এশিয়ায় কমলো বাংলাদেশের কোটা প্লে অফে কিংস

কয়েক বছর পর আবার পরিবর্তন এসেছে এশিয়ান ফুটবল কনফেডারেশনের (এএফসি) ক্লাব প্রতিযোগিতার ফরম্যাটে। পরিবর্তিত ফরম্যাটে এশিয়ার শীর্ষ ক্লাবগুলো খেলবে এএফসি চ্যাম্পিয়নস লীগ এলিটে। এরপর এএফসি চ্যাম্পিয়নস লীগ আর সর্বশেষ স্তর এএফসি চ্যালেঞ্জ লীগ। প্রস্তাবিত এই ফরম্যাট বৃহস্পতিবার এএফসি’র বার্ষিক সাধারণ সভায় অনুমোদিত হয়েছে। নতুন ফরম্যাটে এশিয়ান ফুটবল কনফেডারেশন ক্লাব পর্যায়ে বাংলাদেশের প্রতিনিধিত্ব কমলো। সাম্প্রতিক সময়ে লীগ চ্যাম্পিয়ন বসুন্ধরা কিংস এএফসি কাপের মূল পর্বে এবং টুর্নামেন্ট চ্যাম্পিয়ন/লীগ রানার্স আপ এএফসি কাপের প্লে অফ খেলত। এএফসির নতুন প্রতিযোগিতার ফরম্যাটে বাংলাদেশের একটি ক্লাব খেলার সুযোগ পাবে। সেটা সরাসরি গ্রুপ পর্বে নয়, প্লে অফের মাধ্যমে।

বসুন্ধরা কিংস লীগ চ্যাম্পিয়ন হওয়ায় তারাই চ্যালেঞ্জ লীগের প্লে অফে খেলবে। লীগ চ্যাম্পিয়ন বসুন্ধরা কিংসকে সেই মূল পর্বে খেলতে হলে প্লে অফ খেলে যেতে হবে। জুলাই মাসের শেষে এবং আগস্টে প্লে অফ রয়েছে চ্যালেঞ্জ লীগের। সেই প্লে অফ এক লেগেই হওয়ার কথা। বসুন্ধরা কিংস প্লে অফের কোন পর্যায়ে অংশ নেবে সেটা এখনো নিশ্চিত নয় বাফুফে। এএফসি’র নতুন ফরম্যাট অনুযায়ী চ্যালেঞ্জ লীগের মূল পর্ব হবে ২০ দল নিয়ে। বসুন্ধরা কিংস ঘরোয়া লীগে দাপট দেখালেও আন্তর্জাতিক অঙ্গনে ব্যর্থ। দেশে দাপট দেখানো ক্লাবটি এএফসি কাপের গ্রুপ পর্ব পার হতে পারেনি একবারও। বসুন্ধরা কিংস গত মৌসুমে এএফসি চ্যাম্পিয়নস লীগের প্লে অফে খেলেছিল। ঢাকা আবাহনী জোনাল সেমিফাইনাল খেলে বাংলাদেশের ক্লাব পয়েন্ট বৃদ্ধি পাওয়ায়। আবাহনীর কর্মের সুফল ভোগ করলেও কিংস নিজেরা তেমন কিছু করতে পারেনি। ফলে এখন গতবারের চেয়ে আরো এক ধাপ নিচে গিয়ে খেলতে হচ্ছে বাংলাদেশের ক্লাবকে। দক্ষিণ এশিয়ার মধ্যে একমাত্র ভারত দ্বিতীয় স্তরে এএফসি চ্যাম্পিয়ন্স লীগে দু’টি কোটা পেয়েছে। একটি ক্লাব সরাসরি আরেকটির প্লে অফ খেলতে হবে। দক্ষিণ এশিয়ার অন্য ছয় দেশ তৃতীয় স্তরে প্লে অফ খেলে মূল পর্বে জায়গা করে নিতে হবে। তৃতীয় স্তরে কুয়েত, তুর্কমেনিস্তান ও লেবানন থেকে একটি করে দল সরাসরি খেলবে। দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলো এএফসি কম্পিটিশনে পশ্চিম জোনে।