খেলা
টপ অর্ডার যেন তাসের ঘর!
স্পোর্টস ডেস্ক
২৫ মে ২০২৪, শনিবার
টি-টোয়েন্টিতে বাংলাদেশ ব্যাটিংয়ে নামলে শুরুতেই উইকেট পড়বে এটা যেন অলিখিত নিয়ম হয়ে দাঁড়িয়েছে। প্রায় প্রতি ম্যাচেই পাওয়ার প্লের মধ্যেই টপ অর্ডার ড্রেসিংরুমে ফেরায় শুরুতেই চাপে পড়ে দল। টপ অর্ডার যেন তাসের ঘর! এটা আরও স্পষ্ট হয় পরিসংখ্যানের দিকে তাকালে, শেষ ১০ ম্যাচে বাংলাদেশ উইকেটবিহীন পাওয়ার প্লে পার করেছে মাত্র ২ ম্যাচে। আগামী ২রা জুন (বাংলাদেশ সময়) পর্দা উঠবে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের নবম আসরের। এর আগে সহ আয়োজক যুক্তরাষ্ট্রের বিপক্ষে ৩ ম্যাচের সিরিজ খেলছে বাংলাদেশ। যেখানে ১ ম্যাচ হাতে রেখে সিরিজ হারা টাইগার ব্যাটারদের ব্যর্থতা ফুটে উঠেছে। চলতি সিরিজের প্রথম ম্যাচে বাংলাদেশ প্রথম পাওয়ার প্লেতে হারায় ২ উইকেট। এরপর দ্বিতীয় ম্যাচেও হারায় সমান সংখ্যক উইকেট। পাওয়ার প্লেতে একাধিক উইকেট হারানো টাইগারদের জন্য নিয়মিত দৃশ্য।
এর আগে ঘরের মাঠে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ৫ ম্যাচের সিরিজে ৪ ম্যাচেই পাওয়ার প্লেতে একাধিক উইকেট হারায় টাইগাররা। এর আগে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে সিরিজের শেষ ম্যাচে পাওয়ার প্লের মধ্যে ফেরেন ৫ ব্যাটার। শেষ ১০ ম্যাচের ৮ ম্যাচেই পাওয়ার প্লের মধ্যে ওপেনাররা আউট হয়েছেন। ফলে পাওয়ার প্লেতে দ্রুত রান তোলার সুযোগ কোনোভাবেই নিতে পারছে না বাংলাদেশ। বরং টপ অর্ডার দ্রুত ফেরার পরে মিডল অর্ডার ব্যাটারদের এসে ধ্বস থামাতে হচ্ছে। এতে করে বড় সংগ্রহ গড়া বা তাড়া করা, দুটোতেই ব্যর্থ হচ্ছে টাইগাররা।
সবকিছু ঠিক থাকলে আসন্ন বিশ্বকাপে বাংলাদেশ দলের হয়ে ওপেন করতে পারেন তানজিদ হাসান তামিম ও সৌম্য সরকার। এই দুজনের একজনের জায়গায় দেখা যেতে পারে লিটন কুমার দাসকেও। আর তিন নম্বরে ব্যাটিং করবেন অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত। সাম্প্রতিক সময়ে তিনজনই রান খরায় ভুগছেন।
সৌম্য সরকার এখন পর্যন্ত টি-টোয়েন্টি খেলেছেন ৮২টি। ৫ ফিফটির সর্বশেষটি এসেছে প্রায় তিন বছর আগে। টানা ২৫ ইনিংস ফিফটি নেই। এই সময়ে ব্যাটিং গড় ১১.১২। স্ট্রাইক রেট ১০৫.৭০। চলতি সিরিজে দুই ম্যাচে এক ডাকসহ রান করেছেন ২০।
আরেক ওপেনার লিটন কুমার দাস তো এখন নিয়মিত একাদশ থেকে বাদ পড়ছেন। টানা ১১ ইনিংস ফিফটি নেই তার। সবশেষ ফিফটি এসেছে গত বছরের মার্চে। এই সময়ে ব্যাটিং গড় ১৯.২০। স্ট্রাইক রেট ১০০.৫২। অধিনায়ক শান্ত ব্যাটিং ৩ নম্বরে, দলের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ পজিশন। অথচ তাকে দেখলে মনে হয় জলের মাছ মাটিতে উঠে খাবি খাচ্ছে। টানা আট ইনিংসে ফিফটি নেই তার। এই সময়ে ব্যাটিং গড় ১৫.১২। স্ট্রাইক রেট ৯৩.৭৯। আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টি ক্যারিয়ারে ৩৭ ইনিংস খেলে স্ট্রাইক রেট ১০৯.৬৪।
টি-টোয়েন্টিতে বড় সংগ্রহ পেতে বা বড় লক্ষ্য তাড়া করতে টপ অর্ডারের উড়ন্ত শুরু এনে দেওয়ার বিকল্প নেই। অথচ সেখানেই পিছিয়ে টাইগাররা। এর আগে একাধিক সময়ে দলের কোচদের মুখেও পাওয়ার প্লে ব্যাবহার না করতে পারার আক্ষেপ শোনা গেছে। শেষ ৫ বিশ্বকাপেই এমন ধারাবাহিকতা চলে আসছে। এ সময়ে পাওয়ার প্লেতে বাংলাদেশি ব্যাটারদের স্ট্রাইক রেট ৯৮.৩৩।