অনলাইন
বেনজীর, স্ত্রী ও মেয়ের বিও অ্যাকাউন্ট ফ্রিজের নির্দেশ
অর্থনৈতিক রিপোর্টার
(১ বছর আগে) ২৭ মে ২০২৪, সোমবার, ১০:৫৪ অপরাহ্ন
সর্বশেষ আপডেট: ১:০৬ পূর্বাহ্ন

সাবেক পুলিশ মহাপরিদর্শক (আইজিপি) বেনজীর আহমেদ, তার স্ত্রী জিশান মির্জা, বড় মেয়ে ফারহিন রিশতা বিনতে বেনজীর এবং ছোট মেয়ে তাহসিন রাইসা বিনতে বেনজীরের নামে বিভিন্ন সম্পত্তির দলিল, ঢাকায় ফ্ল্যাট ও কোম্পানির শেয়ার জব্দের (ক্রোক) আদালতের নির্দেশের পর পুঁজিবাজারের ইলেকট্রনিক্স শেয়ার সংরক্ষণাগার সেন্ট্রাল ডিপোজিটরি বাংলাদেশ লিমিটেডকে (সিডিবিএল) বেনজীর আহমেদ, তার স্ত্রী, বড় মেয়ে এবং ছোট মেয়ের নামে সকল বিও অ্যাকাউন্ট বা হিসাব (বেনিফিশিয়ারি ওনার্স অ্যাকাউন্ট) অবরুদ্ধ (ফ্রিজ) রাখতে নির্দেশ দিয়েছে নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটি অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)।
সোমবার এ সংক্রান্ত নির্দেশনা বিএসইসি থেকে পাঠানো হয়েছে বলে সিডিবিএল ও দুদক সূত্রে জানা গেছে। বিষয়টি দুদককেও অবহিত করা হয়েছে। এর ফলে অবরুদ্ধকরণ আদেশ কার্যকর থাকা অবস্থায় অর্থ অবরুদ্ধ অ্যাকাউন্টগুলোতে জমা করা যাবে না বা কোনো অবস্থাতেই উত্তোলন করা যাবে না।
ড্রাগন সিকিউরিটিজ লিমিটেডে বেনজীর আহমেদের বিও হিসাব রয়েছে। সাউথইস্ট ব্যাংক ক্যাপিটাল সার্ভিসেস লিমিটেড ও ইবিএল সিকিউরিটিজ লিমিটেডে তার স্ত্রী জিশান মির্জা, ইবিএল সিকিউরিটিজ লিমিটেডে তার বড় মেয়ে ফারহিন রিশতা বিনতে বেনজীর এবং ডাইনেস্টি সিকিউরিটিজ লিমিটেডে তার ছোট মেয়ে তাহসিন রাইসা বিনতে বেনজীরের নামে বিও হিসাব রয়েছে।
বিও হিসাব অবরুদ্ধকরণ প্রসঙ্গে বিএসইসির নির্দেশনায় উল্লেখ করা হয়, মহানগর সিনিয়র স্পেশাল জজ কোর্টের সংশ্লিষ্ট আদেশের প্রেক্ষিতে ৫টি ব্রোকারেজ হাউজে ৬টি বিও হিসাব পরবর্তী আদেশ না দেয়া র্পন্ত অবরুদ্ধ কার নির্দেশ দেয়া হলো। বিজ্ঞ আদালতের আদেশ মোতাবেক উক্ত হিসাবগুলোর ওপর অবরুদ্ধকরণ আদেশ কার্যকর থাকা অবস্থায় অর্থ উত্তোলন করা যাবে না।
২৬শে মে সাবেক পুলিশপ্রধান বেনজীর আহমেদের নামে, তার স্ত্রীর নামে ও মেয়ের নামে থাকা ১১৯টি স্থাবর ও অস্থাবর সম্পত্তি ক্রোকের নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। এগুলোর মধ্যে রয়েছে— রাজধানীর গুলশানে ৪টি ফ্ল্যাট, সাভারের একটি জমি; বাকি ১১৪টি সম্পত্তি রয়েছে মাদারীপুর জেলায়। এর আগে গত ২৩ মে ৮৩টি দলিলে ক্রয়কৃত সম্পত্তি ক্রোক করা হয়। সেই সঙ্গে ৩৩টি ব্যাংক অ্যাকাউন্ট ও তার সিকিউরিটিজের (শেয়ার) টাকা অবরুদ্ধ করা হয়।
গত ২২শে এপ্রিল পুলিশের সাবেক আইজিপি বেনজীর আহমেদের দুর্নীতির অনুসন্ধান চেয়ে হাইকোর্টে রিট দায়ের করা হয়।
পাঠকের মতামত
উনার মুচকি হাসি দেখে মনে হয় কোন রহস্য লুকিয়ে আছে । এসব কোন নাটক নয় তো ?
সর্বোচ্চ স্বচ্ছতা, নিরপেক্ষতা ও পেশাদারিত্বের সাথে সকল দুর্নীতি ও অন্যান্য সমস্ত অন্যায়ের বিষয়ে বস্তুনিষ্ঠ তদন্ত সাপেক্ষে যথাযথ ব্যবস্হা নিতে হবে রাষ্ট্রযন্ত্রকে। কেননা, এই দেশ আমাদের সকল নাগরিকদের।
সৎ মানুষ,সততা ও নিসঠার প্রতিকৃতি
শুধু শুধু কেন ফ্রীজে রাখছেন দাদা । ওভেনে গরম করে সুন্দর করে তাড়াতাড়ি দিয়ে দেন ।
দৃষ্টান্তমুলক শাস্তির আওতায় আনা হউক
এক জীবনে কত টাকা, কত সম্পদ লাগে ?? ইজ্জতের চেয়ে এদের কাছে টাকা ও সম্পদের মূল্য বেশি।
ভাগ না দিয়ে একা একা সব খেতে হয় না, ভাগ দিয়ে খেলে আজ এ অবস্থায় পড়তে হতো না হয়তো !!!
জব্দ সম্পদ ও টাকা দিয়ে সারা দেশে কৃষকদের ফ্রি বীজ আর কীটনাশক দেয়া হোক।
এতো প্রিয়ভাজন ব্যাক্তিটি কেন এতো বিরাগভাজনে পরিণত হলেন খুব জানতে ইচ্ছে করে না সম্পদ এতো বেশি লুটেছেন যে ভবিষ্যতে যেনো প্রিয় মানুষটা বিপদে না পড়ে সেজন্য বৈধতার সার্টিফিকেট দেওয়া হবে কারণ রসুনের সবগুলো খোয়াতো একই শিকড়ে গাঁথা।
''প্রাচুর্যের প্রতিযোগিতা তোমাদেরকে মোহাচ্ছন্ন রাখে; যতক্ষন না তোমরা কবরে উপনীত হও। ইহা সংগত নয়, তোমরা শিঘ্রই উহা জানতে পারবে; আবার বলি ইহা সংগত নয়, তোমরা শিঘ্রই উহা জানতে পারবে। সাবধান, তোমাদের নিশ্চিত জ্ঞান থাকলে অবশ্যই তোমরা মোহাচ্ছন্ন হতে না''। সূরা তাকাছুর ১০২ঃ ১-৫।