রাজনীতি
আওয়ামী লীগের নিবন্ধন বাতিল ও নিষিদ্ধ করার দাবি কর্নেল অলির
স্টাফ রিপোর্টার
(১ মাস আগে) ৮ আগস্ট ২০২৪, বৃহস্পতিবার, ১২:১৩ অপরাহ্ন
সর্বশেষ আপডেট: ৭:২৭ অপরাহ্ন
সন্ত্রাসী সংগঠন হিসেবে আওয়ামী লীগের নিবন্ধন বাতিল ও নিষিদ্ধ করার জন্য দাবি জানিয়েছেন লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টির প্রেসিডেন্ট ড. কর্নেল (অব.) অলি আহমদ। পাশাপাশি উপযুক্ত পরিবেশ সৃষ্টি হওয়া মাত্র শেখ হাসিনাকে দেশে ফিরিয়ে এনে বিচারের সম্মুখীন করারও দাবি জানান তিনি। বৃহস্পতিবার সকালে রাজধানীর মগবাজারস্থ এলডিপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ দাবি জানান।
অলি আহমদ বলেন, স্বৈরাচারের পতনের পর জাতি-ধর্ম-বর্ণ-রাজনৈতিক পরিচয় নির্বিশেষে সকলের ঐক্যবদ্ধ হওয়ার সময় এসেছে। স্বৈরাচারী ও সন্ত্রাসী সংগঠন হিসেবে আওয়ামী লীগের নিবন্ধন বাতিল ও নিষিদ্ধ করতে হবে। নোবেল শান্তি পুরস্কার বিজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূসসহ নতুন সরকারের প্রতি আন্তরিক শুভেচ্ছা। তার ওপর অর্পিত নির্বাহী দায়িত্ব পালনে সফলতার আশা ব্যক্ত করি।
তিনি বলেন, ছাত্র-জনতার আন্দোলনে যারা শহীদ হয়েছেন, আহত হয়েছেন, তাদের এবং তাদের পরিবারের ক্ষতিপূরণ, পুনর্বাসন ও সুচিকিৎসার ব্যবস্থা করতে হবে। আর সংযুক্ত আরব আমিরাত, সৌদি আরব, সিঙ্গাপুরসহ বিভিন্ন রাষ্ট্রের সাজাপ্রাপ্ত ও বহিষ্কৃত বাংলাদেশিদের মুক্তি ও পুনঃনিয়োগ বা পুনর্বাসনের ব্যবস্থা নিতে হবে।
কর্নেল অলি বলেন, ২০০৯ সাল থেকে যারা উপযুক্ত প্রমাণাদি ছাড়াই রাজনৈতিক প্রতিহিংসার শিকার হয়েছেন–তাদের বিরুদ্ধে সকল মিথ্যা মামলা তুলে নিতে হবে এবং যারা গ্রেপ্তার ও বন্দি হয়েছেন তাদের অবিলম্বে মুক্তির ব্যবস্থা করতে হবে। সাবেক সংসদ সদস্য এম ইলিয়াস আলীসহ সরকার কর্তৃক অপহৃত, নিহত ও গুম করা ব্যক্তিদের তালিকা তৈরি করে বিচার নিশ্চিত করতে হবে। এজন্য স্বতন্ত্র তদন্ত কমিশন গঠন করতে হবে।
তিনি বলেন, ১৯৯৬ সালের পর থেকে মুক্তিযোদ্ধা তালিকায় যে অবৈধ ও অযৌক্তিক সংযোজন করা হয়েছে তা বাতিল করতে হবে এবং সেসকল মুক্তিযোদ্ধাদের পৌষ্যদের সরকারি চাকরিতে নিয়োগ বাতিল করতে হবে। স্বৈরাচারী সরকারের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট সকল অভিযুক্ত ও পলাতক ব্যক্তিদের উপযুক্ত তথ্যের ভিত্তিতে গ্রেপ্তার করতে হবে, তাদের অবৈধ সম্পদ জব্দ করতে হবে এবং বিদেশে পাচারকৃত সম্পদ প্রত্যর্পণের জন্য আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের প্রতি আহ্বান জানাতে হবে।
এলডিপির প্রেসিডেন্ট বলেন, বাংলাদেশের স্থল, জল বা বিমান বন্দর দিয়ে কোনো অভিযুক্ত ব্যক্তি পলায়ন করতে না পারে বা অপরাধীরাও অনুপ্রবেশ করতে না পারে, সেই ব্যবস্থা করতে হবে। আর ৬ মাসের মধ্যে জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য একটি স্পষ্ট সময়সূচি নির্ধারণ করতে হবে। কমপক্ষে পরবর্তী ৪টি জাতীয় নির্বাচন তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থার অধীনে করতে হবে। সংবিধান সংশোধনের জন্য একটি কমিটি গঠন করতে হবে। প্রধানমন্ত্রী থেকে প্রজাতন্ত্রের সকল প্রতিষ্ঠানে (শিক্ষা প্রতিষ্ঠানসহ) শীর্ষ নির্বাহী পদে কোনো ব্যক্তি সর্বোচ্চ ২ বারের বেশি দায়িত্ব পালন করতে পারবে না।
কর্নেল অলি বিভিন্ন পদক্ষেপের আহ্বান জানান। সেগুলো হলো-সকল সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীকে অবিলম্বে নিজ নিজ দায়িত্বে ফেরার অনুরোধ করছি, প্রয়োজনে অবসরপ্রাপ্ত পুলিশ সদস্যদের সাময়িকভাবে পুনর্নিয়োগ দেয়া যেতে পারে, ডিজিএফআই ও অন্যান্য আটক কেন্দ্রকে আত্মসমর্পণকারীদের জন্য নিরাপদ আশ্রয়স্থল হিসেবে ব্যবহার করা যেতে পারে, সকল অবৈধ অস্ত্র সাময়িকভাবে নিকটস্থ আইন ও প্রয়োগকারী প্রতিষ্ঠানে জমা দিতে হবে এবং ২০০৯ সাল থেকে ইস্যুকৃত সকল আগ্নেয়াস্ত্র লাইসেন্স স্থগিত করতে হবে যা তদন্ত সাপেক্ষে পুনঃবহাল করা যেতে পারে।
যথেষ্ট মন্তব্য পড়লাম। enough.
ধীরে বন্ধু ধীরে , আনন্দের আতিশয্যে এত বেশি বাড়াবাড়ি ভালো না । কাউকে নিষিদ্ধ করে নিঃশ্বেস করা যায় না , এত দীর্ঘ বছর রাজনীতি করে তা হলে কি বুঝলেন ? আগে দেশের মানুষের জন্য ভালো কাজ করুন । এই দিন দিন না আরো দিন আছে ।
নবাব সিরাজুদ্দৌলা ইংরেজদের পুরোপুরি শেষ না করে, আম্রকানন পর্যন্ত তাড়িয়ে দিয়ে ভেবেছিলেন তারা শেষ হয়ে গেছে। এরপর ইংরেজরা সংগঠিত হয়ে এই উপমহাদেশের জনগণকে পৌনে-দুইশ বছর গোলামীর জিঞ্জিরায় আবদ্ধ রেখেছিলো। ঠিক তেমনি এই দলকে যদি এখনই চিরতরের জন্য নিষিদ্ধ করা না হয়, তবে সিরাজুদ্দৌলার মতোই সিদ্ধান্ত হবে
I agree . We do not want to see BAKSHAL & Awami League in Bangladesh any more . Bann in for life .
মানবতা বিরুদি অপরাধ এর কারণে। তাদের গঠিত আন্তর্জাতিক ট্রাইবুনালে বিচার হউক।
এটা করতেই হবে। এই বাংলাদেশের মাটিতে আর হায়না সন্ত্রাসী, খুনী লম্পট, ধর্নকারী, লুটেরাদের জায়গা দেয়া যাবে না।
আমিও ডঃ অলির সাথে একমত। আপনাকে ধন্যবাদ।
99% of general people of Bangladesh want/agree/like to ban awamilig in Bangladesh.
আওযামিলিগ ইতিহাস বিশ্লেষন করে দেখুন এই দলটি্ ইবলিশ শয়তানের ঘোড়া সকল ক্ষেত্রে তাই এই দল টাকে কিয়ামত পর্যন্ত নিষিদ্ধ ঘোষনা করতে হবে। আর এদের যেখানে পাবেন আইনের আওতায় আনবেন।
উত্তেজনার বশবর্তী হয়ে কতজন কত কথা বলছে। কিছুদিন যেতে দেন, হানিমুন পিরিয়ড কাটতে দেন, উল্টো কথা বলার লোকের তখন অভাব হবেনা।
এই জঙ্গি লীগের রাজনীতি চিরদিনের জন্য নিষিদ্ধ করা হোক জঙ্গি লীগ একটা দেশদ্রোহী সংঘটন।
সব পরে মজা পাচ্ছি ! স্বাধীন চেতনা ... বীরজাতি আমরা মি. অলি আহম্মেদ হতিহাস ভুলে যাবেন না
১৯৭১ সালের চেয়েও মানবতাবিরোধী অপরাধ করেছে সে। তাই আরেকবার সময় এসেছে আওয়ামী লীগের যে সকল নেতা এই ছাত্র হত্যাকান্ডে জড়িত তাদেরকে ফাঁসিতে ঝুলানোর
দ্রুত সিদ্ধান্ত নেওয়া দরকার।
বানরে কিনা করে ! পাগলে কি না কয় ! ছাগলে কিনা খায় !
@Anis / @Muktar Khan আওয়ামীলীগ ২০ বছর ক্ষমতায় থেকে বিএনপির চুলও বাঁকা করতে পারল না - আর পালিয়ে গিয়ে আপনারা বিএনপি নিসিদ্ধ করার স্বপ্ন দেখেন, মানসিক ডাক্তার দেখান
সব দল একসাথে আওয়ামী জঙ্গি সংগঠনকে একযোগে নিষিদ্ধ করতে দাবী জানাতে হবে! এবং এদেরকে দেশদ্রোহী কাজগুলো তুলে ধরতে হবে!
আমিও আপনার সাথে একমত। কয়েক হাজার মুক্তিকামী মানুষকে হত্যার জন্য হাসিনা ও সবরকম লীগের বিচার করে এই ২য়বার স্বাধীনতাকে অর্থবহ করতে হবে।
দেশের মানুষের সামনে আওয়ামীলীগ পন্থিদের আচরণ, অতিউৎসাহী পুলিশ সহ যারা অন্যায়ভাবে নিরপরাধ মানুষদের কষ্ট দিয়েছে তাদের সবাইকে সঠিক বিচারের মুখোমুখি করতে হবে।
আমি মনে করি আগামী ৫ বছর ছাত্ররা রাষ্ট্র পরিচালনা করুক ডক্টর মুহাম্মদ স্যারের সাথে এর মাঝে দেশ থেকে জঞ্জাল গুলো দূর করুক যেমন ভোটার হালনাগাদ করা, মানুষের যে সমস্ত জায়গা দোকান এবং রাষ্ট্রীয় সম্পদ দখল হইছে এগুলো উদার করে আসল মালিকের হাতে বুঝিয়ে দেওয়া, সরকারী অফিসে দলীয় কোন রাজনীতি থাকতে পারবে না , অফিস করবে আর বাসায় যাবে, দলীয় ব্যানারে ছাত্ররাজনীতি নিষিদ্ধ করতে হবে, NID কার্ড যাতে মানুষ খুব সহজে আপডেট করতে পারে, পাসপোর্ট অফিসে দালাল থাকতে পারবে না এবং ১০ থেকে ১৫ দিনের মধ্যে পাসপোর্ট দিতে হবে, ঘুষ , যেন কেউ না চায় সেই দিকটা ভালো করে নজর দিতে হবে মানুষ যাতে কম সময় ড্রাইভিং লাইসেন্স পেতে পারে , কোন প্রকার ঘুষ ছাড়াই , বিদেশে ক খরচে শ্রমিক যেতে পারে সেই ব্যাবস্থা করতে হবে ১ থেকে ২ মাসের বেতনের খরচে যেন যেতে পারে, মেডিক্যালের নামে ৫০০ থেকে ১০০০ টাকার বেশি যেন নে নিতে পারে
আওয়ামী লীগ সন্ত্রাসী সংগঠন ছিলো এর নিবন্ধন বাতিল করা সময়ের দাবী।
আওয়ামীলীগ কে অবশ্যই নিষিদ্ধ করতে হবে. এটা একটা জঙ্গি, সন্ত্রাসী shongothon.
আগামী ১০০ বছর আওয়ামী লীগ নামের কোন সন্ত্রাসী দলের নাম, চিহ্নই আর বাংলাদেশে থাকবে না।
৩২ নং কে মাজার না বানিয়ে মসজিদ বানান, মৃতের আত্মা শান্তি পাবে , ছাদকায়ে জারিয়া হবে । কেউ ভাংতে পারবে না ।
সারা বাংলাদেশের প্রতিটি Department কে যেভাবে আওয়ামীলীগ নামক কুখ্যাত অর্জনকারী দলটি ধ্বংস করেছে সেই দলকে এখনই চিরতরে নিষিদ্ধ করা হউক।
অলি সাহেব জামায়াতের ঘোর বিরোধি ছিলেন। সে বলতো, জামায়াতের "ইসলাম" আর ধর্ম " ইসলাম " এক নয়। আরো কত কিছু হবে,,,,,
সারা বাংলাদেশের প্রতিটি Department কে যেভাবে আওয়ামীলীগ নামক কুখ্যাত অর্জনকারী দলটি ধ্বংস করেছে সেই দলকে এখনই চিরতরে নিষিদ্ধ করা হউক।
আপনার দাবির সাথে সহমত পোষণ করছি। শত শত নিরীহ ছাত্র জনতা খুনের দায়ে নিষিদ্ধ করা উচিত আওয়ামী লীগ কে।
অনেক বোকা পাতি নেতা এখনো শহর গ্রাম অস্থির করে বেরাচ্ছে এদের দ্রুত ব্যবস্থা নেন।
অবশ্যই সন্ত্রাসী লীগ হিসেবে আ’লীগ নিষিদ্ধ করতে হবে।
বাংলাদেশের ২য় স্বাধীনতা আনতে যারা জীবন উৎসর্গ করেছেন তাদের ফ্ল্যাট/প্লট দিন। কিভাবে, গত ১৬ বছরে যারা সংসদ সদস্য , আওয়ামী পুত্র / কন্যা, ফরিদপুরীর ছেলে / কন্যা, গোপালগঞ্জের ছেলে / কন্যা হিসেবে সরাসরি বা জাল লটারীর মাধ্যমে রাষ্ট্র'র ফ্ল্যাট/প্লটের মালিক হন, তাদের কাছ থেকে ফেরত নিয়ে শহীদ পরিবারের মধ্যে পুনঃবন্টন করা, আপনি কি মনে করেন?
আওয়ামী লীগ ও তার অঙ্গ সংগঠনগুলো নিষিদ্ধ করা এখন সময়ের দাবি। এটা একটি খুনি সংগঠন, মানবতাবিরোধী সংগঠন, এ সংগঠনকে নিষিদ্ধ করার জন্য জোর দাবি জানাচ্ছি।
একটা সন্ত্রাসী সংগঠন যদি দল হসেবে থাকে তাহলে তারা শুধু সন্ত্রাসই উৎপাদন করবে। অন্তন বিগত ১৬ বছর তারা তার প্রমাণ রেখে গেছে। তাই আওয়ামিলীগ নিষিদ্ধ হতেই হবে। এটা দেশপ্রেমিক জনতার দাবি।
তাহলে বিএনপিকেও নিষিদ্ধ করতে হবে। বিএনপির দুষ্কর্মের কথা সবাই জানে।
-Kazi যেমন জামাত ইসলামী কে আওয়ামী সরকার নিষিদ্ধ করেছিল!
তাহলে বিএনপিকেও নিষিদ্ধ করতে হবে। বিএনপির দুষ্কর্মের কথা সবাই জানে।
আওয়ামীলীগ নেতা,পাতি নেতা, নেতার হাতাদের কোটী কোটী টাকার অবৈধ সম্পত্তি ক্রোক করা দরকার এবং এসব দূর্নীতিবাজদের শাস্তির আওতায় আনা দরকার।
ছাত্র জনতার নুতন দল গঠন করা অতি প্রয়োজন।
I’m agreed with you
অবশ্যই স্বৈরাচার ও সন্ত্রাসী সংগঠন আওয়ামিলীগ কে নিষিদ্ধ করতে হবে।নইলে এই য জাতি শান্তিতে থাকতে পারবে না।
#লীগ , বিগত ১৬ বছর যা করেছে , লক্ষ লক্ষ প্রমাণ বা এভিডেন্স থেকে কয়েকটি প্রমাণ দিয়েই আইনি প্রক্রিয়ায় তাদেরকে নিষিদ্ধ করা অতি নগন্য ব্যাপার। বাংলাদেশের ৯০ ভাগ মানুষ এটি চায়।
Thanks for your proposal Colonel (Rtd) Oli.
এটা জনগণের মনের কথা ।
কোন ব্যক্তির বা ব্যক্তিদের অপরাধের জন্য দল কে নিষিদ্ধ করার বিধান কি সংবিধানে আছে । আমরা অরাজনৈতিক জনগনের একজন। আপনারা সমাজের শীর্ষ ব্যক্তি । হয়ত সংবিধান জানেন, তাই জানতে চেয়েছি।
একদম ঠিক কতা বলেছেন বাংলাদেশের ১৮কুটি গণমানুষের এই দাবি
ভারতের পণ্য ভারতে গেছে এটা কোনো ভাবেই বাংলার মাটিতে রাখা মানেই ক্যান্সার কে পোষা বাতিল বাতিল ই
Mr. Oli, this kind of statement is not democratic. Please control your tone. You are part of the former failed politician group.
সুন্দর দাবী। সুন্দর দাবী।।আমরা সমর্থন করলাম।
good decision from ldp. thanks for necessary steps.
নায্যদাবী । জনগন অবসরপ্রাপ্ত কর্নেল অলীর সাথেই আছেন ।
ভাল উদ্যোগ, খুব শিঘ্রই বাসতবায়ন চাই
সহমত, লীগ নামের কোনো খুনী সংগঠন বাংলাদেশে দেখতে চাই না।