খেলা
‘শেষের পরীক্ষা’য় ইংল্যান্ড
সৌরভ কুমার দাস
১৫ জুন ২০২৪, শনিবার
প্রথম দুই ম্যাচ শেষে ঝুলিতে মাত্র ১ পয়েন্ট! ২ ম্যাচ বাকি থাকতেই আসর থেকে ছিটকে যাওয়ার শঙ্কা তৈরি হয়। এমন অবস্থায় শেষ দুই ম্যাচ শুধু জিতলেই হবে না, ব্যবধানও বড় থাকতে হবে। কঠিন মিশনে প্রথম কাজটা সফলভাবেই করেছে ইংল্যান্ড। তবে কাজ এখনও বাকি তাদের, শেষ ম্যাচে নামিবিয়ার বিপক্ষেও জিততে হবে দলটিকে। ইংল্যান্ড-নামিবিয়ার ম্যাচটি হবে স্যার ভিভিয়ান রিচার্ডস স্টেডিয়ামে আগামীকাল রাত ১১টায়।
অ্যান্টিগায় বৃহস্পতিবার আদিল রশিদ, জফরা আর্চার, মার্ক উডদের বিধ্বংসী বোলিংয়ে ওমানকে মাত্র ৪৭ রানে গুটিয়ে দেয় ইংল্যান্ড। পরে বাটলার, ফিল সল্টদের ঝড়ে মাত্র ৩.১ ওভারেই ম্যাচ জিতে নেয় তারা। টি-টোয়েন্টিতে সবচেয়ে কম বলে জয়ের রেকর্ড এটি। রেকর্ড গড়া এই জয়ে নেট রান রেটে বিশাল লাফ দিয়েছে ইংলিশরা। ম্যাচের আগে থাকা -১.৮০০ নেট রান রেটকে বাড়িয়ে +৩.০৮১ করে ফেলে তারা। যার কারণে সুপার এইটে খেলার সম্ভাবনাও অনেক বেড়ে গেছে তাদের। টেবিলের দুইয়ে থাকা স্কটল্যান্ডের চেয়ে রান রেট এখন ইংল্যান্ডের বেশি। ফলে আজ শেষ ম্যাচে নামিবিয়াকে হারালেই সুপার এইট প্রায় নিশ্চিত হয়ে যাবে জস বাটলারের দলের। তবে শেষ ম্যাচে স্কটল্যান্ডকে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে হারতে হবে। আবার বৃষ্টিতে পরিত্যক্ত হলেও বিদায় নিশ্চিত হবে ইংলিশদের।
এর আগে বৃষ্টির কারণে স্কটল্যান্ডের বিপক্ষে পরিত্যক্ত ও অস্ট্রেলিয়ার কাছে ৩৬ রানে হারের পর সমালোচকদের প্রশ্নবাণে জর্জরিত হতে হয় ইংলিশদের। ওমানের বিপক্ষে জয়ের পর পুরস্কার বিতরণ মঞ্চে সমালোচকদের একরকম জবাবই দিলেন বাটলার। তিনি বলেন, আজকের (গতকাল) কাজ শেষ। দুই দিনের মধ্যে আমাদের আরেকটি বড় ম্যাচ। আমি দীর্ঘ দিন ধরে খেলছি। তাই জানি এসব (সমালোচনা) কীভাবে কাজ করে, আপনারা কীভাবে নানান মন্তব্য করেন। তো ঠিক আছে। এগুলো আপনাদের কাজের অংশ। আমার সমস্যা নেই। আমরা জানি আমাদের ড্রেসিং রুমে কী অবস্থা। আমাদের দলের ওপর যথেষ্ট আত্মবিশ্বাস আছে। সামনে আরেকটি বড় ম্যাচ।
অন্যদিকে নামিবিয়ার জন্য এই ম্যাচটা স্রেফ নিয়মরক্ষার। ৩ ম্যাচে এক জয়ে দলটি আগেই প্রথম রাউন্ড থেকে ছিটকে পড়েছে। ফলে এই ম্যাচে তাদের হারানোর কিছু নেই। বাড়তি কিছু না পাওয়ার চাপ নামিবিয়াকে মানসিকভাবে উৎফুল্ল করতে পারে। ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়ন ইংল্যান্ডের বিপক্ষে এখনও টি-টোয়েন্টি খেলার সুযোগ পায়নি তারা। ফলে প্রথমবার ইংলিশদের বিপক্ষে এই সংস্করণে খেলার সুযোগ পেয়ে বাড়তি কিছু করে দেখাতে চাইবে দলটি। এই দলের সবচেয়ে শক্তি ডেভিড ভিসা। চলতি বিশ্বকাপে তারা এখন পর্যন্ত একটি ম্যাচই জিতেছে সেখানে ম্যাচ সেরা হয়েছেন তিনি।
ইংল্যান্ডের জন্য স্বস্তির জায়গা টপ অর্ডারের রানে ফেরা। এর আগের ম্যাচে তারা রান পাননি। তবে দলের গুরুত্বপূর্ণ সময়ে ফর্মে ফিরেছেন বাটলার-সল্টরা। প্রথম দুই ম্যাচে কিছুটা ছন্নছাড়া আর্চার এই ছন্দে ফিরেছেন। ওমানের বিপক্ষে নেন ৩ উইকেট। আর ফর্মের ধারাবাহিকতা ধরে রেখেছেন আদিল রশিদও। তারও এই ম্যাচে শিকার ৩ উইকেট। ইতিহাস, ঐতিহ্য ও শক্তি- সবকিছুতেই নামিবিয়ার চেয়ে যোজন যোজন এগিয়ে ইংলিশরা। ফলে এই ম্যাচে তারাই নিরঙ্কুষ ফেভারিট। কিন্তু চলতি বিশ্বকাপে বড় দলের বিপক্ষে ছোট দলগুলোর দাপট ইংলিশদের একেবারে নিশ্চিন্ত করবে না। বরং ফেভারিট তকমা নিয়ে মাঠে নামলেও থাকতে হবে সতর্ক।