খেলা
আবাহনী ও শেখ জামাল ধানমণ্ডি ক্লাবে ভাঙচুর, নিয়ে যাওয়া হলো আবাহনীর সব ট্রফি
স্পোর্টস ডেস্ক
৭ আগস্ট ২০২৪, বুধবার ধানমণ্ডির আবাহনী ক্লাবের অফিস ভাঙচুর করা হয়েছে। নিয়ে যাওয়া হয়েছে সব ট্রফি। ভাঙা হয়েছে শেখ কামালের ম্যুরালও। একই সঙ্গে তছনছ করা হয়েছে সব কাগজপত্র।
ক্লাবের অফিসে গিয়ে দেখা যায়, ভাঙা চেয়ার, শোকেস, টি-টেবিল এলোমেলো হয়ে আছে। সবচেয়ে ক্ষতি হয়েছে ক্লাবের ট্রফি কক্ষ। ক্রিকেট, ফুটবল, হকিসহ বিভিন্ন খেলায় এ পর্যন্ত যত ট্রফি জিতেছে আবাহনী এর সবগুলোই জনতার রোষের কারণ হয়েছে।
তীব্র ছাত্র-গণআন্দোলনের মুখে শেখ হাসিনা দায়িত্ব ছাড়ার পর তার ছোট ভাই শেখ কামালের হাতে গড়া ক্লাব আবাহনী লোকজনের রোষের মুখে পড়ে। এ সময় আবাহনী চত্বরে রাখা শেখ কামালের ম্যুরাল ভাঙ্গার পর পুড়ে দেয়া হয়। ক্লাবের বিভিন্ন কক্ষের ফ্যান, এসি, কম্পিউটার, হার্ডডিস্ক, সিসি ক্যামেরা, বেসিনের কল, কমোড, জানালার পর্দা, টেবিল, চেয়ারসহ অন্যান্য অনেক আসবাবপত্র তছনছ করা হয়।
ক্লাবটির কর্মচারী নিশীথ হালদার বলেন, ‘দুপুরে শেখ হাসিনার পদত্যাগের খবর ছড়িয়ে পড়তেই একদফা বাইক নিয়ে ২০-২৫ জনের একটি দল এসে গেটের কাছে চিৎকার চেঁচামেচি করে। এরপর বিকালে এসে গেট খোলার জন্য হুমকি-ধমকি দিতে থাকে। ভয়ে গেইট খুলে দেয়ার পর ভাঙচুর শুরু হয়।’ বিকালে ক্লাবে আসেন আবাহনীর প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা হুমায়ুন আহমেদ। ক্লাবের কি কি ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে প্রতিটা কক্ষ ঘুরে ঘুরে তারা দেখেছেন।
আক্রমণ থেকে রেহাই পায়নি শেখ জামাল ধানমণ্ডি ক্লাবটিও। ক্লাবটিতে গিয়ে দেখা যায়, অফিস চত্বরে পড়ে আছে বিভিন্ন কাঁচের ভাঙা টুকরো। ট্রফি কক্ষে রয়েছে মাত্র ৪টি ট্রফি। বাকিগুলো নিয়ে গেছে লোকেরা। ক্লাবের জার্সি, ক্রিকেট প্যাড, হেলমেটসহ নানা খেলাধুলার সরঞ্জামও নিয়ে যাওয়া হয়েছে। ক্লাবটির তত্ত্বাবধায়ক গিয়াস উদ্দিন বলেন, ‘দুপুরে একদল লোক ক্লাবে ঢোকার চেষ্টা করে। এরপর বিকালে এসে তারা ক্লাবে ভাঙচুর চালায়। ক্লাবের ক্যান্টিনও ভেঙেছে তারা।’