ঢাকা, ২ জুলাই ২০২৫, বুধবার, ১৮ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ, ৫ মহরম ১৪৪৭ হিঃ

প্রথম পাতা

আন্দোলনকারীরা লিমিট ক্রস করে যাচ্ছে

স্টাফ রিপোর্টার
১২ জুলাই ২০২৪, শুক্রবার
mzamin

কোটা সংস্কারের নামে আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা লিমিট ক্রস করে যাচ্ছে। তারা যেন অযথা সড়কে ভিড় না করে। লেখাপড়া নষ্ট না করে। তাদের প্রতি অনুরোধ নিজ নিজ বিশ্ববিদ্যালয়ে ফিরে যাক। গতকাল স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের বার্ষিক সংবাদ সম্মেলনে মন্ত্রী এ কথা বলেন। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, আদালত শিক্ষার্থীদের কথা শুনতে চাচ্ছেন। রাস্তায় তাদের কষ্ট করার কোনো প্রয়োজন আর নেই। তাদের প্রতি অনুরোধ- তাদের দাবির প্রতি আমরা খেয়াল রাখছি। অনেকেই তাদের ব্যবহার করার জন্য দৌড়ঝাঁপ শুরু করে দিয়েছে। তাদের ষড়যন্ত্রে পা না দিয়ে আন্দোলন প্রত্যাহার করে নেয়া উচিত। আন্দোলন চলতে থাকলে পুলিশ অ্যাকশনে যাবে কিনা- এমন প্রশ্নের জবাবে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, পুলিশ কখন অ্যাকশনে যায়? জানমালের ক্ষতি করলে, অগ্নিসংযোগ করলে, জনদুর্ভোগ করলে তো পুলিশ বসে থাকবে না। 

শিক্ষার্থীদের আন্দোলন অব্যাহত রাখার বিষয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, আদালতের যে নির্দেশনাটা এসেছিল শিক্ষার্থীরা মনে করেছেন তাদের যে চিন্তা-ভাবনা সেটা থেকে তাদের দূরে সরিয়ে দেয়া হচ্ছে। সেজন্য তারা রাস্তায় চলে এসেছিলেন। আমাদের নিরাপত্তা বাহিনী বিশেষ করে পুলিশকে আমরা বলেছি- তাদের দাবি যেটা সেটা আমরা শুনবো। কিন্তু শোনারও বোধহয় একটা লিমিট থাকে। তিনি বলেন, বেশ কয়েকদিন হলো আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা কিন্তু একই কাজ করছেন। এরই মধ্যে প্রধান বিচারপতি একটা নির্দেশনা দিয়েছেন। তিনি স্পষ্ট বলেছেন, যে নির্দেশনা হাইকোর্ট দিয়েছেন সেটি স্থগিত। যে মামলাটি চলছে সেটির রায় না হওয়া পর্যন্ত স্থগিত থাকবে। তাই হাইকোর্ট যে কোটা বহাল করে নির্দেশনা দিয়েছিলেন সেটি অচল। সেটি এখন নেই। রায় যখন নেই তাহলে আন্দোলন করছে কেন? তাদেরও আত্মীয়স্বজনকে বিভিন্ন কাজে ছুটতে হয়। হাসপাতালে যেতে হয়। চাকরির জন্য বিভিন্ন জায়গায় যেতে হয়। রাস্তা বন্ধ করে দিলে কীভাবে চলবে? স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান বলেন, ছাত্ররা আদালতে গিয়ে তাদের যা বলার তা যাতে বলে। এটা স্পষ্ট সুন্দরভাবে বলে দিয়েছেন। কাজেই এরপর রাস্তায় থেকে তাদের কষ্ট করার কোনো প্রয়োজন আমার মনে হয় নেই। তারা যেটা চেয়েছিলেন সেদিকেই তো যাচ্ছে। আমি শিক্ষার্থীদের অনুরোধ করবো অযথা যাতে ভিড় না করেন। তারা তাদের লেখাপড়া ছেড়ে বসে থাকবেন। জনগণের দুর্ভোগ হবে। এটাও যাতে তাদের মাথায় থাকে। তাদের দাবির প্রতি সরকার সব সময় খেয়াল রাখছে। যেহেতু বিষয়টি কোর্টে আছে এজন্য কোর্টের মাধ্যমে এটি নিষ্পত্তি হবে।

একটি পক্ষ ছাত্রদের ব্যবহার করার চেষ্টা করছে- এ বিষয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, আমাদের মন্ত্রী মহোদয় যথার্থই বলেছেন। এ ধরনের পরিস্থিতি হলে ঘোলাপানি তৈরি করার লোকের অভাব হয় না। আমরাও তথ্য পাচ্ছি, জনপ্রশাসন মন্ত্রী হয়তো একটু খোলামেলাই বলেছেন। অনেকেই তাদের ব্যবহার করার জন্য দৌড়ঝাঁপ শুরু করে দিয়েছেন। আমি মনে করি আমাদের ছাত্রসমাজ তাদের কু-মন্ত্রণা কানে নেবে না। যেহেতু একটি মীমাংসা হয়ে গেছে। তারা তাদের অবরোধ প্রত্যাহার করে ফিরে যাবেন। এটি আমি আশা করি। প্রথম কথা হলো তারা শিক্ষিত। মেধাবী। তারা কেন রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে যাবেন? তারা এসব কিছু পর্যবেক্ষণ করে ফিরে যাবেন। 
 

পাঠকের মতামত

৭১ এর পর থেকে পরিবারত্রান্তিক কোটার মাধ্যমে দেশকে চুষে খেয়েছে। দেশকে বানিয়েছে চোরের দেশ।আর এই দুই, তিনটা পরিবারের পদলেহন করে অনেক দালাল হয়েছে আঙুল ফুলে কলাগাছ। সার্বিকভাবে মেধার মুল্যায়ন ২০% হয়নি।আর সততার মুল্যায়ন হয়নি ৫%। ও জাতি তোমার রক্ত হয়েছে,দুষিত,লজ্জা হয়েছে বিলীন,চলন্ত ট্রেনে ধর্ষিত হয় আমার বোন,আমার বউ খাদ্দামা ভিন দেশে,আমি বস্রহীন, মাতাল থাকি ডিজিটাল,স্মার্ট বেশে।

mozibur binkalam
১২ জুলাই ২০২৪, শুক্রবার, ৮:২০ অপরাহ্ন

শাহবাগ ২ মাস বন্ধ রেখে যখন আন্দোলন হয়েছিল তখন জনগনের অসুবিধা হয়নি? আদালতের রায় আন্দোলনের মাধ্যমে পরিবর্তন করা যায় শাহবাগ আন্দোলনই তার প্রমান। তাই মুক্তিযুদ্ধের চেতনার ধোয়া তুলে মেধাবী ছাত্রদের তাদের অধিকার থেকে বন্ছিত করা বন্ধ করুন।

Sajal
১২ জুলাই ২০২৪, শুক্রবার, ৪:৫৯ অপরাহ্ন

প্রথম পাতা থেকে আরও পড়ুন

আরও খবর

প্রথম পাতা সর্বাধিক পঠিত

   
Logo
প্রধান সম্পাদক মতিউর রহমান চৌধুরী
জেনিথ টাওয়ার, ৪০ কাওরান বাজার, ঢাকা-১২১৫ এবং মিডিয়া প্রিন্টার্স ১৪৯-১৫০ তেজগাঁও শিল্প এলাকা, ঢাকা-১২০৮ থেকে
মাহবুবা চৌধুরী কর্তৃক সম্পাদিত ও প্রকাশিত।
ফোন : ৫৫০-১১৭১০-৩ ফ্যাক্স : ৮১২৮৩১৩, ৫৫০১৩৪০০
ই-মেইল: [email protected]
Copyright © 2025
All rights reserved www.mzamin.com
DMCA.com Protection Status