বিশ্বজমিন
শান্তিরক্ষা মিশনে নিয়োগ নিয়ে সতর্ক জাতিসংঘ
মানবাধিকার লঙ্ঘনকারীদের বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত হলে মিশন থেকে বাদ দেয়া হবে
মানবজমিন ডেস্ক
(৩ সপ্তাহ আগে) ২৩ মে ২০২৪, বৃহস্পতিবার, ১:০২ অপরাহ্ন
সর্বশেষ আপডেট: ১০:২৩ পূর্বাহ্ন
![mzamin](uploads/news/main/111106_sti.webp)
চরম মানবাধিকার লঙ্ঘনে জড়িত আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কর্মকর্তাদের শান্তিরক্ষা মিশনে পাঠানো নিয়ে ডয়চে ভেলের রিপোর্ট প্রকাশের পর নড়েচড়ে বসেছে জাতিসংঘ। বুধবার নিয়মিত ব্রিফিংয়ে জাতিসংঘ বলেছে তাদের অবস্থান খুব স্পষ্ট। শান্তিরক্ষা মিশনে নিয়োগপ্রাপ্তরা যেন সততা এবং দক্ষতার মানদণ্ডে উত্তীর্ণ হয় তা নিশ্চিতে জাতিসংঘ মহাসচিব প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। জাতিসংঘ মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরাঁর মুখপাত্র স্টিফেন ডোজাররিক বলেছেন, শান্তিরক্ষা মিশনে নিয়োজিতদের বিরুদ্ধে মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগ প্রমাণিত হলে মিশন থেকে বাদ দেয়া হবে।
ব্রিফিংয়ে ডয়েচে ভেলের রিপোর্টের কথা উল্লেখ করে একজন সাংবাদিক জানতে চান- ডয়চে ভেলের সাম্প্রতিক প্রকাশিত এক অনুসন্ধানী রিপোর্টে বলা হয়েছে, নির্যাতন এবং বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ডসহ চরম মানবাধিকার লঙ্ঘনে জড়িত আইনশৃঙ্খলাবাহিনীর কর্মকর্তাদের জাতিসংঘের শান্তিরক্ষা মিশনে পাঠাচ্ছে বাংলাদেশ এবং শ্রীলঙ্কা। বিশেষ করে বাংলাদেশ থেকে মানবাধিকার লঙ্ঘনে জড়িত অসংখ্য কর্মকর্তাকে শান্তিরক্ষা মিশনে পাঠানো হয়েছে। কোনো ক্ষেত্রে পুরস্কার স্বরূপ এদের অনেককে পাঠায় সরকার। জাতিসংঘ মহাসচিব কী এ বিষয়ে অবগত?
জবাবে ডোজাররিক বলেন- হ্যাঁ। ডয়চে ভেলের ডকুমেন্টারি আমরা দেখেছি। আপনি হয়তো জানেন যে, শান্তিরক্ষা মিশনে আমাদের সহকর্মীরা এ বিষয়টি নিয়ে কাজ করে যাচ্ছেন। তারা রিপোর্ট নিয়ে (খবর প্রকাশকারী মিডিয়াকে) জাতিসংঘের তরফে বিবৃতি দিয়েছেন।
এরপর একই বিষয়ে ওই সাংবাদিক জানতে চান- শান্তিরক্ষা মিশনে কর্মকর্তা নিয়োগের সময় স্বাগতিক দেশগুলো যাচাই-বাছাইয়ের কাজ করছে। কিন্তু যে দেশ শান্তিরক্ষা মিশনে লোক পাঠাবে সে দেশের সরকার যদি নিজেই চরম পর্যায়ের মানবাধিকার লঙ্ঘনকারী হয় তাহলে এ বাছাই প্রক্রিয়া কীভাবে স্বচ্ছ হবে?
জবাবে মুখপাত্র ডোজাররিক বলেন- আমরা বাছাই প্রক্রিয়া তিন ধাপে সম্পন্ন করি। প্রথম পর্যায়ে বাছাই হয় ব্যক্তিগত মানদণ্ডে, পরের ধাপে বাছাই কাজটা করে স্বাগতিক দেশ এবং অন্য বাছাই প্রক্রিয়াটা হয় জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক হাইকমিশনারের অফিস থেকে। তিনি বলেন- আপনাকে বলবো, বিগত বছরগুলোতে আমরা দেখেছি, খুব অল্প সংখ্যক দেশ থেকে শান্তিরক্ষীদের মানবাধিকার লঙ্ঘনের ব্যাপারে অভিযোগ পেয়েছি। যখনি এ ধরনের ঘটনা ঘটে তখনি আমাদের শান্তিরক্ষা মিশনের সহকর্মীরা যাচাই-বাছাই নীতি, কর্ম কৌশল অনুসারে শান্তিরক্ষী পাঠানো দেশের সঙ্গে কথা বলে যথাযথ পদক্ষেপ গ্রহণ করে থাকেন। এধরনের ঘটনার (মানবাধিকার লঙ্ঘন) কারণে শান্তিরক্ষা মিশনে অংশ নেওয়া জড়িত কর্মকর্তার নিয়োগ বাতিল হতে পারে। এছাড়া অভিযোগ প্রমাণিত হলে জড়িতদের মিশন থেকে সরিয়ে দেয়া হবে।
উল্লেখ্য, গত ২১ মে "মানবাধিকার লঙ্ঘনকারীরা যখন জাতিসংঘের শান্তিরক্ষী" শিরোনামে একটি রিপোর্ট প্রকাশ করেছে ডয়চে ভেলে। রিপোর্টে বলা হয়েছে, “বাংলাদেশ এবং শ্রীলঙ্কা নির্যাতন ও হত্যার সঙ্গে জড়িত কর্মকর্তাদের জাতিসংঘের শান্তিরক্ষা মিশনে পাঠিয়েছে।”
পাঠকের মতামত
Bangladesh force do not deserve to be part if peace keepers. They killed people and ruined my life as the eye witness of their extra judicial killing. There was a director of RAB (major) who tried to crossfire me as well in 2018.
গত শুক্রবারেও তাদের হেফাজতে নারীর মৃত্যু হয়েছে কিশোরগঞ্জের। দেশের ভাবমূর্তি রক্ষার্থে সংযম কাম্য। মিশনে হোক আর যেখানেই হোক দিন শেষে আমরাই দুর্নামগ্রস্ত হই। আমাদেরই প্রাণহানি হয়। সমূহ অপূরনীয় ক্ষতি সাধিত হয়। যখন শান্তিরক্ষা মিশনে আমাদের সুনাম ছিলো। কতোই না তৃপ্তি পেয়েছি। অহংকার হয়েছে বাংঙ্গালী বলে। আর আজ! আফসোস।
বাংলাদেশ মানবাধিকার লংঘনকারী দেশ হিসেবে প্রথম রাউন্ডে আছে।
বাংলাদেশে মানবতা মানবাধিকার মৌলিক অধিকার গণমাধ্যমে স্বাধীনতা বলে এখন কিছু আর নেই যারা গণতন্ত্রের সূত্র তাদের বিরুদ্ধে জাতিসংঘ ব্যবস্থা যাতে না এটাই আশা করে বাংলাদেশের জনগণ
মানবাধিকার লঙ্ঘনকারীদের বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত হলে মিশন থেকে বাদ দেয়া হবে বাংলাদেশ এক নম্বরে মানবাধিকার লঙ্ঘনকারী দেশ। মানবাধিকার,গণতন্ত্র,বিচার পুরাপুরি অনুপস্থিত।
এতদিনে ঘুম ভাঙ্গিল জাতিসংঘের! অথচ কথিত আছে ২০০৬ সালে এই একই ইস্যুতে এক দমকে বি এন পি সরকার কাবু হয়ে গিয়েছিল !
বাংলাদেশকে হয় রাশিয়া হতে হবে অথবা উত্তর কোরিয়া।
বাংলাদেশকে হয় রাশিয়া হতে হবে অথবা উত্তর কোরিয়া। অথচ আমরা একটি দেশের তাবেদারী করেই বিশ্ব শক্তিকে টেক্কা দেয়ার স্বপ্ন দেখেই যাচ্ছি। একের পর এক এদেরকে খোচা দেয়ার মত সিদ্ধান্ত নিচ্ছি।
মানবাধিকার লঙ্ঘনকারীদের বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত হলে মিশন থেকে বাদ দেয়া হবে বাংলাদেশ এক নম্বরে মানবাধিকার লঙ্ঘনকারী দেশ। মানবাধিকার,গণতন্ত্র,বিচার পুরাপুরি অনুপস্থিত।
যাছাই বাছাই করতে করতেই আমেরিকা আর জাতিসংঘের যুগের পর যুগ চলে যায়---- মাঝখান থেকে মানবাধিকার বিচার ন্যায়নীতি লংঘনকারীরা তাদের ইপ্সিত লক্ষ্য পূরণ করে চলে যায়। বাংলাদেশ অনেক ক্ষমতাবান তাই আমেরিকা জাতিসংঘের নিয়ম নীতি আইন কানুন এর তোয়াক্কা করে না। তা নাহলে সীমাহীন দুর্নীতি আর মানবাধিকার আইন লংঘনের কারণে বাংলাদেশের পুলিশ প্রধান সেনাবাহিনীর প্রধান ভিসা নিষেধাজ্ঞায় পড়তো না। এসব জাতিসংঘ দেখে না দেখার চেষ্টাও করে না। তাদের অতীত বর্তমান কর্মকান্ডই তার প্রমান।
এর অর্থ হচ্ছে অভিযোগ প্রমাণিত এন্ড বাম্বু কামিং !!!!
Right Decision
মানবাধিকার লঙ্ঘনকারীদের বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত হলে মিশন থেকে বাদ দেয়া হবে বাংলাদেশ এক নম্বরে মানবাধিকার লঙ্ঘনকারী দেশ। বাংলাদেশ মানবাধিকার,গণতন্ত্র,বিচার পুরাপুরি অনুপস্থিত।
জাতিসংঘ ফিলিস্তিনিদের উপর অত্যাচার মনে হয় চোখে দেখে না। সবচেয়ে বড় কথা হলো, জাতিসংঘ তো কারোর একার নয়। সেখানে বাংলাদেশ কেও মোটা অংকের চাদা দিতে হয়।