শেষের পাতা
রায়পুরায় প্রার্থীকে পিটিয়ে হত্যা, নির্বাচন স্থগিত
রায়পুরা (নরসিংদী) প্রতিনিধি
২৪ মে ২০২৪, শুক্রবারভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থীকে হত্যার জেরে তৃতীয় ধাপে ২৯শে মে অনুষ্ঠেয় নরসিংদীর রায়পুরা উপজেলা পরিষদ নির্বাচন স্থগিত করেছে নির্বাচন কমিশন। রায়পুরার পাড়াতলীতে প্রতিপক্ষের হামলায় সুমন মিয়া নামে এক ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী নিহত হন। পরিস্থিতি বিবেচনায় নির্বাচন স্থগিতের ঘোষণা দিয়েছে নির্বাচন কমিশন। বৃহস্পতিবার নির্বাচন পরিচালনার দায়িত্বে নিয়োজিত উপ-সচিব মো. আতিয়ার রহমান স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়। ঢাকা অঞ্চলের অতিরিক্ত নির্বাচন কর্মকর্তা এবং রায়পুরা উপজেলা নির্বাচনে রিটার্নিং কর্মকর্তা মো. মোশারফ হোসেন বলেন, তালা প্রতীকের ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী সুমন মিয়া নিহতের ঘটনায় নরসিংদীর রায়পুরা উপজেলায় সকল পদে নির্বাচন স্থগিত করেছে নির্বাচন কমিশন।
এর আগে বুধবার বিকালে রায়পুরা চরাঞ্চলে গণসংযোগকালে ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী মো. সুমন মিয়ার সঙ্গে মুখোমুখি সংঘর্ষ হয় অপর ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী আবিদ হাসান রুবেলের। এসময় তালা প্রতীকের প্রার্থী সুমন মিয়াকে (৪০) পিটিয়ে হত্যা করেছে প্রতিপক্ষ চশমা প্রতীকের প্রার্থী আবিদ হাসান রুবেল ও তার সমর্থকরা। স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, বুধবার মো. সুমন মিয়া উপজেলার চরাঞ্চল পাড়াতলী ইউনিয়নের মিরেরকান্দিতে গণসংযোগে যান। তার গাড়িবহর দুপুরে মিরেরকান্দি এলাকায় পৌঁছালে প্রতিপক্ষ আবিদ হাসান রুবেলের সমর্থকদের সঙ্গে মুখোমুখি হয়। তখন উভয় প্রার্থীর সমর্থকদের মাঝে সংঘর্ষ ও গোলাগুলি হয়। এসময় রুবেলের সমর্থকদের হামলায় গুরুতর আহত হন মো. সুমন মিয়া। পরে খবর পেয়ে পুলিশ চরাঞ্চল থেকে এম্বুলেন্সযোগে পুলিশি প্রহরায় গুরুতর আহত অবস্থায় সুমনকে রায়পুরা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে এলে ডাক্তাররা তাকে মৃত ঘোষণা করেন। তার মৃত্যুতে গোটা রায়পুরায় থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে। অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন রয়েছে। মো. সুমন মিয়া চরসুবুদ্ধি ইউনিয়নের চেয়ারম্যান নাসির উদ্দিন আহমেদের ছেলে। তিনি রায়পুরা উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে তালা প্রতীক নিয়ে ভাইস চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছিলেন। তিনি একসময় নরসিংদী সরকারি কলেজ শাখা ছাত্রলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ছিলেন। রায়পুরা উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে পাঁচজন, ভাইস চেয়ারম্যান পদে তিনজন এবং নারী ভাইস চেয়ারম্যান পদে দুই প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছিলেন।
নির্বাচন মানেই খরচ, আর এই খরচের টাকা কোথা থেকে আসবে সেটাও হয়ত অনেকের জানা নেই। প্রার্থীদের প্রচার-প্রচারণায় গেলেই হরদমে খরচ শুরু হয়। এক কথায় নির্বাচনের প্রতিটি কাজের আয়োজনেই মিশে আছে খরচ। খরচের এই বিষয়টি মাথায় রেখেই নির্বাচন কমিশন প্রতিটি প্রার্থীর জন্য খরচের পরিমাণ নির্ধারণ করে দিয়েছেন। নির্বাচন কমিশন একজন প্রার্থীর ব্যয় সীমা নির্ধারণ করলেও বাস্তবে সে খরচ আরও অনেক বেশি। প্রার্থীদের এতো টাকা কোথা হতে আসে বা তারা কিভাবে এই টাকা ব্যয় করবেন? এ বিষয়ে বিশ্লেষকরা বলেন, নির্বাচনে সাধারণত দুই ধরণের খরচ রয়েছে একটি প্রকাশ্য এবং অপরটি গোপনে। মনোনয়ন প্রাপ্তির পর নির্বাচনী প্রচারণার জন্য প্রার্থীকে যেমন টাকা খরচ করতে হয়, তেমনি অভিযোগ রয়েছে অনেক প্রার্থী আছেন যারা মনোনয়ন পাবার জন্য বড় অংকের টাকাও খরচ করেন। রাজনৈতিক দলগুলোর প্রকাশ্য আয় ব্যয়ের বাইরেও অনেক লেনদেন রয়েছে। আমার মনে হয়না রাজনৈতিক দলের যে অর্থায়ন এ ব্যাপারে কোন রকম স্বচ্ছতা আছে। এটা অদৃশ্যভাবে ঘটে। এখানে টাকার খেলা বিভিন্নভাবে হয়। মনোনয়ন বাণিজ্যের মাধ্যমে টাকার খেলা হয়, ভোট কেনার মাধ্যমে টাকার খেলা হয়। এবং আপনাকে একদল কর্মী পালতে হয়। দিনের শেষে আমাদের দেশের মানুষ কি পাই? কেনো এত সুন্দর মানুষজন মারা যান? তাদের পরিবার পরিজন কি পাই? আমরা কি অন্য কোন পেশা বেছে নিতে পারি না? সুন্দর করে নিজের পরিবার চালান এবং পাশের বাড়ির মানুষের সেবা করুন. তবে কখনোই অন্যের ক্ষতি করবেন না.