বাংলারজমিন
আওয়ামী লীগ অফিসে আগুন কুড়িগ্রামে ত্রিমুখী সংঘর্ষে আহত ৩০
স্টাফ রিপোর্টার, কুড়িগ্রাম থেকে
৫ আগস্ট ২০২৪, সোমবারকুড়িগ্রামে আন্দোলনকারী, পুলিশ ও ছাত্রলীগ-যুবলীগের ত্রিমুখী সংঘর্ষে আহত হয়েছে কমপক্ষে ৩০ জন। এ সময় জেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি মো. জাফর আলী ও সাধারণ সম্পাদক আমান উদ্দিন আহমেদ মঞ্জু ও সদর উপজেলা চেয়ারম্যান মঞ্জুরুল ইসলাম রতনসহ উভয়পক্ষের ৩০ জন আহত হয়েছেন। আহতদের কুড়িগ্রাম জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। আন্দোলনকারীদের মধ্যে গুরুতর আহত ২ জনকে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়। গতকাল সকাল ১১টার দিকে শহরের ঘোষপাড়া এলাকায় এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। দুপুর ২টা পর্যন্ত দফায় দফায় চলে এ সংঘর্ষ। এতে আন্দোলনকারীরা জেলা আওয়ামী লীগ কার্যালয় ও জেলা পরিষদ অফিসে ভাঙচুর করে। আন্দোলনকারীদের মধ্যে গুরুতর আহত মুশফিকুর রহমান সাঈদ (২৪) ও নকুল (৩২) এবং জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মো. জাফর আলী ও সাধারণ সম্পাদক আমান উদ্দিন আহমেদ মঞ্জুকে আহত অবস্থায় রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার্ড করা হয়। কুড়িগ্রাম জেনারেল হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা. শাহিনুর রহমান শিপন বিষয়টি নিশ্চিত করেন। পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, সকাল থেকে কোটা আন্দোলনকারী ও ছাত্রলীগ-যুবলীগের কর্মীরা শহরের বিভিন্ন এলাকায় অবস্থান নেয়। সকাল ১১টার দিকে ছাত্রলীগ-যুবলীগের কর্মীরা আন্দোলনকারীদের ধাওয়া দিলে উভয় পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ বাধে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার জন্য পুলিশ লাঠিচার্জ ও টিয়ারশেল নিক্ষেপ করে। এ সময় উভয় পক্ষের ৩০ জন আহত হয়। আহতদের মধ্যে ২ জনের অবস্থা গুরুতর বলে হাসপাতালের চিকিৎসকরা জানিয়েছেন। পরে আন্দোলনকারীরা শাপলা চত্বরের জেলা আওয়ামী লীগ কার্যালয়ে আগুন দেয় ও জেলা পরিষদে ভাঙচুর করে। এর আগে সকালে কুড়িগ্রাম পৌর বাজারস্থ টেলিভিশন সাংবাদিক ফোরামের কার্যালয়ের সামনে দ্বীপ্ত টিভির জেলা প্রতিনিধি ইউনুছ আলী ও ঢাকা পোস্টের জুয়েল রানাকে লাঞ্ছিত করে।
পুলিশ সুপার আল আসাদ মো. মাহফুজুল ইসলাম জানান, বিকাল থেকে পরিস্থিতি স্বাভাবিক আছে। রোববার আইনশৃঙ্খলা রক্ষা করতে গিয়ে কুড়িগ্রাম সদরে কয়েকজন পুলিশ আহত হয়েছেন। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে পুলিশ বেশ কয়েক রাউন্ড টিয়ারশেল ছোড়ে।
কুড়িগ্রাম জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ সাইদুল আরিফ জানান, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার জন্য পুলিশ ও বিজিবি’র টহল জোরদার করা হয়েছে।