কলকাতা কথকতা
আবারও সংসদে সদর্পে পা রাখতে চলেছেন মহুয়া মৈত্র
সেবন্তী ভট্টাচার্য্য, কলকাতা থেকে
(৮ মাস আগে) ৪ জুন ২০২৪, মঙ্গলবার, ৫:৫৯ অপরাহ্ন
সর্বশেষ আপডেট: ১২:০৯ পূর্বাহ্ন

প্রথম থেকেই জয় নিয়ে আত্মবিশ্বাসী ছিলেন কৃষ্ণনগর লোকসভা কেন্দ্রের তৃণমূল প্রার্থ মহুয়া মৈত্র। গত বছরের ৮ ডিসেম্বর অপমানিত-লাঞ্ছিত হয়ে যখন সংসদ ছাড়তে হলো মহুয়াকে, তখন কণ্ঠে তুলে নিয়েছিলেন সুকান্ত-পঙক্তি। বলেছিলেন, ‘আদিম হিংস্র মানবিকতার যদি আমি কেউ হই, স্বজনহারানো শ্মশানে তোদের চিতা আমি তুলবই’। লড়াই থেকে কিন্তু মহুয়া সরেননি। নরেন্দ্র মোদি এবং গৌতম আদানিকে নিয়ে লোকসভায় বড় প্রশ্ন তুলেছিলেন মহুয়া। তারপর কী কী হয়েছে গোটা দেশ তার সাক্ষী থেকেছে। তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ ওঠে তিনি নাকি টাকা নিয়ে প্রশ্ন করেছিলেন। আরও অভিযোগ ছিল যে, তিনি সংসদের ওয়েবসাইটের লগ-ইন আইডি এবং পাসওয়ার্ড ফাঁস করে দিয়েছেন। সংসদের এথিক্স কমিটি বহিষ্কার করে তাঁকে।
বহিষ্কারের পর মহুয়া বলেছিলেন, ফিরে আসবেন। কথা রাখলেন মহুয়া। মহুয়া যখন শেষবেলায় দাপিয়ে প্রচার করছেন, সেই সময় আবার মহুয়ার অফিসে এবং কলকাতায় হানা দেয় কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। একদিকে তাঁর বিরুদ্ধে যখন সিবিআই তদন্ত করছিল, তখন নতুন করে চাপ তৈরি হয় এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট বা ইডির দায়ের করা মামলায়। মহুয়া মৈত্রের বিরুদ্ধে আর্থিক তছরূপের মামলা দায়ের করে ইডি। তারই সূত্র ধরে রাজ্যে একাধিক জায়গায় তল্লাশি চালায় কেন্দ্রীয় সংস্থা। বহিষ্কারের সময় মহুয়ার পাশে দাঁড়িয়ে ছিলেন ইন্ডিয়া জোটের তাবড় নেতারা। আর তাঁর দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তখনই বুঝিয়ে দিয়েছিলেন, কৃষ্ণনগর আসন থেকে ফের তাঁকেই প্রার্থী করবে দল। দলের মান রাখলেন মহুয়া। কৃষ্ণনগরে ভোটের ফলাফলের দিনে রিলাক্স মুডেই ছিলেন তৃণমূল প্রার্থী। সাইকেলে চেপে ঘোরেন সংসদীয় এলাকা। কৃষ্ণনগর বুঝিয়ে দিলো 'রাজবধূ' নয়, সুখ-দুঃখের সাথী মহুয়ায় মজে কৃষ্ণনগরের মন।