে। আমি বিচার কন্টিনিউ করি। সাক্ষ্য গ্রহণ করি। আসামির বিরুদ্ধে তো  কোনো এভিডেন্স নেই। এভিডেন্স হলো জিরো। একজন সাক্ষীও তার বিরুদ্ধে অভিযোগ দিয়ে তার নাম উচ্চারণ করেনি।  কোনো অভিযোগ দেয়নি। সেই মামলায় কী করে একজন আসামিকে সাজা দেয়া যায়।
মোতাহার হোসেন বলেন, দোষ না থাকার পরও বিদেশে অর্থ পাচার মামলার রায়ে যেনো তারেক রহমানকে সাজা দেয়া হয় সেজন্য সাবেক আইন সচিব দুলাল তাকে একের পর এক চাপ দিতে থাকেন। (জহিরুল হক দুলাল তখন আইন মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তা ছিলেন, আইন সচিব হন ২০১৫ সালে, অবসরের পর ২০২০ সালে করোনা আক্রান্ত হয়ে মারা যান)। দফায় দফায় আমাকে, তৎকালীন আইন প্রতিমন্ত্রী কামরুল ইসলামকে দিয়ে চাপ দিতে থাকেন। গোয়েন্দা সংস্থার  লোকজনকে আমার পেছনে  লেলিয়ে দেন। সাবেক প্রধান বিচারপতি খায়রুল হক, তৎকালীন ডিজিএফআই প্রধানও আমাকে নানাভাবে চাপ দেন। তারেক রহমানকে শাস্তি দেয়ার জন্য বলেন।আমি তাদের সবাইকে বলেছি, আমি আইন পর্যালোচনা করে আইনানুসারে বিচার করবো। ন্যায়বিচার হবে।

তিনি বলেন, রায় ঘোষণার আগের শুক্রবারে আমার বাসায়  গোয়েন্দা সদস্যরা আসলো। তারা আমাকে নিয়ে গেলেন ধানমণ্ডিতে তৎকালীন বিচারপতি আশিস রঞ্জন সাহেবের বাসায়। দুই-চার মিনিট পরেই দেখি জহিরুল হক দুলাল এবং ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আশিস রঞ্জনের বাসায় আসেন। ঢুকে তাদের কেউ কেউ পিস্তল  বের করলো। পিস্তল বের করে গুলি লোড করছে। নাড়াচারা করছে। বলছে একবার ট্রিগার চাপলে এই পিস্তল দিয়ে ৮টি গুলি বের হয়। এসব করার কারণ ছিল আমাকে ভয়  দেখানো। আমি ভীতসন্ত্রস্ত হয়ে পড়ি এবং বিচারপতিও ভয় পেয়ে যান। দুলাল বার বার বলতে থাকেন, মামলায় শাস্তি না দিলে, এই মামলায় জেল না দিলে, তারেক রহমানকে খালাস দিলে  কেউ নিস্তার পাবেন না। তখন আমি বিচারপতি আশিস রঞ্জন সাহেবকে বলি, স্যার এই মামলায় তারেক রহমানের বিরুদ্ধে- নো এভিডেন্স। একজন সাক্ষীও, সরকারপক্ষ ছাড়া, তার বিরুদ্ধে নামও বলে নাই, তার নামই উচ্চারণ করে না, কোনো অভিযোগ দেয়া তো দূরের কথা। তার নামই নাই এভিডেন্সে। আমি কীভাবে পানিশমেন্ট  দেবো? আমি বললাম, আমি এ রায় লিখতে পারবো না। তখন দুলাল জাস্টিস আশিস রঞ্জন সাহেবকে বললেন, স্যার কী করা যায়? স্যার আপনি রায় লিখে  দেন, আমি দেখবো। জাস্টিস সাহেব বললেন, না। আমি রায় লিখতে পারবো না। মোতাহার সাহেবের রায় মোতাহার সাহেব লিখবে।
তখন জহিরুল হক দুলাল আমাকে বাসায় বসে রায় লিখতে বলেন। আমি বাসায় বসেই রায় লিখি। তারেক রহমানকে খালাস  দেয়ার রায় লিখি। রোববার সকালে জহিরুল হক গোয়েন্দা সংস্থার লোকদের মাধ্যমে আমার কাছে রায় লিখে পাঠান। রায়টাসহ গোয়েন্দা বাহিনীর  লোকজন আমাকে বাসা থেকে  কোর্টে নিয়ে যায়। কৌশলে আমি আমার লেখা রায়টাও সঙ্গে নিই।
এজলাসে উঠে যা সত্য ও সঠিক  সেই রায়ই ঘোষণা করি। এরপরই পরিস্থিতি বিবেচনা করে, নিরাপত্তার উদ্বেগ নিয়ে আমাকে আত্মগোপনে যেতে হয়।একপর্যায়ে আমি আবার কোর্টে আসি। অবসরের ঠিক কয়েকদিন আগে জানতে পারি অবসর  নেয়ার দিনই তারা আমাকে অপহরণ করে গুম করে দিতে পারে। তাদের এই পরিকল্পনা  জেনে আমি অবসরের আগের দিনই সব কাগজপত্র সই করে  বের হয়ে যাই।

তিনি বলেন, প্রথমে ছেলেকে নিয়ে মালয়েশিয়া যাই।  সেখানেও আমার পেছনে  গোয়েন্দা নজরদারি শুরু হয়। এক জায়গায় বেশি দিন থাকতে পারিনি। সেখান থেকে নেপালে গিয়ে থেকেছি কিছুদিন।  সেখানেও গোয়েন্দারা যায়। ২০২২ সালে ছেলে আরিফ হাসান রাহুলকে নিয়ে ফিনল্যান্ডে আশ্রয়ের অনুমতি পাই।

ওদিকে দেশে আমার স্ত্রী ও দুই  ছেলে ছিল। তারাও দুর্বিষহ সময় পার করেছে। ছেলেদের নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বেগ ছিল। তারা এক  জেলা থেকে আরেক জেলায় ঘুরে  বেরিয়েছে। চার বছর আগে স্ত্রী মারা যান। আমরা যেতে পারিনি। এখন দুই ছেলে নাটোরে থাকে।
রায় দেয়া নিয়ে আগে এমন  কোনো ঘটনা ঘটেছিল কিনা এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, ২০০৯ সালে চুয়াডাঙ্গায় একটি রায়  দেয়ার পর আমাকে পালাতে হয়েছিল। জেলা আওয়ামী লীগের নেতাদের আমি শাস্তি দিয়েছিলাম উপযুক্ত প্রমাণের ভিত্তিতে। তারপর আদালতে হামলা হয়। আমার চেম্বারে গুলি করা হয়। বাধ্য হয়ে আমি আত্মগোপনে যাই। তখন প্রধান বিচারপতিসহ অনেকে আমাকে সাহায্য করেন। আমি আবার আদালতে ফিরতে পারি।

মোতাহার বলেন, আমার বিরুদ্ধে দুদকে মামলা হলো। আমার সম্পদের তথ্য চাইলো। ছেলের মাধ্যমে আমি তাদের জানালাম  দেশে-বিদেশে আমার কোথাও প্লট বা ফ্ল্যাট নেই।  পৈতৃক জমি আছে। বাগান আছে। ৫ই আগস্টের প্রেক্ষাপট পরির্তনের পর অবশ্য দুদক আমার বিরুদ্ধে করা মামলা এবং অভিযোগ প্রত্যাহার করে নিয়েছে।
এখন দেশে ফিরবেন কিনা এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করছি। দেশে দ্রুতই ফিরতে চাই। আমার জীবন থেকে অনেক কিছু চলে গেছে। আমার পরিবার ছিন্ন-ভিন্ন হয়ে  গেছে। দেশে ফিরে আসলে কিছুটা শান্তি পাবো।
তিনি বলেন, ছাত্র-জনতার ঐতিহাসিক বিপ্লবে বাংলাদেশ  স্বৈরশাসন ও ফ্যাসিবাদ মুক্ত হয়েছে। এখন সময় বিচার বিভাগকে সব ধরনের প্রভাবমুক্ত করা যাতে সব মানুষের জন্য ন্যায়বিচার নিশ্চিত হয়।

 

 

 

 

পাঠকের মতামত

এটাই আমাদের আওয়ামী বাকশালী হাসিনা সরকারের শাসন ব্যবস্থা। তারা এভাবেই কাদের মুল্লা, সালাউদ্দীন কাদের চো, সহ জামায়াত নেতাদের ফাঁসি দিয়েছে। এই খুনিদের বিচার হয়া দরকার।

ফ্রিডম সিদ্দিক
৩ অক্টোবর ২০২৪, বৃহস্পতিবার, ৫:৫৭ অপরাহ্ন

অভিবাদন আপনাকে পরম শ্রদ্ধেয় জনাব মোতাহার হোসেন। যদিও জানি কারো সালামের কোনো প্রয়োজন আপনার নেই। আপনি মৃত্যুভয় অবজ্ঞা করেছিলেন আপনার নিজস্ব বিবেক এবং মূল্যবোধ থেকে। আত্মমর্যাদা্পেই নার সবচেয়ে বড় পুরষ্কার। সুধী পাঠকবৃন্দ আমরা নিজেদের সাধ্য মতো তাঁকে সম্মানের ব্যবস্থা তো করবই (তাঁর জন্য নয়, আমাদের দুর্ভাগা সমাজের জন্য); আর দেখব বিপ্লবী সরকার কি করে?

ড. শেখ মিজান
৩০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, সোমবার, ৬:১৩ পূর্বাহ্ন

He MUST be rewarded for his courage and honesty.

Citizen
২৪ সেপ্টেম্বর ২০২৪, মঙ্গলবার, ২:৪৬ অপরাহ্ন

সমাজে কিছু লোক ভালো থাকবেই এটা আল্লাহর রহমত। মোতাহার স্যারকে আল্লাহ বরকতময় দীর্ঘ জীবন দান করুন সমস্ত পেরেশানি থেকে মুক্তি দিন।

Rasel Mahmud
২৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪, সোমবার, ১১:২৭ পূর্বাহ্ন

মৃত্যুর পর আল্লাহ নিশ্চয় আপনাকে উত্তম প্রতিদান দিবেন। বিচার অঙ্গনে আপনি উদাহরণ হয়ে বেঁচে থাকবেন যুগ যুগ ধরে।

মজিব
১৫ সেপ্টেম্বর ২০২৪, রবিবার, ১০:৫৪ পূর্বাহ্ন

অস্ত্রের নলির সামনে থেকেও সত্যটা বলে যাওয়া সত্য রায় দেওয়া টা শুধু তারাই পারে যারা আল্লাহ ছাড়া আর কাউকে ভয় করে না। স্যার আপনাকে নতুন বাংলাদেশে স্বাগত নতুন বাংলাদেশ বিনির্মানে আপনাকে খুব দরকার।

সাব্বির আহমেদ
১৫ সেপ্টেম্বর ২০২৪, রবিবার, ১২:০১ পূর্বাহ্ন

আমার তো মনে হয় হাছিনাকে এক হাজার বার ফাঁসি দিলেও কম হয়ে যাবে। এই খুনী হাছিনা ওর বাপের থেকে বড় স্বৈরাচার। এর বিচার যদি না হয় তবে এটি হবে ইতিহাসের সবচেয়ে বড় দূর্ভাগ্য।

মোসাদ্দেক হোসেন
১০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, মঙ্গলবার, ১১:০৩ পূর্বাহ্ন

খুনী হাসিনা দেশের সমস্ত সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠান ধংস করে দিয়েছিল।ঘুসকে শিল্পে পরিনত করেছিল

salim mridha
৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪, শনিবার, ১০:০৬ অপরাহ্ন

স্যালুট স্যার। আপনার মতো যদি সব বিচারক হতো তাহলে এই স্বৈরাচার হাসিনা এতদিন ক্ষমতায় থাকতে পারতো না। স্বাধীন দেশে আপনাকে স্বাগতম,দয়া করে চলে আসুন।

Lovelu
৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪, শনিবার, ৮:৫৭ অপরাহ্ন

স্যার, আপনার কাহিনী শুনে খুব ব্যথিত হয়েছি। দেশে ফিরে আসুন স্যার। আপনি আমাদের বিচার বিভাগের গর্ব।

Harun Rashid
৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪, শনিবার, ৮:০৮ অপরাহ্ন

আপনি মাথানত করেন নি। তাই আপনাকে স্যালুট জানাই স্যার। একই সাথে আমরা অনেক ব্যথিত হয়েছি এই ঘটনা শোনে। আমার ছাত্র-জনতা আপনার পাশে থাকবো। আপনি নির্ভয়ে দেশে আসুন।

হালিম
৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪, শনিবার, ৫:০৬ অপরাহ্ন

আপনার সততা, সত্যবাদিতা এবং দৃঢ়তা আপনার জীবনকে অনেক কষ্ট দিয়েছে সত্য। তবে জাতির কাছে আপনি অত্যন্ত সম্মানের। জানি আপনার হারানো সম্পদ ফেরত হবে না কিন্তু আল্লাহ আপনাকে আরো সম্মান দান করুন।

মোঃ শফিকুল ইসলাম
৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪, শনিবার, ৪:২৩ অপরাহ্ন

আপনাকে স্যালুট

Ochman goni
৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪, শনিবার, ৩:৫১ অপরাহ্ন

জজ সাহেব, জনাব মোতাহার হেসেন কে অনেক অনেক ধন্যবাদ, যেহেতু তিনি বিচারক হিসাবে ন্যায় প্রতিষ্ঠার জন্য ঐ রকম স্বৈরচার শাসকের শাসনের সময়ও সমস্ত ভয় ভিত্তি এবং জীবননাশের হওয়ার মত পরিস্তিতির মধ্যেও সঠিক ও ন্যায় বিচার করেছেন সেই হেতু তাকে যারা অন্যায় ও জীবননাশের হুমকি দিয়া সাবেক প্রধান বিচারপতি খায়রুল হক, সাবেক আইন সচিব, গোয়েন্দা কর্ম চারিদের সকলকেই বিচার করে শাস্তি দাবি জানাই, এবং সম্ভব হলে ঐ বিচারক কে উচ্চ আদালতের বিচারক বানানোর আহ্বান জানাচ্ছি।

মুহাম্মদ আতিকুজ্জামা
৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪, শনিবার, ১:০২ অপরাহ্ন

অন্যায় এর কাছে মাথা নত না করার জন্য স্যালুট আপনাকে

Anwar Hossain
৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪, শনিবার, ১২:৫৩ অপরাহ্ন

সমাজে কিছু লোক ভালো থাকবেই এটা আল্লাহর রহমত। মোতাহার স্যারকে আল্লাহ বরকতময় দীর্ঘ জীবন দান করুন সমস্ত পেরেশানি থেকে মুক্তি দিন।

Ibrahim
৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪, শনিবার, ১২:৩৬ অপরাহ্ন

অন্যায়ের বিরুদ্ধে প্রতিবাদী হওয়ার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ

Jamshed alam
৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪, শনিবার, ১২:৩৪ অপরাহ্ন

ফিরে আসুন জনাব। সেই ভন্ড মহাদুর্নীতিবাজ মহামিথ্যাবাদী স্বৈরাচার পালিয়েছে -

সালেহ আহমদ
৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪, শনিবার, ১২:০০ অপরাহ্ন

অন্যায় এর কাছে মাথা নত না করার জন্য স্যালুট আপনাকে

ড: হারুনুর রশীদ
৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪, শনিবার, ১১:৪২ পূর্বাহ্ন

স্যার এই বিষয় টা বাংলাদেশের মানুষে কম বেশি সবাই অবগত আছে। আপনার নাম বিচার বিভাগে সবর্ণ অক্ষরে লিখা থাকবে। সেলুট আপনাকে

Ali Akbar
৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪, শনিবার, ১১:৪২ পূর্বাহ্ন

আপনি বিচারকের আসনে বসে বিচারকের মত কাজ করেছেন সত্যিই আপনি সাহসী মানব।

সফিকুল
৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪, শনিবার, ১১:০২ পূর্বাহ্ন

স্যার,আপনারা আছেন বলেই পৃথিবী টিকে আছে। আপনাকে স্যালুট

Shahinur Rahman
৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪, শনিবার, ৯:৪৫ পূর্বাহ্ন

ভবিষ্যতে কোন বিচারককে যেন এমন পরিস্থিতিতে পরতে না হয়। সততা, নিষ্ঠা আর বিবেক বুদ্ধি খাটিয়ে বিচারকগণ সঠিক বিচার করবেন এটাই আমাদের প্রত্যাশা।

Moshiur Rahman
৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪, শনিবার, ৯:২০ পূর্বাহ্ন

আপনি একা হবেন কেন আপনার মতো অনেকেই অনেক কষট শোক নিয়ে দেশে আছেন।মরলে দেশে মরবেন

Dr Kabir
৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪, শনিবার, ৯:১৭ পূর্বাহ্ন

রাষ্ট্রের প্রতিটি প্রতিষ্ঠান শেখ হাসিনা ধ্বংস করে গেছেন। তাকে ফিরিয়ে আনতে হবে। তিনি যে ধরনের নৃশংসতা করেছেন, তাকে এখানে সবার সামনে বিচার করতে হবে। তার নৃশংসতার বিচারের মাধ্যমে সমাধান করা উচিত।

Bablu
৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪, শনিবার, ৮:২৯ পূর্বাহ্ন

মোতাহার হোসেন সাহেব কে দেশে এনে চাকরি ফিরিয়ে দিতে হবে। সাথে সাথে যারা তার সাথে এমন আচরন করল তাদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির ব্যবস্থা করতে হবে। এমন সৎ ও যোগ্য লোককে যথাযোগ্য মর্যাদা দিয়ে যথাযথ মর্যাদার আসনে সমাসীন করে আমাদের ঋণ পরিশোধ করতে হবে।

SM Abdus Sabur
৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪, শনিবার, ৬:৫৭ পূর্বাহ্ন

বিচারক হিশাবে আল্লাহই যথেষ্ট।।। সবাই কে নিজ কৃতকর্মের জন্য আল্লাহর দরবারে হাজির হয়ে জবাবদিহি করতেই হবে।।। হাসিনা পালিয়ে যাবে সে নিজে ও কখনো ভাবেনি ।।। পৃথিবীর সকল কিছুই আল্লাহর নিয়ন্ত্রণের মধ্যে সেটি ও হাসিনা ভাবে নি ।।।।

Md Rejaul Karim
৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪, শনিবার, ৬:৪২ পূর্বাহ্ন

সত্যের উপর থাকার জন্য আপনাকে অশেষ ধন্যবাদ আল্লাহ এর বিনিময়ে আপনাকে যাযা দিবেন।

MD MOMTAZ UDDIN
৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪, শনিবার, ৬:২৭ পূর্বাহ্ন

অনেক শহীদের রক্তের বিনিময়ে আজকের এই মুক্ত লিখন । এদেরকে আমরা যেন ভুলে না যাই!

পথিক ..
৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪, শনিবার, ৬:২৬ পূর্বাহ্ন

এই সব খবর পড়ি আর বুকের ভেতর শুধু শূন্যতা আর হাহাকার অনুভব করি, চোখ জুড়ে নেমে আসে অশ্রুধারা আহ্ কি কষ্ট কি যন্ত্রণার জীবন।

Mohd Saleh babul
৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪, শনিবার, ৪:০০ পূর্বাহ্ন

The daughter of Satan? Ruled us for so many years?

Pinnacle
৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪, শনিবার, ৩:২৫ পূর্বাহ্ন

দেশটা কি দোযখে পরিনত করেছিলো ইন্ডিয়া আর হাসিনা, একজন ন্যায়পরায়ন আদর্শবান সৎ বিচারককে কতো কষ্ট করতে হয়েছে। এখন যেন রাস্ট্রীয়ভাবে স্বসম্মানে উনাকে মুল্যায়ন করা হয়।

Abdul Matin Sikder
৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪, শনিবার, ১:৪৬ পূর্বাহ্ন

জনাব বিচারপতি মোতাহার হোসেন আপনি সত্য এবং ন্যায়ের পক্ষে ছিলেন, এ-র জন্য আল্লাহ আপনাকে দুনিয়া ও আখেরাতে উত্তম প্রতিদান দিবেন। ইনশাআল্লাহ।।

আনোয়ার জিয়া
৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪, শনিবার, ১:৩৮ পূর্বাহ্ন

স্যার এই বিষয় টা বাংলাদেশের মানুষে কম বেশি সবাই অবগত আছে। আপনার নাম বিচার বিভাগে সবর্ণ অক্ষরে লিখা থাকবে। সেলুট আপনাকে

হাসান
৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪, শনিবার, ১:৩৬ পূর্বাহ্ন

সৎ থাকতেই রীতিমত যুদ্ধ করতে হলো। অসৎ কর্মে রাজি হলে সব ঠিক থাকতো। সাবেক আইনমন্ত্রী কামরুল ইসলামকে অভিলম্বে আইনের আওতায় আনা দরকার।

জামশেদ পাটোয়ারী
৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪, শনিবার, ১২:৫৪ পূর্বাহ্ন

No doubt Sheikh Hasina was a mafia Don.

Nam Nai
৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪, শনিবার, ১২:৪০ পূর্বাহ্ন

বিচার বিভাগের সংস্কারের জন্য লে দেশের জন্য আসুন স্যার ।

জীবন সাক্ষ
৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪, শনিবার, ১২:৩৬ পূর্বাহ্ন

আওয়ামী লীগ সরকার এতো অন্যায় করেছে ভাবতে ও অবাক লাগে, গা শিউরে ওঠে। এদের সঠিক বিচার করে , শাস্তির আওতায় না আনলে বাংলাদেশের মজলুম মানুষের পরিবারের প্রতি আরেক টা জঘন্য অবিচার করা হবে।

মাছরুর সিকদার
৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪, শনিবার, ১২:৩৫ পূর্বাহ্ন

এরাই উচ্চ আদালতে আসিন হওয়ার যোগ্য।

Amirswapan
৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪, শনিবার, ১২:১১ পূর্বাহ্ন

স্যালুট আপনাকে। ❤️❤️

শহীদুল ইসলাম সোহেল
৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪, শনিবার, ১২:১০ পূর্বাহ্ন

প্রথম পাতা থেকে আরও পড়ুন

আরও খবর

প্রথম পাতা সর্বাধিক পঠিত

Logo
প্রধান সম্পাদক মতিউর রহমান চৌধুরী
জেনিথ টাওয়ার, ৪০ কাওরান বাজার, ঢাকা-১২১৫ এবং মিডিয়া প্রিন্টার্স ১৪৯-১৫০ তেজগাঁও শিল্প এলাকা, ঢাকা-১২০৮ থেকে
মাহবুবা চৌধুরী কর্তৃক সম্পাদিত ও প্রকাশিত।
ফোন : ৫৫০-১১৭১০-৩ ফ্যাক্স : ৮১২৮৩১৩, ৫৫০১৩৪০০
ই-মেইল: [email protected]
Copyright © 2024
All rights reserved www.mzamin.com
DMCA.com Protection Status