প্রথম পাতা
সচিবদের একগুচ্ছ নির্দেশনা প্রধান উপদেষ্টার
স্টাফ রিপোর্টার
৫ সেপ্টেম্বর ২০২৪, বৃহস্পতিবারসরকারি অর্থের সর্বোত্তম ব্যবহার নিশ্চিত করাসহ সচিবদের একগুচ্ছ নির্দেশনা দিয়েছেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। এ ছাড়া সরকারের সকল পর্যায়ে সংস্কার কর্মসূচি গ্রহণ ও বাস্তবায়নের নির্দেশনাও দিয়েছেন তিনি। গতকাল তেজগাঁওয়ে প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ে বৈঠকে এ নির্দেশনা দেন তিনি। অন্তর্বর্তী সরকার গঠনের পর এটি সচিবদের সঙ্গে প্রধান উপদেষ্টার প্রথম বৈঠক। বৈঠক শেষে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব কথা জানান।
সচিবদের সঙ্গে বৈঠকে প্রধান উপদেষ্টার নির্দেশনাগুলো হলো-
১. সরকারের সকল পর্যায়ে সংস্কার কর্মসূচি গ্রহণ ও বাস্তবায়নে ‘মার্চিং অর্ডার’ প্রদান।
২. সংস্কার কর্মসূচি প্রণয়নে প্রয়োজন অনুযায়ী সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে আলোচনা ও মতামত গ্রহণ করতে হবে।
৩. জুলাই-আগস্ট গণঅভ্যুত্থানে ছাত্র-জনতা বৈষম্যহীন মানবিক দেশ গড়ার যে প্রত্যয়, যে ভয়হীন চিত্ত আমাদের উপহার দিয়েছে, তার উপর দাঁড়িয়ে বিবেক ও ন্যায়বোধে উজ্জীবিত হয়ে আমাদের স্ব স্ব ক্ষেত্রে সততা, নিষ্ঠা, জবাবদিহিতা নিয়ে নতুন বাংলাদেশ গড়তে হবে।
৪. নতুন বাংলাদেশ গড়ার জন্য গৎবাঁধা চিন্তাভাবনা থেকে বেরিয়ে এসে, চিন্তার সংস্কার করে, সৃজনশীল উপায়ে জনস্বার্থকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে সরকারি কার্যক্রম পরিচালনা করতে হবে।
৫. দুর্নীতির মূলোৎপাটন করে, সেবা সহজীকরণের মাধ্যমে জনগণের সর্বোচ্চ সন্তুষ্টি অর্জন করতে হবে।
৬. সরকারি অর্থের সর্বোত্তম ব্যবহার নিশ্চিত করতে হবে।
৭. সরকারি ক্রয়ে যথার্থ প্রতিযোগিতা নিশ্চিত করতে হবে এবং স্বচ্ছতা, জবাবদিহিতা নিশ্চিতে বিদ্যমান প্রতিবন্ধকতাসমূহ দূর করতে হবে।
৮. সৃষ্টিশীল, নাগরিক-বান্ধব মানসিকতা নিয়ে প্রতিটি মন্ত্রণালয়/বিভাগ স্বল্প, মধ্য ও দীর্ঘমেয়াদি সংস্কার কর্মসূচির সময়াবদ্ধ কর্মপরিকল্পনা দাখিল করবে, যা নিয়মিত মূল্যায়ন/পরিবীক্ষণ করা হবে।
৯. ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানে সৃষ্ট নতুন বাংলাদেশ নিয়ে বিশ্বব্যাপী যে আগ্রহ, ইতিবাচক ধারণা তৈরি হয়েছে, দেশের স্বার্থে তা সর্বোত্তম উপায়ে কাজে লাগাতে হবে।
সকল পর্যায়ে সংশ্লিষ্টদের সংস্কার খসড়া করার পরে। সংবাদ মাধ্যম অথবা মিডিয়া মাধ্যমে জনসাধারণ মন্তব নিতে হবে। তার পর চূড়ান্ত আইন এ রুপ দিতে হবে।
সকল পর্যায়ে সংশ্লিষ্টদের সংস্কার খসড়া করার পরে। সংবাদ মাধ্যম অথবা মিডিয়া মাধ্যমে জনসাধারণ মন্তব নিতে হবে। তার পর চূড়ান্ত আইন এ রুপ দিতে হবে।
সমস্ত সরকারী অফিস এখনও সাবেক বন্ধুদেশের অনেক দালাল রয়ে গেছে, এরা ঠিক আওয়ামিলীগ না, এদের কোন দলীয় কালার নাই, কিন্তু মনে প্রানে এরা সাবেক বন্ধুদেশ পন্থি। এইসব বাটপার এখন বৈষম্য বিরোধী সাজতেছে। সচেতন নাগরিক সমাজকে এইসব কুচক্রিদের ব্যপারে পূর্ন মাত্রায় সচেতন থাকতে হবে। এরা ভিতর থেকে বিভিন্ন ধরণের স্যাবোট্যাজ, সরকারের সংস্কার কার্যক্রম ব্যর্থ করা সহ নানাবিধ অপকর্মে আন্জাম দিচ্ছে।
Its called accountability and transparency in public office.