শেষের পাতা
কোটা আন্দোলনে সহিংসতা
ডিএমপিতে ৩৮ মামলা, আটক ১১১৭
স্টাফ রিপোর্টার
২৪ জুলাই ২০২৪, বুধবার
কোটা আন্দোলনকে ঘিরে সংঘাত ও সহিংসতার ঘটনায় এখন পর্যন্ত ঢাকা মহানগর পুলিশের বিভিন্ন থানায় ৩৮টি মামলা হয়েছে। এসব মামলায় গ্রেপ্তার করা হয়েছে ১ হাজার ১১৭ জনকে। এর মধ্যে গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি) গ্রেপ্তার করেছে ১৫০ জনকে। বাকিদের ডিএমপি’র বিভিন্ন থানা পুলিশ গ্রেপ্তার করেছে। তবে ডিবি বিএনপি, জামায়াত ও ছাত্র শিবিরের শীর্ষ নেতাদের বেশি গ্রেপ্তার করছে। তাদের অনেককে রিমান্ডে এনে জিজ্ঞাসাবাদ করছে।
গতকাল ডিবি’র অতিরিক্ত কমিশনার হারুন অর রশীদ বলেন, আমরা ১৫০ জনকে গ্রেপ্তার করেছি। তাদের মধ্যে হুকুমদাতা, অর্থ, ককটেল ও অস্ত্রদাতা রয়েছে। আরেকটি পার্ট হলো যারা মাঠে ইমপ্লিমেন্ট করেছে। আমরা সুস্পষ্ট তথ্য-প্রমাণ, ডিজিটাল এভিডেন্স যাচাই-বাচাই করে গ্রেপ্তার করেছি। যারা সরকারি-বেসরকারি স্থাপনায় নারকীয় তাণ্ডব, সড়কে সহিংসতা চালিয়েছে তাদের সকলের নাম মোবাইল নম্বর পেয়েছি। আমাদের টিম কাজ করছে। কেউ পার পাবে না। যারা এ কাজটি করেছে তারা দুবৃত্ত।
তিনি বলেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীরা যখন আন্দোলন করছিল তখন আমরা বলেছিলাম অনুপ্রবেশকারী ঢুকে পড়েছে। তারা চেষ্টা করছে কোমলমতি শিক্ষার্থীদের ব্যবহার করে আন্দোলনটিকে ভিন্নখাতে প্রবাহিত করার জন্য। সেই মোতাবেক তারা কাজ করছিল। তারা আগেও চেষ্টা করেছে। ২৮শে অক্টোবর পুলিশকে হত্যা করেছে। প্রধান বিচারপতির বাসভবন, পুলিশ হাসপাতালে আগুন লাগিয়েছিল। তখন মামলা হয়েছিল। ডিবি তাদেরকে গ্রেপ্তার করে আইনের আওতায় নিয়ে এসেছে। এখনো যারা এসব করছে তাদেরকে ছাড় দেয়া হবে না।
এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আমাদের নজরদারি ছিল বলেই আমরা তাদেরকে দ্রুত গ্রেপ্তার করতে পেরেছি। তাদের নাম মোবাইল নম্বর আগে থেকে ছিল। তাদের উদ্দেশ্য ছিল পুলিশের মনোবল ভেঙে দেয়া। তিনি বলেন, বিএনপি-জামায়াত ও শিবিরের শীর্ষ নেতাদের আমরা গ্রেপ্তার করে আদালতের মাধ্যমে রিমান্ডে এনে জিজ্ঞাসাবাদ করছি। তাদের মোবাইল পর্যালোচনা করে অনেক গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পেয়েছি। তারা বাংলাদেশের উন্নয়ন চায় না বলে একাত্তরের কায়দায় দেশটাকে অকার্যকর করার নির্দেশ পেয়ে এরকম তাণ্ডব চালিয়েছিল।
পাঠকের মতামত
যতক্ষণ ছাত্রলীগ সহিংসতা আরম্ভ করে নি কোটার আন্দোলন সহিংস ছিল না সহিংসতার জন্য কতজন ছাত্রলীগ নেতাকে আটক করা হয়েছে ?