বিশ্বজমিন
ট্রাম্প যুক্তরাষ্ট্রের জন্য হুমকি হতে পারে: বাইডেন
মানবজমিন ডেস্ক
(১ মাস আগে) ১২ আগস্ট ২০২৪, সোমবার, ১২:৫৯ অপরাহ্ন
সর্বশেষ আপডেট: ১১:৫৯ অপরাহ্ন
আসন্ন মার্কিন নির্বাচন থেকে নিজের প্রেসিডেন্ট প্রার্থীতা প্রত্যাহারের পর প্রথম কোনো সাক্ষাৎকারে ট্রাম্প ইস্যুতে মুখ খুলেছেন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। তিনি রোববার সকালে সিবিএস নিউজের একটি সরাসরি প্রচারিত অনুষ্ঠানে বলেছেন, ডনাল্ড ট্রাম্প যুক্তরাষ্ট্রের জন্য বড়রকমের হুমকি হতে পারে। বাইডেন এ সাক্ষাৎকারে প্রেসিডেন্ট প্রার্থী থেকে সরে দাঁড়ানোর কারণও ব্যাখ্য করেছেন। তিনি মনে করেন মার্কিন নির্বাচন থেকে তিনি সরে দাঁড়িয়েছেন কারণ তিনি নিজেকে বিভ্রান্ত করতে চান না। এছাড়া সাক্ষাৎকারে তিনি গাজা ইস্যু নিয়েও কথা বলেছেন। এ খবর দিয়েছে অনলাইন আল জাজিরা।
এতে বলা হয়, সিবিএস নিউজের সাক্ষাৎকারে বাইডেন বলেছেন- আসন্ন নির্বাচনে আমি প্রার্থী থাকলে দলের জনপ্রিয়তা নেমে যাওয়ার সম্ভাবনা ছিল। এছাড়া ডেমোক্র্যাট দলের অন্যান্য নেতাদের উদ্ধৃত করে বাইডেন বলেছেন নির্বাচনে আমার প্রার্থীতা দলের জন্য বড় ক্ষতির কারণ হত। এ বিষয়ে বাইডেন উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন যে, তিনি প্রার্থী থাকলে সকলের প্রশ্নের তোপে পড়তে হত তাকে। মূলত বিভ্রান্তি এবং উদ্বেগ এড়াতেই বাইডেন নিজেকে আসন্ন নির্বাচন থেকে সরিয়ে নিয়েছেন বলে জানিয়েছেন তিনি।
৮১ বছর বয়সী বাইডেন সার্বিক বিষয় চিন্তা করে জুলাই মাসে প্রেসিডেন্ট প্রার্থীতা থেকে সড়ে দাঁড়ান। পরে তিনি ডেমোক্র্যাট দলের জন্য ভাইস প্রেসিডেন্ট কমালা হ্যারিসকে সমর্থন করেছেন। বাইডেন নিজের সরে যাওয়া নিয়ে যে বিষয়টিকে সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দিয়েছেন সেটি হচ্ছে, তিনি প্রার্থীতা করলে ডেমোক্র্যাট দলের গণতান্ত্রিক ধারা নিয়ে প্রশ্ন ওঠাটা অস্বাভাবিক ছিল না। বাইডেনের প্রধান লক্ষ্য রিপাবলিকান প্রেসিডেন্ট প্রার্থী ট্রাম্পের জন্য শক্ত একজন প্রতিপক্ষ সেট করা এবং নির্বাচনে রিপাবলিকানদের পরাজয় নিশ্চিত করা।
বাইডেন বলেছেন, যদিও একজন প্রেসিডেন্ট হওয়া অনেক সম্মানের কিন্তু পরিস্থিতি অনুযায়ী নিজেকে এ পদ থেকে সরিয়ে নেয়াটাও গুরুত্বপূর্ণ। আমি দেশের জন্য যেটা ভালো সেটা বাস্তবায়ন করাই গুরুত্বপূর্ণ মনে করি। এক্ষেত্রে ট্রাম্পকে অবশ্যই আমাদের পরাজিত করতে হবে।
জরিপের তথ্যমতে, ২৭ জুন মার্কিন প্রেসিডেন্সিয়াল বিতর্কে ট্রাম্পের কাছে ধরাশায়ী হওয়ার পর বাইডেনের নেতৃত্ব নিয়ে ব্যাপক সমালোচনা শুরু হয়। সেসময় বাইডেনের শারীরিক এবং মানসিক সক্ষমতা নিয়ে বেশ সমালোচনা হয়। মনে হচ্ছিল ডেমোক্র্যাটরা নির্বাচনের আগেই ট্রাম্পের কাছে পরাজয় বরণ করে নিয়েছে। তবে কমালা হ্যারিস আনুষ্ঠানিকভাবে প্রচারণা শুরু করার পর ডেমোক্র্যটদের জন্য ইতিবাচক পরিবর্তন আসতে শুরু করেছে। বর্তমানে জরিপের তথ্যমতে ট্রাম্পকে পেছনে ফেলে এগিয়ে রয়েছেন কমালা। বৃহস্পতিবার একটি জরিপে দেখানো হয়েছে কমালা ৪২ শতাংশ ভোটারের সমর্থন পেয়েছেন। পক্ষান্তরে ট্রাম্প পেয়েছেন ৩৭ শতাংশ সমর্থন। জরিপের ফলাফল অনুযায়ী কমালা ট্রাম্পের চেয়ে নির্বাচনী দৌঁড়ে এগিয়ে রয়েছেন। যদিও এখনও ডেমোক্র্যাটিকরা কমালাকে চূড়ান্ত প্রেসিডেন্ট প্রার্থী হিসেবে মনোনীত করেনি। কমালা হ্যারিস কী ট্রাম্পকে পরাজিত করতে পারবেন, এ বিষয়ে এখনও সংশয়ে রয়েছেন ডেমোক্র্যাট দলের অনেক নেতা। এ মাসে জাতীয় কনভেনশনে চূড়ান্ত প্রেসিডেন্ট প্রার্থী মনোনয়ন দেবে ডেমোক্র্যাটরা।
আমেরিকান'রা নারী শাসক কখনো চায়না ইতিহাস তাই বলে। কমলা হ্যারিস পপুলার ভোটে জিতলেও ইলেকটোরাল ভোটে হেরে যাবেন যেমন হেরে গিয়েছিলেনন হিলারী ক্লিনটনের মত যোগ্য প্রার্থী হয়েও। উনি ৪,৫০০০০ পপুলার ভোট পেয়েও ইলেকটোরাল ভোটে হেরে যান যান ট্রাম্পের কাছে।
Kamala Harris worse than biden. She never ever win this election. We believe President Trump will be next president America 2024 .