প্রথম পাতা
সড়কে ফিরেছে ট্রাফিক পুলিশ
স্টাফ রিপোর্টার
১৩ আগস্ট ২০২৪, মঙ্গলবারবৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন, সংঘর্ষ ও সরকার পতনের জেরে সপ্তাহখানেকের বেশি সময় পর সড়কে ফিরেছেন ট্রাফিক পুলিশ সদস্যরা। সোমবার সকাল থেকে রাজধানীর বিভিন্ন পয়েন্টে তাদের দায়িত্ব পালন করতে দেখা গেছে। পোশাকি ট্রাফিক পুলিশের সঙ্গে ঢাকার রাস্তায় যানবাহনের নিয়ন্ত্রণে রয়েছেন বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরাও।
সরজমিন গতকাল রাজধানীর ফার্মগেট পুলিশ বক্স মোড়ে দেখা যায়, সেখানে রাস্তায় যানবাহনের গতি নিয়ন্ত্রণ করছেন বেশ কিছু ট্রাফিক পুলিশ সদস্য। আর তাদের সঙ্গে কাজ করছেন শিক্ষার্থীরাও। খামারবাড়ী মোড়েও দায়িত্ব পালন করছেন ৪ জন ট্রাফিক পুলিশ সদস্য। খামারবাড়ী পুলিশ বক্সের কাছে দাঁড়িয়ে নির্দেশনা দিচ্ছেন সার্জেন্ট ফারুক। আর সেই নির্দেশনা পালন করছেন ট্রাফিক পুলিশ সদস্য ও শিক্ষার্থীরা। ইশারা (সিগন্যাল) পেলেই রাস্তার গাড়ি আটকে দাঁড়িয়ে থাকছেন গলায় আইডি কার্ড ঝোলানো শিক্ষার্থীরা। পথচারী পারাপার, রাস্তা ফাঁকা করা সবই করছেন তারা। খামারবাড়ী থেকে মিরপুরের দিকে যেতে সংসদ ভবনের পেছনের চন্দ্রিমা উদ্যানের মোড়েও নিজেদের দায়িত্ব পালন করেছেন ট্রাফিক পুলিশ সদস্যরা। সেখানেও রয়েছেন শিক্ষার্থীদের একটি অংশ। প্রতিটি রাস্তায় স্বাভাবিক যান চলাচলের পাশাপাশি আলাদা আলাদা লেনের ব্যবস্থাও করেছেন তারা। এদিকে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের দিকে যেতে বিজয় সরণি মোড়েও সকাল থেকে দায়িত্ব পালন করছেন বেশ কিছু ট্রাফিক পুলিশ। আর তাদের সহায়তা করছেন একদল শিক্ষার্থী। ট্রাফিক সার্জেন্ট এসআই মোর্তজার দায়িত্বে সড়কের শৃঙ্খলা ফেরানোর কাজ করছেন তারা। সার্জেন্ট মোর্তজা বলেন, দীর্ঘ বিরতির পর আমরা সোমবার থেকে কাজে যোগ দিয়েছি। আমাদের সঙ্গে শিক্ষার্থীরাও রাস্তার যানবাহন নিয়ন্ত্রণে কাজ করছে। তারা এই কয়েকদিন অক্লান্ত পরিশ্রম করে সড়কের নিয়ন্ত্রণ করেছে। এজন্য তারা আসলেই প্রশংসার দাবিদার। কাওরান বাজার সার্ক ফোয়ারা এলাকাতেও গতকাল সকালে ট্রাফিক ইন্স্পেক্টর (টিআই), সার্জেন্ট, ট্রাফিক পুলিশ সদস্যদের দায়িত্ব পালন করতে দেখা গেছে। তাদের সঙ্গেও রাস্তার মাঝে অবস্থান নিয়ে যানবাহন নিয়ন্ত্রণ করছেন শিক্ষার্থীরা। বাংলামোটর মোড়েও ট্রাফিক পুলিশের সঙ্গে কাজ করতে দেখা গেছে শিক্ষার্থীদের। এ ছাড়াও এলাকাটির হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টাল মোড়, মগবাজার, শাহবাগ, সাতরাস্তাসহ বিভিন্ন স্পটে ট্রাফিক পুলিশ সদস্যদের নিজেদের দায়িত্ব পালন করতে দেখা গেছে। এ বিষয়ে তেজগাঁও জোনের সহকারী কমিশনার স্নেহাশীষ দাশ বলেন, রমনা-তেজগাঁও এলাকা গুরুত্বপূর্ণ হওয়ার কারণে এখানে প্রায় সর্বত্র ট্রাফিক পুলিশ কাজে নেমে গেছেন। বিশেষ করে তেজগাঁও এলাকার কথা বলতে পারি, এখানে ৮০ শতাংশ ফোর্স নেমেছে। আমাদের উপস্থিতির পর শিক্ষার্থীরা বাসায় ফিরে যাচ্ছে।
এদিকে মতিঝিল ট্রাফিক জোনের অতিরিক্ত উপ-কমিশনার (এডিসি) মো. শাকিবুল ইসলাস খান বলেছেন, আমাদের ট্রাফিক পুলিশের সব সদস্য কাজে যোগ দিয়েছেন। তবে এখনো সব স্থানে ট্রাফিক পুলিশ মোতায়েন করা সম্ভব হয়নি। পর্যায়ক্রমে দায়িত্ব দেয়া হচ্ছে।
যাহোক সব কল্পনা জল্পনা বাদ দিয়ে আমাদের গৌরবের পুলিশ বাহিনী চাকরি তে যোগ দিতে শুরু করিয়াছে। সুতরাং আমি পুলিশ বাহিনীর কাছে এইটা আবেদন করে যাবো যেন অতীতের মতো এই ধরনের সমস্যায় পড়তে না হয় সেই দিকে খেয়াল থাকতে হবে। ধন্যবাদ ><