খেলা
টেস্টে ১২ মাস ও ২৮ ম্যাচ পর ড্র
স্পোর্টস ডেস্ক
১৩ আগস্ট ২০২৪, মঙ্গলবারদীর্ঘ ১২ মাস পর ড্র দেখলো টেস্ট ক্রিকেট। গত এক বছরে ২৮ টেস্ট ম্যাচের প্রত্যেকটিতেই ছিল হারজিত। ত্রিনিদাদে সুযোগ নিয়েছিল সফরকারী দক্ষিণ আফ্রিকা। ট্রিস্টান স্টাবসের ঝড়ো ব্যাটিংয়ে দ্রুত রান তুলে প্রথম সেশনেই ইনিংস ঘোষণা করে তারা। পরে লক্ষ্য তাড়ায় নামা ওয়েস্ট ইন্ডিজকে শুরুতে চাপেও ফেলে দেয় । তবে সফরকারীদের সামনে ব্যাট হাতে দেয়াল হয়ে দাঁড়ান আলিক আথানেজ। অল্পের জন্য তার সেঞ্চুরি হাতছাড়া হলেও দলকে তিনে এনে দেন সম্মানজনক এক ড্র। ক্যাভাম হজ ও জেসন হোল্ডারের সঙ্গে তার দারুণ দুটি জুটিই জয়বঞ্চিত রাখে সফরকারী দক্ষিণ আফ্রিকাকে।
ত্রিনিদাদে রোববার ক্যারিবিয়ানদের ২৯৮ রানের লক্ষ্য ছুঁড়ে দেয় দক্ষিণ আফ্রিকা। প্রতিপক্ষকে অলআউট করতে তাদের হাতে ছিল দুই সেশন। কিন্তু আথানেজ, হোল্ডারদের ব্যাটে ভাঙে তাদের আশা। ৫ উইকেটে ২০১ রান করে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। দীর্ঘ এক বছর ও ২৮ ম্যাচ পর ড্র দেখলো টেস্ট ক্রিকেট। এই সংস্করণের সবশেষ ম্যাচ ড্র হয়েছিল ২০২৩ সালের জুলাইয়ে। সেটিও ছিল এই পোর্ট অব স্পেনে, ড্র নিয়ে মাঠ ছেড়েছিল ওয়েস্ট ইন্ডিজ ও ভারত।
ওয়েস্ট ইন্ডিজের এবারের ড্রয়ে বড় অবদান রাখা আথানেজ ৮ রানের জন্য পাননি তিন অঙ্কের উষ্ণ ছোঁয়া। ক্যারিয়ারের অষ্টম টেস্ট খেলতে নেমে ১১৬ বলে ৯২ রান করেন ৯টি চারে। ক্যাসি কার্টির সঙ্গে ৪৬, হজের সঙ্গে ৬৩ ও হোল্ডারের সঙ্গে ৬৫ রানের জুটি গড়ে ক্যারিবিয়ানদের পথ হারাতে দেননি আথানেজ। ম্যাচ সেরার পুরস্কার অবশ্য জেতেন দুর্দান্ত বোলিং করা প্রোটিয়া বাঁহাতি স্পিনার কেশব মহারাজ। প্রথম ইনিংসে ৪ উইকেটের পর এবার ওয়েস্ট ইন্ডিজের পাঁচ উইকেটের চারটিই নেন তিনি। ৩০ রান ও সবকটি উইকেট হাতে নিয়ে এদিন ব্যাটিংয়ে নেমে দ্রুত রান তুলতে থাকেন টোনি ডি জর্জি ও এইডেন মার্করাম। তাদের ৭৮ রানের উদ্বোধনী জুটি ভাঙে ডি জর্জির (৪টি চারে ৪৫) বিদায়ে। কয়েক ওভার পর বিদায় নেন মার্করামও। উইকেটে গিয়েই আগ্রাসী ব্যাটিংয়ে মনোযোগ দেন দ্বিতীয় টেস্ট খেলতে নামা স্টাবস। ৪২ বলেই স্পর্শ করেন তিনি ক্যারিয়ারের প্রথম টেস্ট ফিফটি। কেমার রোচের বলে স্টাবস বোল্ড হলে ইনিংস ঘোষণা করে দেয় দক্ষিণ আফ্রিকা। ২ ছক্কা ও ৬ চারে ৫০ বলে ৬৮ রান করেন স্টাবস।
রান তাড়ায় ব্যাটিংয়ে নামা ক্যারিবিয়ানরা তৃতীয় বলেই হারায় ক্রেইগ ব্র্যাথওয়েটকে। মিকাইল লুইকে টিকতে দেননি কাগিসো রাবাদা। ১৮ রানে ২ উইকেট হারানো দলের হাল ধরেন আথানেজ ও ক্যাসি কার্টি। ৪টি চারে ৩১ রান করেন কার্টি। আথানেজকে কিছুক্ষণ সঙ্গ দেন হজ। এই সময়ে ৫৮ বলে ফিফটি করেন আথানেজ। ২৯ রান করে হজ বিদায় নিলেন হোল্ডারকে নিয়ে দলের হাল ধরেন তিনি।
সেঞ্চুরি যখন দৃষ্টিসীমানায় তখন আউট হয়ে যান আথানেজ। মহারাজের খাটো লেংথের বল সুইপ করতে গিয়ে ক্যাচ তুলে দেন তিনি। কয়েক ওভার পর ড্র মেনে নেয় দুই দল। দুই দলের দ্বিতীয় ও শেষ টেস্ট শুরু আগামী বৃহস্পতিবার, গায়ানায়।