ভারত
পশ্চিমবঙ্গে বন্ধ হয়ে গেল ঐতিহ্যবাহী ব্রিটানিয়া বিস্কুটের কারখানা
সেবন্তী ভট্টাচার্য্য , কলকাতা থেকে
(১০ মাস আগে) ২৪ জুন ২০২৪, সোমবার, ২:৪৯ অপরাহ্ন
পশ্চিমবঙ্গে চাকরির আকালের মাঝেই বন্ধ হয়ে গেল তারাতলার জনপ্রিয় ব্রিটানিয়া বিস্কুট কারখানা। জানা গেছে মে মাস থেকেই এই কারখানায় উৎপাদন বন্ধ ছিল। এবার একেবারেই ঝাঁপ পড়ল কারখানার। এতে নিমিষে কর্মহীন হয়ে পড়লেন বহু শ্রমিক। কোম্পানির তরফে কারখানা বন্ধের কারণ স্পষ্ট করে জানানো হয়নি। বিষয়টি নিয়ে কথা বলতে চাইছেন না কর্মীরা। স্থায়ী কর্মীদের ১৩ লাখ টাকা থেকে ২২ লাখ টাকা পর্যন্ত ক্ষতিপূরণ দিয়েছে তারাতলার ব্রিটানিয়া কোম্পানি। ১০ বছর বা তার বেশি সময় ধরে কাজ করা কর্মীরা সবথেকে বেশি টাকা পেয়েছেন, ২২ লাখ ২৫ হাজার টাকা। ছ থেকে দশ বছরের নীচে যারা চাকরি করেছে, তাদেরকে ১৮ লাখ ৭৫ হাজার টাকা দিয়েছে কোম্পানি। আর তারও কম সময়ে যারা কর্মরত ছিল তারা ১৩ লাখ ২৫ হাজার টাকা করে পেয়েছে। ২০০৪ সাল থেকে এই কোম্পানি ক্যাজুয়াল স্টাফ নেওয়া শুরু করে। বর্তমানে এই কোম্পানিতে ২৫০ জন অস্থায়ী কর্মী রয়েছেন। এদিকে অস্থায়ী কর্মীদের অভিযোগ, তাদের ক্ষতিপূরণ দেয়া হয়নি এবং দেওয়া হবে বলে কোনও আশ্বাস দেয়নি কর্তৃপক্ষ। ব্রিটানিয়া বিস্কুটের কারখানায় তালা ঝুলতেই রাজ্য সরকারকে খোঁচা দিয়েছেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। তার কথায়, 'পশ্চিমবঙ্গে তৃণমূলের জমানায় কোনও নতুন শিল্প-কারখানা হবে না। উল্টে যা কিছু বেঁচে রয়েছে সেগুলো বন্ধ হয়ে যাবে।' তারাতলায় ব্রিটানিয়া বিস্কুটের কারখানা বন্ধ হওয়া নিয়ে সুকান্তর মন্তব্য, 'এটা নতুন কিছু নয়, আগামী দিনে আরও হবে। যে রাজ্যে তৃণমূল কংগ্রেসের মত দল রাজ্য পরিচালনা করে সেখানে শিল্প-কর্মসংস্থান হতে পারে না। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের যে শিল্প বিরোধী ছবি তৈরি হয়েছে গোটা দেশজুড়ে তাতে করে শিল্পপতিরা বুঝে গেছেন পশ্চিমবঙ্গে এসে তাদের লাভ নেই।' এই বিষয়ে সিপিএম নেতা শমীক লাহিড়ীর মন্তব্য, একদিকে তোলাবাজির জন্য রাজ্যে সমস্ত শিল্প কারখানা বন্ধ হয়ে যাচ্ছে অন্যদিকে 'মাননীয়া মুখ্যমন্ত্রী ' ঘটা করে শিল্প সম্মেলন করে চলেছেন। ভারতের অন্যতম বড় খাবার প্রস্তুতকারী সংস্থা ব্রিটানিয়ার পশ্চিমবঙ্গে তৃতীয় বৃহত্তম মার্কেট ছিল । বছরে ৯০০ কোটি টাকার বেশি লাভ করে এই কোম্পানি। তবে তারাতলার কারখানা বন্ধ হলেও বিস্কুট উৎপাদনের কাজে কোনও ব্যাঘাত ঘটবে না বলে কোম্পানির এক আধিকারিক দাবি করেছেন।
পাঠকের মতামত
বয়কটের প্রভাব কি?