খেলা
টি-টোয়েন্টি খেলার ক্যাপাসিটি নেই শান্ত, লিটন, সৌম্যের
ইশতিয়াক পারভেজ
২৩ মে ২০২৪, বৃহস্পতিবারগেল বছর ভারতে ওয়ানডে বিশ্বকাপে দলের ভরাডুবির পর প্রধান কোচ হাথুরুসিংহে কি বলেছিলেন মনে আছে কি! তিনি সেই সময় অজুহাত হিসেবে বলেছিলেন দলটি তার নয়। মাত্র ৭ মাস আগে দায়িত্ব নেয়াতে তিনি তেমন কোনো উন্নতিও করতে পারেননি। তবে যুক্তরাষ্ট্র-ওয়েস্ট ইন্ডিজ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের আগে অনেক সময় পেয়েছেন। জানা গেছে, নির্বাচকদের ইচ্ছার মূল্যায়ন না করেই নিজের পছন্দের স্কোয়াড সাজিয়েছেন তিনি। যেখানে তার প্রিয় দুই ক্রিকেটার সৌম্য সরকার ও লিটন দাসকে রাখা হয়েছে। যারা কিনা ফর্মে নেই গেল এক বছর ধরে। তাদের নানা আন্তর্জাতিক সিরিজে খেলিয়ে ফর্মে ফেরানো চেষ্টা করা হয়েছে। বিশ্বকাপ শুরুর আগে সহ আয়োজন যুক্তরাষ্ট্রের বিপক্ষে তিন ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজ। আইসসিসি’র সহযোগী এই দলের বিপক্ষে সিরিজের প্রথম ম্যাচে বাংলাদেশ হেরেছে ৫ উইকেটে। এই হার নিয়ে আছে নানা প্রশ্ন। এর মধ্যে অন্যতম- কোন পথে আছে বাংলাদেশ ক্রিকেট? এমন হারে ভীষণভাবে হতাশ গোটা বাংলাদেশ। যুক্তরাষ্ট্রের বিপক্ষে এমন হার কি প্রত্যাশিত ছিল? এ নিয়ে দেশের অভিজ্ঞ কোচ, ক্রিকেট বিশ্লেষক ও বাংলাদেশ ক্রীড়া শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের (বিকেএসপি) উপদেষ্টা নাজমুল আবেদীন ফাহিম জানিয়েছেন তার তেমন আশাও ছিল না। তিনি বলেন, ‘আমি খুব বেশি আশাও করিনি। এই (যুক্তরাষ্ট্র) দলের সঙ্গে আমরা কী করবো তা নিয়ে যথেষ্ট সন্দেহ ছিল।’
যুক্তরাষ্ট্রের বিপক্ষে এই সিরিজকে ধরা হচ্ছিল টাইগার টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের প্রস্ততির জন্য সেরা মঞ্চ। কারণ ৭ই জুন ডালাসে বিশ্ব আসরে নিজেদের প্রথম ম্যাচ খেলতে শ্রীলঙ্কার মুখোমুখি হবে টাইগাররা। তাই কন্ডিশনের সঙ্গে মানিয়ে নেয়ার পাশাপাশি এই সিরিজে নিজেদের একাদশের কম্বিনেশনটাও ঠিক করে নেয়া ছিল অন্যতম লক্ষ্য। কিন্তু লিটন দাস, সৌম্য ওপেন করতে নেমে ব্যর্থ হয়েছেন। অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত যেন শক্তি হারানো এক ষাঁড়, সাকিব আল হাসানকে মরা হাতি বললেও ভুল হবে না। তাদের ম্যাচের শারীরিক ভাষা দেখে মনেও হয়নি তারা যুক্তরাষ্ট্রের মতো একটি দুর্বল শক্তির বিপক্ষে লড়াই করতে মাঠে নেমেছেন। তবে প্রশ্নটা ভিন্ন, দলে জায়গা পাওয়া ফর্মহীন ব্যাটার ধুঁকছেন প্রায় এক বছর ধরে। তাহলে দলের সেরা সেরা কোচরা তাদের নিয়ে কোনো কাজ করেনি। তাদের ফর্মে ফেরাতে কেন ব্যর্থতারা। সেই হিসেবে কোচিং স্টাফরা দায়টা এড়াতে পারেন কিনা? এ বিষয়ে নাজমুল আবেদীন বলেন, ‘ব্যর্থ হবে কেন! তারা (কোচ-টিম ম্যানেজমেন্ট) তো বার বারই বলেছে- এই ক্রিকেটারদের নিয়ে তারা খুবই সন্তুষ্ট’। তাহলে নামিদামি কোচরা যদি তাদের এমন ফর্মহীন অবস্থা থেকে ফেরাতে না পারেন তাহলে কি ক্রিকেটারই ব্যর্থ! এ নিয়ে নাজমুল আবেদীন বলেন, ‘আমার মনে হয় তাদের (লিটন-শান্ত, সৌম্য) টি-টোয়েন্টি খেলার ক্যাপাসিটিই নাই। যারা ব্যর্থ হচ্ছে তারা কিন্তু বেশির ভাগ ম্যাচেই তেমন কিছু করতে পারেনি। টি-টোয়েন্টি তাদের কোনোদিন তেমন ভালো কিছু করতে দেখিনি। অন্যদিকে দেখেন তাওহীদ হৃদয় ধারাবাহিক ভালো খেলছে। মাহমুদউল্লাহ এই ফরম্যাটে এখনো টিকে আছে কেন? সেতো এখনো খেলে যাচ্ছে। ক্যাপাসিটি আছে বলেই।’ যে পরিকল্পনা নিয়ে বাংলাদেশ টি- টোয়েন্টি বিশ্বকাপ খেলতে গেছে তার বড় একটা অংশ জুড়েই দেথা গেছে পরিকল্পনার অভাব। জিম্বাবুয়ে সিরিজে চাপের মুখেই ওপেনার হিসেবে অভিষেক হয়েছিল তরুণ তানজিদ হাসান তামিমের। তিন ম্যাচে দু’টি ফিফটি হাঁকিয়ে নিজের যোগ্যতারও প্রমাণ রেখেছেন। কিন্তু হঠাৎ করেই তাকে বসিয়ে রেখে যুক্তরাষ্ট্রে ওপেন করতে নামিয়ে দেয়া হলো সৌম্য লিটনকে! শুধু তাই নয়, পার্টটাইম স্পিনার মাহমুদউল্লাহ রিয়াদকে নামিয়ে দেয়া হলো বল হাতে ওপেন করার জন্য। এমনকি শেষ ওভারেও তার হাতে বল তুলে দেয়া হলো। তার আগে স্কোয়াড গঠন নিয়েও নাটক কম হয়নি। সব কিছুতেই যেন একটি হ-জ-ব-র-ল অবস্থা। এ বিষয়ে নাজমুল আবেদীন বলেন, ‘বোর্ড বা কোচিং স্টাফ যারা আছেন তারাতো বিশ্বকাপের আগে অনেক কিছুই করছে। ঘরের মাঠে একটি সিরিজ খেললো, সেখান থেকে একটা দলও নির্বাচন হলো আবার ইউএসএতেও একটি সিরিজের আয়োজন করেছে। পরিকল্পনাতো কিছুটা আছে। কিন্তু সেটি আসলে স্পষ্ট নয়। ধরেন ওপেনিং নিয়ে তারা আসলে কিছু একটা চাইছে। সেটা হতে পারে লিটন ও সৌম্যকে দিয়ে ওপেন করানো। কিন্তু তারা কি এখন সেই পর্যায়ে আছে! আসরে তেমন কোনো পকিল্পনা কিন্তু চোখে পড়ছে না। ধরেন মাহমুদউল্লাহকে দিয়ে যদি বোলিংই ওপেন করাতে হয় সেটি আগে কেন করলো না এখন কেন! যদি মাহমুুদউল্লাহকে দিয়ে বোলিং শেষও করতে তাহলে সেটিই এখন কেন? এই রিহার্সেলটা কেন আগে হয়নি! প্রশ্ন হচ্ছে তাহলে বিশ্বকাপেও কি আমরা এটা করবো যে লিটন, সৌম্য ওপেন করবে, মাহমুদউল্লাহ বোলিং শুরু ও শেষ করবে...যদি তখন সেটি না করি সেটি এখন কেন! আমি জানি না তারা আসলে কোন পথে যাচ্ছে। নিশ্চয় তারা কোনো একটা কিছুতে পৌঁছাতে চাইছে যেটা তারা পাচ্ছে না।’
আমার মনে হয় তাদের (লিটন-শান্ত, সৌম্য) টি-টোয়েন্টি খেলার ক্যাপাসিটিই নাই। চমৎকার মূল্যায়ন। আসলেই তাদের টি-টোয়েন্টি খেলার ক্যাপাসিটিই নাই।
এতো এতো অভিজ্ঞতা এবং রেকর্ড সম্বলিত খেলোয়াড় থাকার পরও নবীন শান্তকে ক্যাপ্টেন বানানো হলো,সেদিন বুঝলাম বাংলাদেশ ক্রিকেটের দৈন্যতা কোথায়
ফলাফল শূন্য। পেশাদারী ক্রিকেট কি,সেটি যেমন বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের ধারণা নেই,তেমনি আমরাও বুঝি না। হুদাই লাফা-লাফি করি।
হাতুরুসিং কি কারো বাপ ভাই লাগে নাকি? শুরু থেকেই দেখছি দু একজনের প্রতি উনার মনের টান। এখনো সময় আছে, ওরে পাছায় লাথি মাইরা বের কইরা দেয়া। শালা
প্রধান কোচ কে আগে বাতিল করতে হবে তারপরে খেলোয়ার কেননা ভালো খেলোয়ার রেখে আপনার পছন্দ হবে না বলে আপনি ফরম হিন খেলোয়াড় নিয়ে খেলাবেন আর যেতার আশা করবেন আপনারা তো কল্পনার রাজ্যে বাস করতে চাইছেন বাঙালির মনের ভাব বোঝাতে চাইলেও বুঝতে চায় না
সবার আগে প্রধান কোচ কে বাতিল করা উচিৎ। সাথে লিটন দাশ ও নাজমুল হাসান সান্ত। নির্বাচক বোর্ডের উচিৎ সান্ত কে বাদ দিয়ে মেহেদী মিরাজ কে ক্যাপ্টেন করে নিয়ে যাওয়া।। ও শুধু ব্যাটসম্যান নয় বলোর হিসাবে উপকার হবে।।
আবেগ প্রবন বাংগালীর আবেগ হিমালয়ের চুড়া কেও হার মানাবে। প্রতিটি খেলায় জিততে হবে,এটা তাদের আবেগ। বাংগালী চায়, প্রতিটি খেলায় জিতে- "আন বিটেন ওয়ার্ল্ড চ্যাম্পিয়ন" -হতে।
সর্বত্র স্বেচ্ছাচারিতায় ডুবছে। গোঁয়াড় মাথামোটাগুলো দেশ থেকে খেলার মাঠ পর্যন্ত ছড়ি হাতে। নিদারুণ নিষ্ঠুর পরণতি অপেক্ষা করছে।
আমাদের দেশের খেলোয়ারেরা এখনও এ ধরনের খেলা কিভাবে খেলতে বা উপভোগ করতে হয় তা বুঝতে পারছে না। দুই তিনটা ছক্কা মারলেই আমি ভাল এ খেলায় তা নয়। হতে পারে ওদের খেলার ধরন আর আমাদের এক নয়। হয়তো ওদের হাতে শক্তি বেশী। জ্ঞান ও বেশী। আমরা যা পারি তার থেকে দেখাই বেশী! পরিশেষে উন্নতি করতে হলে আগে খেলার ধরন শিখতে হবে। ভাইসাবেরা দেশের মান বাঁচান। আর কত লজ্জা নিবেন। আপনাদের মংগল কামনা করছি। আমিন। আর কি বলবো। ধন্যবাদ।
আফসোস, যেসব খেলোয়াড় স্কুল, কিশোর, যুব, ঘরোয়া ক্রিকেটে তাদের মেধা দেখাতে ব্যার্থ তাদেরই দলে নেয়া হচ্ছে বার বার. দল মতের উর্ধে উঠে পুরোনো অভিজ্ঞ কোচ, খেলোয়াড় দের সমন্বয়ে বিশেষজ্ঞ প্যানেল তৈরী করে দল নির্বাচন করতে হবে. মনে রাখতে হবে দলটি দেশের, কারো ব্যক্তিগত সম্পত্তি নয়.