ভারত
ছেলে সিদ্ধার্থর বিয়েতে হাজির 'ফেরার' শিল্পপতি বিজয় মাল্য
সেবন্তী ভট্টাচার্য্য , কলকাতা থেকে
(১০ মাস আগে) ২৪ জুন ২০২৪, সোমবার, ১:৪৭ অপরাহ্ন
সর্বশেষ আপডেট: ১২:২৯ পূর্বাহ্ন

দীর্ঘদিনের প্রেমিকার সঙ্গে সাতপাকে বাঁধা পড়লেন ভারত থেকে ফেরার শিল্পপতি বিজয় মাল্যর ছেলে সিদ্ধার্থ মাল্য। ক্রিশ্চান রীতি মেনে প্রেমিকা জেসমিনের সঙ্গে সাতপাকে বাঁধা পড়লেন তিনি। ছেলের বিয়েতে দেখা মিলল পলাতক, ঋণখেলাপী ব্যবসায়ী বিজয় মাল্যরও। তাদের বিয়ের প্রথম ছবি তার সমাজমাধ্যমে শেয়ার করেন জেসমিন। ছবিতে জেসমিনকে একটি সাদা বিয়ের গাউনে দেখা গেছে এবং সিদ্ধার্থকে কালো জ্যাকেটে। ছবিতে দম্পতির দুটি হীরার আংটিও দেখা যাচ্ছে। জেসমিন তার ইনস্টাগ্রাম স্টোরিতে তার এবং স্বামীর হাতের বিয়ের আংটির ছবিটি পোস্ট করার সময় ক্যাপশনে লেখেন, ‘চিরকালের জন্য’। পলাতক ভারতীয় ব্যবসায়ী বিজয় মাল্যর ছেলে সিদ্ধার্থ ক্যালিফোর্নিয়ার লস এঞ্জেলেসে জন্মগ্রহণ করেন। লন্ডন ও সংযুক্ত আরব আমিরশাহিতে তিনি বড় হয়েছেন। ওয়েলিংটন কলেজ এবং লন্ডনের কুইন মেরি বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনা করেছেন। এরপর তিনি রয়্যাল সেন্ট্রাল স্কুল অফ স্পিচ অ্যান্ড ড্রামায় যোগ দেন এবং মডেল ও অভিনেতা হিসেবে কাজ শুরু করেন। বলিউডের একাধিক অভিনেত্রীর সঙ্গে নাম জড়িয়েছিল সিদ্ধার্থের। ক্যাটরিনা কাইফ, সোনাল চৌহান, ফ্রিডা পিন্টো, সোফি চৌধুরির সঙ্গে তাঁকে ঘিরে গুঞ্জন ছড়ায়। তবে দীপিকা পাড়ুকোনের সঙ্গে সিদ্ধার্থের সম্পর্ক নিয়েই সবচেয়ে বেশি শোরগোল দেখা গিয়েছিল। রেস্তরাঁ, হোটেল, ক্রিকেটের মাঠেও একসঙ্গে যেতেন তারা। তবে সেসব এখন অতীত। ২০২৩ সালের হ্যালোউইনে রীতি মতো হাঁটুগেড়ে বসে প্রেমিকা জেসমিনকে জীবনসঙ্গী হওয়ার প্রস্তাব দেন তিনি। আঙুলে পরিয়ে দেন হিরার আঙটি। গত ১৮ জুন নিজের বিয়ের ঘোষণা করেন সিদ্ধার্থ। এক সপ্তাহ ধরে বিয়ের অনুষ্ঠান চলবে বলে জানান। সেই ছবিতেও ছিলেন জেসমিন। বিয়ের আসর বসেছিল হার্টফোর্ডশায়ারে বিজয় মাল্য ল্যান্ডওয়াক এটেস্টে। জাঁকজমকপূর্ণ এই বিয়েতে উপস্থিত ছিলেন ঘনিষ্ঠ বন্ধুবান্ধব ও তাদের পরিবারের অন্যান্য সদস্যরা। ২০১২ সালে দেউলিয়া হয়ে যায় বিজয় মাল্যর সংস্থা কিংফিশার এয়ারলাইন্স। ব্যাংকের ঋণখেলাপির অভিযোগ ওঠে তার বিরুদ্ধে। সেই মামলার তদন্ত করছে ইডি। সঙ্গে সিবিআই-ও। ২০১৬ সালে দেশ ছাড়েন বিজয়। এখন ইংল্যান্ডেই থাকেন তিনি।
পাঠকের মতামত
ব্যবসা দেউলিয়া হলে ঋণ দেওয়ার পথ বন্ধ হয় । এটাকে ঋণ খেলাপি বলার সুযোগ নাই। কিন্ত বাংলাদেশে নামমাত্র ( কাগজে কলমে ) ব্যবসার নামে কোটি কোটি টাকার ঋণ নিয়েই যারা বিদেশে পাচার করে সেকেন্ড হোম থার্ড হোম, ফৌর্থ হোম করেছেন, ব্যবসাই করেন নি তারা কি ইচ্ছাকৃত ( ফেইক ) খেলাপি নয় ?