অনলাইন
শিগগিরই আন্দোলন আরও বেগবান হবে: ফখরুল
স্টাফ রিপোর্টার
(৭ মাস আগে) ১২ জুন ২০২৪, বুধবার, ৫:২৩ অপরাহ্ন
সর্বশেষ আপডেট: ১২:২৯ অপরাহ্ন
খুব শিগগিরই গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারে চলমান আন্দোলন আরও বেগবান হবে বলে জানিয়েছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। বুধবার ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে বাংলাদেশের বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির উদ্যোগে দলটির ২০তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে ‘বাংলাদেশের গণতন্ত্র সংকট-উত্তরণের পথ’ শীর্ষক এক মতবিনিময় সভায় তিনি এ কথা বলেন।
বিএনপি মহাসচিব বলেন, আমরা সংগ্রাম করছি, লড়াই করছি, আমাদের ইতিমধ্যে অনেক অর্জন হয়েছে, সবচেয়ে বড় অর্জন হয়েছে, বিভিন্ন রাজনৈতিক দলগুলোতে একেকজনের একেক চিন্তা আছে, কেউ বাম চিন্তার, কেউ ডান চিন্তার আবার কেউ অতি বাম চিন্তার, সবগুলোকে মিলিয়ে আমরা আন্দোলনে একমত হয়েছি। আমরা সেই আন্দোলন শুরু করেছি, সেই আন্দোলন আমাদের এখনো চলছে, সেই আন্দোলন নি:সন্দেহে আরও বেগবান হবে খুব শিগগিরই।
বিরোধী রাজনৈতিক দলের ঐক্য একাট্টা উল্লেখ করে তিনি বলেন, আমরা সমস্ত রাজনৈতিকগুলোর আলোচনার ভিত্তিতে কাজ করেছি। আমরা ৩১ দফা দিয়েছি, সেই ৩১ দফাতে এদেশের প্রত্যেক মানুষের কথা বলা আছে, রাষ্ট্র কাঠামোর পরিবর্তনের কথা বলা আছে, অর্থনীতি কাঠামো পরিবর্তনের কথা বলা আছে, সবগুলো দিক সেখানে বলা আছে। এই ৩১ দফা এখন জনগণের মধ্যে ছড়িয়ে দিতে হবে। জনগণ একটা জিনিসে স্থির, সেটা হচ্ছে, তারা এই সরকারকে চায় না। এটা হচ্ছে মূল কথা। এটা আমাদেরকে বিশ্বাস করতে হবে।
তিনি বলেন, এখানে বাম-ডান সকলের সঙ্গে আমরা কথা বলেছি। অত্যন্ত আনন্দের সঙ্গে আমি বলি, এই আন্দোলনে কিন্তু কোনো রাজনৈতিক দলই এই সরকারের পক্ষে থাকেনি, তাদেরকে সমর্থন করেনি, এটা আন্দোলনের একটা বড় সাফল্য। কেউ নির্বাচনে যায়নি, একমাত্র এই জাতীয় পার্টি ছাড়া কেউ কিন্তু তথাকথিত সেই নির্বাচনে অংশ গ্রহণ করেনি।
তিনি আরও বলেন, আমি সবসময় বলি, হটকারি করার প্রয়োজন নেই, স্থান নেই। আমরা সবাই আলোচনা করে, সবাই একমত হয়ে আমরা এই সরকারকে সরাতে পারি, কিভাবে আমরা গণতন্ত্রকে পুনরুদ্ধার করতে পারি, ভোটের অধিকার ফিরিয়ে আনতে পারি, মানুষের অধিকার ফিরিয়ে আনতে পারি সেইলক্ষ্যে আমরা সংগ্রাম করছি, সেই লক্ষ্যে আমাদের সংগ্রাম করতে হবে।
বাংলাদেশের বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হকের সভাপতিত্বে কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য আকবর খানের সঞ্চালনায় সভায় জাতীয় পার্টির (কাজী জাফর) মোস্তফা জামাল হায়দার, নাগরিক ঐক্যের মাহমুদুর রহমান মান্না, গণসংহতি আন্দোলনের জোনায়েদ সাকি, গণফোরামের সুব্রত চৌধুরী, রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলনের হাসনাত কাইয়ুম, জেএসডির শহিদ উদ্দিন মাহমুদ স্বপন, এবি পার্টির এএফএম সোলায়মান চৌধুরী, জাতীয় মুক্তি কাউন্সিলের ফয়জুল হাকিম, ইসলামী আন্দোলনের মাওলানা আশরাফ আলী আখন্দ, জাতীয় দলের সৈয়দ এহসানুল হুদা, বিএলডিপির শাহাদাত হোসেন সেলিম, জাগপার রাশেদ প্রধান, গণঅধিকার পরিষদের একাংশের নুরুল হক নুর, অপর অংশের মিয়া মশিউজ্জামান প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।
হাসতে চাইছিলাম না হাসাইলেন!?