খেলা
কেইনের একটি ট্রফির জন্য আর কতো অপেক্ষা!
স্পোর্টস ডেস্ক
২৫ জুলাই ২০২৪, বৃহস্পতিবারইউরো চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনালে হ্যারি কেইনের নীরব কান্নাই বলে দেয় ম্যাচের রেজাল্ট। হ্যারি কেইনকে অপেক্ষা করতে হবে আরও দীর্ঘ সময়। ফাইনালের পুরোটা সময় তিনি ছিলেন নিষ্প্রভ। তার সামনে সুযোগ ছিল গোল্ডেন বুট একা নিজের করে নেয়ার। কিন্তু তাও সম্ভব হয়নি। গোল্ডেন বুট ভাগাভাগি করতে হয়েছে আরও ৫ জনের সঙ্গে।
ফাইনালে তার পায়ে বল এসেছে মাত্র ১৩ বার। হারের পর কেইন বলেন, ‘ফাইনাল যখন আপনার কাছে আসবে তখনই কাজে লাগাতে হবে। কারণ এমন সুযোগ আপনার হাতে বার বার আসবে না। এই ম্যাচটা হারা আমাদের জন্য বিশাল ধাক্কা নিয়ে এসেছে।’ যদিও কেইনের যন্ত্রণা কিছুটা লাঘব করতে পারে গোল্ডেন বুট। তবে ৩ বছরের মাথায় পরপর ২ বার ইউরোর ফাইনালে হারের যন্ত্রণা তার চেয়ে বেশি কার হবে? হ্যারি কেইন ২০১৮ সালের রাশিয়া বিশ্বকাপের ঠিক আগে অধিনায়কের দায়িত্ব পান। ২৮ বছর পর নিজের দেশকে সেমিফাইনালে তুলতে গিয়ে ৬টি গোল করেন কেইন। জয় করেন বিশ্বকাপের গোল্ডেন বুট। তারপর থেকে দল দারুণ ছন্দে থাকলেও একটা ট্রফিও ঘরে তুলতে পারেনি থ্রি লায়ন্স।
ইতালির কাছে ২০২১ ইউরো হারার আগে নকআউটে ৪ গোল করেন কেইন। টটেনহ্যাম হটস্পার ছেড়ে বায়ার্ন মিউনিখে এসেও প্রচুর গোল পেয়েছেন তিনি। ৪৫ ম্যাচে তার পা থেকে আসে ৪৪ গোল। কিন্তু বায়ার্ন মিউনিখ ২০১২ সালের পর প্রথমবার বুন্ডেসলিগার শিরোপা হারায়, শিরোপা জয় করে পুরো টুর্নামেন্টে অপরাজিত বায়ার লেভারকুসেন। ফলে কেইনকে ‘অপয়া’ বলাও শুরু করে বায়ার্ন মিউনিখ সমর্থকরা।
জুড বেলিংহাম, বুকায়ো সাকা, ফিল ফোডেন, কোল পালমার এবং হ্যারি কেইন- দুর্দান্ত সব পারফর্মারে ঠাঁসা ইংলিশদের বলা হচ্ছিলো এবারের ইউরোতে হট ফেভারিট। কিন্তু শুরু থেকেই বাজে খেলে সমর্থকদের আক্রমণের শিকার হতে হয় ইংল্যান্ডের খেলোয়াড় ও কোচকে। এমনকি বিয়ারের বোতল ছুড়ে মারা হয় থ্রি লায়ন্স কোচ গ্যারেথ সাউথগেটকে। ফাইনাল পর্যন্ত ব্যাক পেইনে ভোগা হ্যারি কেইন তো নিজেকে সেভাবে মেলে ধরতেই পারেননি। ৩ গোল করলেও এরমধ্যে দুইটি ছিল পেনাল্টি থেকে। সাউথগেট অবশ্য টুর্নামেন্টের আগেই কেইনের শারীরিক অবস্থা সম্পর্কে বলেন, ‘ফিজিক্যালি তার জন্য ফিট থাকা কঠিন। ব্যাক পেইনের জন্য অস্বস্তি অনুভব করছে সে। টুর্নামেন্টে আসার আগে (ইনজুরির জন্য) সে খুব একটা সুযোগ পায়নি প্রস্তুতির। ফলে আমরা তাকে যেভাবে দেখতে চাই সেভাবে নাও পেতে পারি।’ টুর্নামেন্ট জুড়ে তাই হয়েছে। খুব বেশি প্রভাব বিস্তারকারী খেলা দেখাতে পারেননি কেইন।
এবারের ইউরোতে ৭ ম্যাচের মধ্যে ৫ ম্যাচেই ইংলিশ অধিনায়কের জায়গায় অন্য কাউকে বদলি নামাতে হয়েছে কোচকে। সেমিফাইনালে অবশ্য এ বদলি দারুণ কাজে দিয়েছে। বিরতির পর নেদারল্যান্ডের বিপক্ষে কেইনের বদলি হিসেবে নামেন ওলি ওয়াটকিনস। শেষ মুহূর্তের গোলে তিনি দলকে ফাইনালে টেনে নিয়ে যান। পরবর্তী বিশ্বকাপের সময় কেইনের বয়স হবে ৩৩। সে সময় তার পক্ষে ফর্মে থাকা সম্ভব কিনা তা সময়ই বলে দেবে।